Class 12 Logic and Philosophy Chapter 1 আগমন এবং এর প্রকার

Join Roy Library Telegram Groups

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 1 আগমন এবং এর প্রকার Question Answer in Bengali, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class XII Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Assam Board HS 2nd Year Logic and Philosophy Question Answer in Bengali The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 1 আগমন এবং এর প্রকার Solutions in Bengali are free to use and easily accessible. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 1 আগমন এবং এর প্রকার Notes in Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 1 আগমন এবং এর প্রকার The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily.

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 1 আগমন এবং এর প্রকার

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 1 আগমন এবং এর প্রকার, Gives you a better knowledge of all the chapters. HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Notes. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Assam Board HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Suggestion will be able to solve all the doubts of the students. Class 12 Logic and Philosophy in Bengali Solution, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 12 Logic and Philosophy in Bengali Question Answer PDF. HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

আগমন এবং এর প্রকার

প্রথম খণ্ড

অতি সংক্ষিপ্ত  উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। আগমন কত প্রকারের ? সাগুলি কী কী ?

উত্তরঃ আগমন দুই প্রকারের। 

সেগুলি হল—- 

(১) প্রকৃত আগমন। এবং 

(২) তথাকথিত আগমন বা আগমনাভাস।

প্রশ্ন ২। আগমনের আঁধার বা ভিত্তি কী ?

উত্তরঃ আগমনের আধার হল প্রকৃতির একরূপতা বিধি এবং কার্যকারণ বিধি।

প্রশ্ন ৩। প্রকৃত আগমন _________ প্রকারের।

উত্তরঃ তিন।

প্রশ্ন ৪। বৈজ্ঞানিক আগমনের সিদ্ধান্ত হ’ল _________।

উত্তরঃ নিশ্চিত।

প্রশ্ন ৫। অবৈজ্ঞানিক আগমনের সিদ্ধান্ত হ’ল _________।

উত্তরঃ সম্ভাবনামূলক।

প্রশ্ন ৬। ‘সকল গ্ৰহ সূর্যের আলোকে আলোকিত ‘। এটি হল _________ এর একটি উদাহরণ।

উত্তরঃ পূর্ণ আগমনের উদাহরণ।

প্রশ্ন ৭। অবৈজ্ঞানিক আগমন কীসের উপর নির্ভর করে ?

উত্তরঃ অবাধিত অভিজ্ঞতার উপর।

প্রশ্ন ৮। আগমনই নিগমনের সামান্য বচন বা সার্বিক বচনের যোগান দেয়। কথাটি শুদ্ধ কি।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ৯। সাদৃশ্যানুমানের সিদ্ধান্ত কি নিশ্চিত ?

উত্তরঃ না।

প্রশ্ন ১০। আগমন কেবল আকারগত সত্যতার সঙ্গে জড়িত কি ?

উত্তরঃ না।

প্রশ্ন ১১। সাদৃশ্যানুমানের ভিত্তি কী ?

উত্তরঃ সাদৃশ্যানুমানের ভিত্তি হল দুটি বস্তুর মধ্যে থাকা কিছু গুণ বা বিষয়ের সাদৃশ্য।

প্রশ্ন ১২। সু-সাদৃশ্যানুমানের একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ পৃথিবী এবং মঙ্গলগ্ৰহের মধ্যে  কিছু সাদৃশ্য আছে। যেমন দুটিই সৌরজগতের গ্ৰহ, দুটিতেই বায়ুমণ্ডল, মাটি সমুদ্র উত্তাপ ইত্যাদি আছে। পৃথিবীতে জীব আছে। সুতরাং মঙ্গল গ্রহেও জীব আছে।

প্রশ্ন ১৩। বৈজ্ঞানিক আগমন কোন প্রকারের বচন প্রতিষ্ঠা করে ?

উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক আগমন যথার্থ সার্বিক বচন প্রতিষ্ঠা করে।

প্রশ্ন ১৪। ‘আগমনাত্মক ঝাঁপ’ হল বিশেষ থেকে সামান্যে একটি যাত্রা’_________ শুদ্ধ কি অশুদ্ধ ?

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ১৫। সাদৃশ্যানুমানের মূল্য কী কী কারকের উপর নির্ভর করে ?

উত্তরঃ সাদৃশ্যানুমানের মূল্য সাদৃশ্য থাকা গুণের সংখ্যা এবং গুণের গুরুত্বের উপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন ১৬। সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্ত হল সম্ভাবনামূলক _________ শুদ্ধ কি ?

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ১৭। নিচে দেওয়া কোনটি শুদ্ধ 

(ক) আগমন কেবল বস্তুগত সত্যতার সঙ্গে জড়িত।

(খ) আগমন আকারগত এবং বস্তুগত উভয়প্রকার সত্যতার সঙ্গে জড়িত।

উত্তরঃ (খ) আগমন আকারগত এবং বস্তুগত উভয়প্রকার সত্যতার সঙ্গে জড়িত। এটি শুদ্ধ।

প্রশ্ন ১৮। বৈজ্ঞানিক আগমন এক বিশ্লেষণাত্মক বা অশাব্দিক বচন/ সংশ্লেষণাত্মক বা শাব্দিক বচন প্রতিষ্ঠা করে।

উত্তরঃ সংশ্লেষণাত্মক বা শাব্দিক বচন প্রতিষ্ঠা করে।

প্রশ্ন ১৯। ‘সকল অনুমানই সাদৃশ্যমূলক’ _________ এই উক্তির সঙ্গে জড়িত তর্কবিদজনের নাম লেখো।

উত্তরঃ জে.এস.মিল।

S.L. No.সূচি-পত্র
অধ্যায় -১আগমন এবং এর প্রকার
অধ্যায় -২আগমনের ভিত্তি
অধ্যায় -৩প্রকল্প
অধ্যায় -৪মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধা
অধ্যায় -৫বাস্তববাদ
অধ্যায় -৬ভাববাদ
অধ্যায় -৭নীতিবিদ্যা
অধ্যায় -৮ধর্ম

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ২০। বৈজ্ঞানিক আগমনের উদ্দেশ্য কী ?

উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক আগমনের উদ্দেশ্য হল একটি যথার্থ সার্বিক বচন প্রতিষ্ঠা করা।

প্রশ্ন ২১। আগমন অনুমান কেবল আকারগত সত্যতার সঙ্গে জড়িত কি ?

উত্তরঃ না ।

প্রশ্ন ২২। ‘নিগমনের আধার বচন হিসাবে ব্যবহৃত সার্বিক বচন আগমনই যোগান দেয়।’এটি সত্য কি ?

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ২৩।  ‘অবৈজ্ঞানিক আগমনের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত।’ এটি সত্য কি ?

উত্তরঃ না।

প্রশ্ন ২৪। সাদৃশ্যানুমানের মূল্য কীভাবে নিরূপণ করা হয় ?

উত্তরঃ সাদৃশ্যানুমানের মূল্য সাদৃশ্য থাকা গুণের সংখ্যা এবং গুরুত্বের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়।

প্রশ্ন ২৫। তর্কবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়বস্তু কী ?

উত্তরঃ তর্কবিজ্ঞানের প্রধান আলোচ্য বিষয় হল অনুমান।

প্রশ্ন ২৬। আগমনের উদ্দেশ্য কী ?

উত্তরঃ আগমনের উদ্দেশ্য হল যথার্থ সামান্য সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা এবং এর বাস্তব সত্যতা প্রতিষ্ঠা করা।

প্রশ্ন ২৭। ‘আগমন অনুমানে সিদ্ধান্তটি আধার বচনকে অতিক্রম করে যায়’ —- কথাটি সত্য কি ?

উত্তরঃ হ্যাঁ, সত্য।

প্রশ্ন ২৮।  ‘ইংরাজি বর্ষের প্রতিটি মাসেই ৩২ দিন থেকে কম থাকে।’ —– এটি প্রকৃত আগমন/ তথাকথিত আগমনের উদাহরণ।

উত্তরঃ এটি হল তথাকথিত আগমনের উদাহরণ।

প্রশ্ন ২৯। ‘ তাপ পেলে সকল বস্তুর আয়তন বাড়ে’ — এটি বৈজ্ঞানিক আগমন কি ?

উত্তরঃ হ্যাঁ।

প্রশ্ন ৩০। অবৈজ্ঞানিক আগমনকে প্রকৃত আগমনের একটি প্রকার বলার কারণ কি ?

উত্তরঃ অবৈজ্ঞানিক আগমনে  আগমনাত্মক  ঝাঁপ থেকে বলেই এটাকে প্রকৃত আগমনের একটি প্রকার বলা হয়।

প্রশ্ন ৩১। অপূর্ন গণনাভিত্তিক আগমন কখন বৈজ্ঞানিক আগমনে পরিণত হয় ?

উত্তরঃ অপূর্ন গণনাভিত্তিক আগমন দুটি বস্তু বা ঘটনার মধ্যে কার্যকারণ -সম্বন্ধের আভাস বা ইঙ্গিত দেয়। এই ইঙ্গিত থেকেই সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান আরম্ভ করা যায়। যদি এই কার্যকারণ সম্বন্ধ প্রমাণ হয় তবে অপূর্ন গণনাভিত্তিক আগমন বৈজ্ঞানিক আগমনে পরিণত হয়।

প্রশ্ন ৩২। অবৈজ্ঞানিক আগমনের মূল ভিত্তি হল—-

(ক) কার্যকারণ বিধি।

(খ) অবাধিত অভিজ্ঞতা।

(গ) অসম্পূর্ণ সাদৃশ্য।

(ঘ) (ক) এবং (খ) দুইটিই।

উত্তরঃ অবাধিত অভিজ্ঞতা।

প্রশ্ন ৩৩। ঘটনা সংযোজন প্রকৃত আগমনের একটি প্রকার কি ?

উত্তরঃ না।

প্রশ্ন ৩৪। অপূর্ন গণনাভিত্তিক আগমন প্রকৃতির একরূপতা বিধির উপর নির্ভর করে/ করে না।

উত্তরঃ করে।

প্রশ্ন ৩৫। অবৈজ্ঞানিক আগমন/পূর্ণ আগমন/যুক্তি সাদৃশ্যানুমান বৈজ্ঞানিক আগমনের সোপানস্বরূপ।

উত্তরঃ অবৈজ্ঞানিক আগমন।

প্রশ্ন ৩৬। ‘পূর্ণ আগমনে আগমনাত্মক ঝাঁপ আছে।’ এটি সত্য কি ?

উত্তরঃ না।

প্রশ্ন ৩৭। কার মতে সামান্যকরণেই আগমন পদ্ধতি সম্পূর্ণতা লাভ করে —

(ক) বেকন।

(খ) মিল।

(গ) এরিস্টটল।

(ঘ) জেভনস্।

উত্তরঃ মিল।

প্রশ্ন ৩৮। বৈজ্ঞানিক আগমনের ভিত্তি কী ?

উত্তরঃ প্রকৃতির একরূপতা বিধি এবং কার্যকারণ বিধি।

প্রশ্ন ৩৯। সাদৃশ্যানুমানের মূল্য সাদৃশ্য থাকা বিষয়ের সংখ্যা/ গুরুত্ব/ উভয়ের উপর নির্ভর করে।

উত্তরঃ উভয়ের উপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন ৪০। অবৈজ্ঞানিক আগমনকে কেন ‘ অবৈজ্ঞানিক ‘ বলা হয় ?

উত্তরঃ অবৈজ্ঞানিক আগমনে কোন কার্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয় না করেই একটি যথার্থ সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করা হয়। কার্যকারণ সম্বন্ধে কোন জ্ঞান থাকে না বলেই এই আগমনকে অবৈজ্ঞানিক বলা হয ।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ‘বৈজ্ঞানিক আগমনের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত ‘– কেন ?

উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক আগমন কোন বস্তু বা ঘটনার বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে, প্রকৃতির একরূপতা বিধি এবং কার্যকারণ বিধির উপর ভিত্তি করে একটি যথার্থ সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করে। বস্তুতঃ কার্যকারণ সম্বন্ধের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বৈজ্ঞানিক আগমনের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত।

প্রশ্ন ২। বৈজ্ঞানিক আগমনের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ যে আগমন কোন বস্তু বা ঘটনার বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে, প্রকৃতির একরূপতা বিধি এবং কার্যকারণ বিধির উপর ভিত্তি করে একটি যথার্থ সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করে, তাকে বৈজ্ঞানিক আগমন বলে।

প্রশ্ন ৩। অবৈজ্ঞানিক আগমন কী ?

উত্তরঃ যে আগমন কোন বস্তু বা ঘটনার বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে, কোন কার্যকারণ সম্বন্ধের উপর ভিত্তি না করে কেবলমাত্র অবাধিত অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে একটি যথার্থ সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করে, সেই আগমনকে অবৈজ্ঞানিক আগমন বলে।

প্রশ্ন ৪। সু-সাদৃশ্যানুমানের দুটি শর্ত লেখো।

উত্তরঃ সু- সাদৃশ্যানুমানের দুটি শর্ত হল—

(ক) দুটি বস্তুর মধ্যে থাকা মৌলিক সাদৃশ্যের জ্ঞান।

(খ) সাদৃশ্য থাকা গুণের গুরুত্ব।

প্রশ্ন ৫। ‘অবৈজ্ঞানিক আগমনের সিদ্ধান্ত সম্ভাবনা স্বভাবের ‘—– কেন ?

উত্তরঃ অবৈজ্ঞানিক আগমনে কেবলমাত্র অবাধিত অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করা হয় এবং কোন কার্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয় করা হয় না বলেই সিদ্ধান্তটি নিশ্চিত হয় না, সম্ভাবনামূলক হয়।

প্রশ্ন ৬। সাদৃশ্যানুমানের মূল্য নির্ধারণের যে কোন একটি শর্ত উল্লেখ করো।

উত্তরঃ সাদৃশ্যানুমানের মূল্য নির্ধারণের একটি শর্ত হল—- জ্ঞাত সদৃশ গুণগুলির সংখ্যা এবং গুরুত্ব যত বেশি হবে,সাদৃশ্যানুমানের মূল্য তত বেশি হবে।

প্রশ্ন ৭। আগমনাত্মক পদ্ধতি বা আগমনাত্মক নীতির বিভিন্ন স্তরগুলি কী কী ?

উত্তরঃ আগমনাত্মক পদ্ধতি বা আগমনাত্মক নীতির বিভিন্ন স্তরগুলি হল—–

(১) পর্যবেক্ষণ। 

(২) প্রকল্প গঠন। 

(৩) সামান্যীকরণ। এবং 

(৪) প্রমাণীকরণ।

প্রশ্ন ৮। প্রমাণীকরণ কাকে বলে ?

উত্তরঃ অনুমানে যুক্তির আকারগত এবং বস্তুগত সত্যতা দুইই বিচার করা হয়। তাই সামান্যীকরণের সাহায্য যে সিদ্ধান্তটি প্রতিষ্ঠা করা হয় তা প্রমাণের প্রয়োজন হয়। যে প্রক্রিয়ার সাহায্য এই প্রমাণ পরীক্ষা করা হয় তাকে প্রমাণীকরণ বলে।

প্রশ্ন ৯। উপযুক্ত উদাহরণ সহ আগমন অনুমানের  সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ আগমন অনুমান হল এমন একটি অনুমান যাতে আমরা বিশেষ থেকে সামান্যে উপনীত হই। এখানে কয়েকটি বিশেষ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে একটি সামান্য বা সার্বিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়। এখানে সিদ্ধান্ত আশ্রয়বাক্য থেকে ব্যাপকতর হয়।

উদাহরণস্বরূপ — 

রাম হয় মরণশীল।

শ্যাম হয় মরণশীল।

যদু হয় মরণশীল।

মদু হয় মরণশীল।

সকল মানুষ হয় মরণশীল।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১০। নিগমন এবং আগমন অনুমানের মধ্যে থাকা দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ নিগমন এবং আগমনের মধ্যে দুটি পার্থক্য হল——

(ক) নিগমন অনুমানের সিদ্ধান্ত সামান্য সত্য থেকে বিশেষ সত্যে পৌঁছানো কিন্তু আগমন অনুমানের সিদ্ধান্তটি হল বিশেষ সত্য থেকে সামান্য সত্যে পৌঁছানো।

(খ) নিগমন অনুমান আকারগত সত্যতার সঙ্গে জড়িত কিন্তু আগমন অনুমান আকারগত এবং বস্তুগত উভয়প্রকার সত্যতার সঙ্গে জড়িত।

প্রশ্ন ১১। উপযুক্ত উদাহরণসহ সুসাদৃশ্যানুমানের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ সুসাদৃশ্যানুমান হল সেই সাদৃশ্যানুমান, যাতে দুটি জিনিসের মধ্যে মৌলিক সাদৃশ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠিত হয়। 

উদাহরণস্বরূপ —- পৃথিবী এবং মঙ্গলগ্ৰহের মধ্যে সাদৃশ্য হল, দুটিই সৌরজগতের গ্ৰহ, দুটির মধ্যে বায়ুমণ্ডল, মাটি, সমুদ্র, উত্তাপ ইত্যাদি আছে। পৃথিবীতে জনবসতি আছে। সুতরাং মঙ্গলগ্রহেও জনবসতি আছে।

প্রশ্ন ১২। আগমনাত্মক ঝাঁপ বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ আগমনের মূল লক্ষণ হল আগমনাত্মক ঝাঁপ। আগমনাত্মক ঝাঁপ হল জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে, দৃষ্ট থেকে অ-দৃষ্টে বিশেষ থেকে সামান্যে বা ‘কয়েক’ থেকে ‘সকল’ এ যাবার পদ্ধতি। আগমনাত্মক ঝাঁপে ঝুঁকির সংকট থাকে বলে এই ঝাঁপকে আগমনাত্মক সংকটও বলা হয়।

প্রশ্ন ১৩। সাদৃশ্যমূলক অনুমান কী ?

উত্তরঃ সাদৃশ্যমূলক অনুমান হল এমন একটি অনুমান, যাতে দুটি জিনিসের মধ্যে কয়েকটি গুণের সাদৃশ্যের ভিত্তিতে আমরা অনুমান করি যে, তাদের মধ্যে একটি গুণের ও সাদৃশ্য থাকবে।

প্রশ্ন ১৩‌। আগমনাত্মক অনুসন্ধানের বিভিন্ন স্তরসমূহ কী কী ?

উত্তরঃ আগমনাত্মক অনুসন্ধানের বিভিন্ন স্তরসমূহ হল—–

(১) পর্যবেক্ষণ। 

(২) প্রকল্প গঠন। 

(৩) সামান্যীকরণ। এবং 

(৪) প্রমাণীকরণ।

প্রশ্ন ১৫। আগমনের মূল সমস্যা কী ?

উত্তরঃ আগমনে আমরা কয়েকটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে একটি সামান্য যথার্থ বচনকে সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করি। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে,কী করে আমরা কয়েকটি দৃষ্টান্ত দেখে একটি সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করতে পারি ? অন্যভাবে বলতে গেলে, কী করে আমরা বিশেষ থেকে সামান্যকে অনুমান করতে পারি ? এটাই হল আগমনের সমস্যা।

প্রশ্ন ১৬। আগমনের প্রয়োজনীয়তা কী ?

উত্তরঃ তর্কবিজ্ঞান আকারগত এবং বস্তুগত উভয়প্রকার সত্যতার সঙ্গে জড়িত। নিমগ্ন অনুমান আমাদের কেবল আকারগত সত্যতাই দেয়। তাই যুক্তির বাস্তব সত্যতার জন্য আগমন অনুমানের প্রয়োজন। আগমন অনুমান সামান্য বচনের বস্তুগত সত্যতা নিরূপণের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

প্রশ্ন ১৭। প্রকৃত আগমন এবং তথাকথিত আগমনের পার্থক্য দাও।

উত্তরঃ প্রকৃত আগমন এবং তথাকথিত আগমনের মধ্যে পার্থক্য হল—— 

প্রকৃত আগমনে আগমনাত্মক ঝাঁপ থাকে অর্থাৎ জ্ঞাত সত্য থেকে সত্যে, দৃষ্ট থেকে অ-দৃষ্টে, বিশেষ থেকে সামান্যে পৌঁছানোর ঝুঁকি থাকে কিন্তু তথাকথিত আগমনে আগমনাত্মক ঝাঁপ থাকে না।

প্রশ্ন ১৮। তথাকথিত আগমন কয় প্রকার এবং কী কী ?

উত্তরঃ তথাকথিত আগমন তিনপ্রকার, যথা—–

(ক) পূর্ণ আগমন বা পূর্ণ গণনাভিত্তিক অনুমান।

(খ) যুক্তি সাদৃশ্যানুমান। এবং

(গ) ঘটনা সংযোজন বা সামান্যাভিকরণ।

প্রশ্ন ১৯। আগমনের মূল বিধি দুটি কী কী ? বৈজ্ঞানিক কেন এই বিধি দুটির উপর নির্ভর করে ?

উত্তরঃ আগমনের মূল বিধি দুটি হল—-

(১) প্রকৃতির একরূপতা বিধি। এবং

(২) কার্যকারণ বিধি।

বৈজ্ঞানিক আগমনের লক্ষ্য হল একটি যথার্থ সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করা। এই দুটি বিধির সাহায্যে সামান্য বচনটি নির্ভুলভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায় বলেই বৈজ্ঞানিক আগমন এই বিধি দুটির উপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন ২০। বৈজ্ঞানিক আগমনের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত কেন ? উদাহরণ সহ কারণ দর্শাও।

উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক আগমনের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত হয় কারণ এটি কার্যকারণ বিধির উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়। 

উদাহরণস্বরূপ — ‘সকল মানুষ হয় মরণশীল ‘ এই সিদ্ধান্তটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রাম, শ্যাম, মধু, হরি ইত্যাদি মানুষদের মৃত্যুর বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে। এখানে কার্যকারণ বিধি ‘মানুষ’ এবং ‘ মরণশীল তার ‘ মধ্যে কার্যকারণ সম্বন্ধ প্রমাণ করেছে বলে বৈজ্ঞানিক আগমনের এই সিদ্ধান্তটি নিশ্চিত।

প্রশ্ন ২১। ফাউলারের মতে অবৈজ্ঞানিক আগমনের মূল্য কীরূপে নির্ধারণ করিতে পারা যায় ?

উত্তরঃ ফাউলারের মতে অবৈজ্ঞানিক আগমনের মূল্য দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে —–

(১) আমাদের অভিজ্ঞতায় সদর্থক দৃষ্টান্তের সংখ্যা যদি বেশি হয়, অবৈজ্ঞানিক আগমনের মূল্যও তত বেশি হয়, আবার সদর্থক দৃষ্টান্তের সংখ্যা কম হলে, অবৈজ্ঞানিক আগমনের মূল্যও কম হয়। 

(২) অভিজ্ঞতার পরিধি যদি বেশি বিস্তৃত হয় এবং তাতে যদি নঞর্থক দৃষ্টান্ত অনুপস্থিত থাকে,তবে অবৈজ্ঞানিক আগমনের সম্ভাবনার মাত্রাও বেশি হবে।

প্রশ্ন ২২। ‘ সাদৃশ্যানুমানের সিদ্ধান্ত সম্ভাবনামূলক ।’ কেন ?

উত্তরঃ সাদৃশ্যানুমান দুটি বিষয়ের মধ্যে কয়েকটি গুণের সাদৃশ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়,কোন কার্যকারণ সম্বন্ধের ভিত্তিতে নয়। এজন্যই সাদৃশ্যানুমানের সিদ্ধান্ত সর্বদা সম্ভাব্য হয়।

প্রশ্ন ২৩। বৈজ্ঞানিক আগমন এবং সাদৃশ্যানুমানের মধ্যে থাকা দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক আগমন এবং সাদৃশ্যানুমানের মধ্যে থাকা দুটি পার্থক্য হল——

(ক) বৈজ্ঞানিক আগমনে আমরা বিশেষ থেকে সামান্যের জ্ঞানে পৌঁছুই কিন্তু সাদৃশ্যানুমানে আমরা বিশেষ থেকে বিশেষের জ্ঞানে পৌঁছুই।

(খ) বৈজ্ঞানিক আগমন কার্যকারণ সম্বন্ধের জ্ঞানের উপর প্রতিষ্ঠিত কিন্তু সাদৃশ্যানুমানে কার্যকারণ সম্বন্ধে কোন জ্ঞান থাকে না।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। আগমনের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

উত্তরঃ আগমনের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল—–

(ক) আগমন অনুমানে আমরা বিশেষ থেকে সামান্যে উপনীত হই।

(খ) আগমনের সিদ্ধান্ত সব সময় আশ্রয়বাক্য থেকে অধিক ব্যাপক হয়।

(গ) আগমন অনুমান আকারগত এবং বস্তুগত উভয়প্রকার সত্যতার সঙ্গে জড়িত।

(ঘ) আগমন অনুমানের সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য হয়ে থাকে।

প্রশ্ন ২। আগমন এবং নিগমনের মধ্যে চারটি পার্থক্য লেখো ।

উত্তরঃ আগমন এবং নিগমনের চারটি পার্থক্য হল——

(১) আগমনে আমরা বিশেষ থেকে সামান্যে উপনীত হই কিন্তু নিগমনে আমরা সামান্য থেকে বিশেষ উপনীত হই।

(২) আগমন অনুমানের সিদ্ধান্ত সব সময় আশ্রয়বাক্য থেকে অধিক ব্যাপক হয় কিন্তু নিগমন অনুমানে সিদ্ধান্ত আশ্রয়বাক্য থেকে অধিক ব্যাপক হতে পারে না। সিদ্ধান্ত হয় আশ্রয়বাক্যের সমব্যাপক হবে না ব্যাপক হবে।

(৩) আগমন অনুমানে, আশ্রয়বাক্যের বস্তুগত সত্যতা বিচার করা হয় কিন্তু নিগমন অনুমানে আশ্রয়বাক্যকে সত্য বলে ধরে নেওয়া হয়,এর বস্তুগত সত্যতা বিচার করা হয় না।

(৪) নিগমন অনুমান আকারগত সত্যতার সঙ্গে জড়িত কিন্তু আগমন অনুমান আকারগত এবং বস্তুগত উভয়প্রকার সত্যতার সঙ্গে জড়িত।

প্রশ্ন ৩। আগমনাত্মক ঝাঁপ বলতে কী বোঝ ? আগমনাত্মক ঝাঁপের জটিলতা দূর করার জন্য বৈজ্ঞানিক আগমন কীসের উপর নির্ভর করে ?

উত্তরঃ আগমনে বিশেষ থেকে সামান্যে, দৃষ্ট থেকে অ-দৃষ্টে,জ্ঞাত থেকে অজ্ঞাত সত্যে পৌঁছানোর ঝাঁপকে আগমনাত্মক ঝাঁপ বলে। এই ঝাঁপটি সাধারণ ঝাঁপ নয়। এটি অন্ধকারে ঝাঁপ। এই ঝাঁপকে আগমনের সংকটও বলা হয়। এটি আগমনের অস্তিত্বের প্রমাণ।

বৈজ্ঞানিক আগমন আগমনাত্মক ঝাঁপের জটিলতা দূর করার জন্য দুটি নীতির উপর নির্ভর করে। 

যথা——

(ক) প্রকৃতির একরূপতা বিধি। এবং

(খ) কার্যকারণ বিধি।

প্রশ্ন ৪। বৈজ্ঞানিক আগমন দুটি নীতির উপর নির্ভর করে। এই নীতিগুলি কী কী ? এই নীতি দুটির অর্থ কী ?

উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক আগমন দুটি নীতির উপর নির্ভর করে। 

এই নীতি দুটি হল—–

(১) প্রকৃতির একরূপতা বিধি। এবং

(২) কার্যকারণ বিধি।

প্রকৃতির একরূপতা বিধির অর্থ হল —– একই পরিবেশে প্রকৃতি একই রূপে আচরণ করে। অর্থাৎ অনুরূপ পরিস্থিতিতে একই কারণ থেকে একই কার্য উৎপন্ন হয়। কোন আকস্মিক পরিস্থিতির বা কারণের উদ্ভব না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃতি কখনও নিজের নিয়মকে লঙ্ঘন করে না।

কার্যকারণ বিধির অর্থ হল —— প্রতিটি কার্যের একটি কারণ থাকে। অর্থাৎ কারণ ছাড়া কোন ঘটনাই ঘটে না। শূন্যতা থেকে কিছুই ঘটে না। যে ঘটনাই, ঘটুক তার কারণ থাকে।

প্রশ্ন ৫। অবৈজ্ঞানিক আগমন কী ? অবৈজ্ঞানিক আগমনের দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ অবৈজ্ঞানিক আগমন প্রকৃত আগমনের একটি প্রকার। যে আগমনে কোন বস্তু বা ঘটনার বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে, কোন কার্যকারণ সম্বন্ধের উপর ভিত্তি না করে, কেবলমাত্র অবাধিত অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে একটি যথার্থ সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাকে অবৈজ্ঞানিক আগমন বলে।

অবৈজ্ঞানিক আগমনের দুটি উদাহরণ হল—–

(ক) সকল কাক হয় কালো।

(খ) সকল বক হয় সাদা।

প্রশ্ন ৬। সাদৃশ্যানুমানের মূল্য কীভাবে নিরূপণ করা যায় ?

উত্তরঃ সাদৃশ্যানুমান দুটি বিষয়ের সাদৃশ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়, কোন কার্যকারণ সম্বন্ধের ভিত্তিতে নয়।  সাদৃশ্যানুমানের সিদ্ধান্ত সর্বদা সম্ভাব্য হয়। মিলের মতে, একটি সাদৃশ্যানুমানের মূল্য নিম্নলিখিত শর্তগুলির উপর নির্ভর করে ——

(ক) জ্ঞাত সাদৃশ্যের পরিমাণ।

(খ) জ্ঞাত বৈসাদৃশ্যের পরিমাণ।

(গ) অজ্ঞাত গুণাবলির পরিমাণ।

ওয়েলটন , বোসাঙ্কে এবং সিজউইক আদি তর্কবিদগণের মতে কেবল সাদৃশ্যানুমূলক গুণের সংখ্যার উপরে সাদৃশ্যানুমানের মূল্য নির্ভর করে না, তাদের গুরুত্বের উপর নির্ভর করে।

একটি সাদৃশ্যানুমানের মূল্য নিম্নলিখিত নিয়মমগুলির উপর নির্ভর করে ——

(১) জ্ঞাত সদৃশ গুণগুলির সংখ্যা এবং গুরুত্ব যত বেশি হবে, সাদৃশ্যানুমানের মূল্য তত বেশি হবে।

(২) জ্ঞাত বৈসাদৃশ্য থাকা গুণের সংখ্যা এবং গুরুত্ব যতই বেশি, সাদৃশ্যানুমানের মূল্য ততই কম হবে।

(৩) বস্তুর জ্ঞাত গুণগুলির তুলনায় অজ্ঞাত গুণসসমূহের সংখ্যা যত বেশি হবে, সাদৃশ্যানুমানের মূল্য তত‌‌‌ কম হবে।

প্রশ্ন ৭। উদাহরণসহ সুসাদৃশ্যানুমান এবং কুসাদৃশ্যানুমান ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ সু-সাদৃশ্যানুমান —– সু সাদৃশ্যানুমান হল সেই সাদৃশ্যানুমান, যাতে দুটি জিনিসের মধ্যে মৌলিক সাদৃশ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠিত হয়। 

যেমন —- পৃথিবী এবং মঙ্গলগ্ৰহের মধ্যে সাদৃশ্য হল- 

—- দুটিই সৌরজগতের গ্ৰহ, দুটির মধ্যেই একই বায়ুমণ্ডল, মাটি, সমুদ্র, উত্তাপ ইত্যাদি আছে। পৃথিবীতে জনবসতি আছে। সুতরাং মঙ্গলগ্রহেও জনবসতি আছে।

কু- সাদৃশ্যানুমান—- কু- সাদৃশ্যানুমান হল সেই সাদৃশ্যানুমান, যাতে দুটি জিনিসের মধ্যে গৌণ সাদৃশ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ – মানুষের মতই উদ্ভিদের জন্ম, বৃদ্ধি, এবং ক্ষয় আছে। মানুষের বুদ্ধি আছে। অতএব, উদ্ভিদেরও বুদ্ধি আছে।

প্রশ্ন ৮। আগমন এবং নিগমনের পার্থক্য দর্শাও।

উত্তরঃ আগমন এবং নিগমনের চারটি পার্থক্য হল——

(১) আগমনে আমরা বিশেষ থেকে সামান্যে উপনীত হই কিন্তু নিগমনে আমরা সামান্য থেকে বিশেষ উপনীত হই।

(২) আগমন অনুমানের সিদ্ধান্ত সব সময় আশ্রয়বাক্য থেকে অধিক ব্যাপক হয় কিন্তু নিগমন অনুমানে সিদ্ধান্ত আশ্রয়বাক্য থেকে অধিক ব্যাপক হতে পারে না। সিদ্ধান্ত হয় আশ্রয়বাক্যের সমব্যাপক হবে না ব্যাপক হবে।

(৩) আগমন অনুমানে, আশ্রয়বাক্যের বস্তুগত সত্যতা বিচার করা হয় কিন্তু নিগমন অনুমানে আশ্রয়বাক্যকে সত্য বলে ধরে নেওয়া হয়,এর বস্তুগত সত্যতা বিচার করা হয় না।

(৪) নিগমন অনুমান আকারগত সত্যতার সঙ্গে জড়িত কিন্তু আগমন অনুমান আকারগত এবং বস্তুগত উভয়প্রকার সত্যতার সঙ্গে জড়িত।

প্রশ্ন ৯। বৈজ্ঞানিক এবং অবৈজ্ঞানিক আগমনের চারটি সাদৃশ্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক এবং অবৈজ্ঞানিক আগমনের মধ্যে সাদৃশ্য গুলি হল—-

(১) বৈজ্ঞানিক এবং অবৈজ্ঞানিক উভয় প্রকার আগমনের সিদ্ধান্ত একটি যথার্থ সামান্য বচন।

(২) কিছু সংখ্যক বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ বৈজ্ঞানিক এবং অবৈজ্ঞানিক আগমনের ভিত্তি।

(৩) বৈজ্ঞানিক এবং অবৈজ্ঞানিক, উভয়প্রকার আগমনই আগমনাত্মক ঝাঁপ থাকে।

(৪) বৈজ্ঞানিক এবং অবৈজ্ঞানিক উভয়প্রকার আগমনে সামান্যীকরণ করা হয়।

প্রশ্ন ১০। আগমনের স্তর চারটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ আগমনের স্তর চারটি হল—–

(১) পর্যবেক্ষণ —- আগমন পদ্ধতির প্রথম স্তর হল পর্যবেক্ষণ। পর্যবেক্ষণ হল কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অনুযায়ী করা সুনিয়ন্ত্রিত প্রত্যক্ষ। এই পর্যবেক্ষণ পরীক্ষণমূলক বা নিরীক্ষণমূলক হতে পারে।

(২) প্রকল্প—– আগমনের দ্বিতীয় স্তরটি হল প্রকল্প গঠন। অন্বেষণীয় ঘটনার বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্তগুলি অতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করলে সেই ঘটনার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে মনে এক একটি ধারণার উদয় হয়। এই সম্ভাব্য কারণগুলির মধ্যে কোন একটিকে প্রকৃত কারণ বলে ধরে নেওয়াই হল প্রকল্প গঠন।

(৩) সামান্যীকরণ—— অন্বেষণীয় ঘটনার বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে পাওয়া সম্বন্ধজ্ঞান সম্পর্কে মনে যে ধারণা বা প্রকল্প উদয় হয় তাকে সেই জাতীয় সকল ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত করাই হল সামান্যীকরণ।

(৪) প্রমাণীকরণ—- পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া বিশেষ বিশেষ সম্বন্ধজ্ঞানের ভিত্তিতে মনে যে সামান্য সম্বন্ধের ধারণা জন্মে সেই সামান্য ধারণাটিকে বাস্তব ঘটনার সঙ্গে মিলিয়ে তার সত্যাসত্য নির্ণয় করাই হল প্রমাণীকরণ।

প্রশ্ন ১১। বৈজ্ঞানিক আগমন এবং অবৈজ্ঞানিক আগমনের মধ্যে চারটি পার্থক্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক আগমন এবং অবৈজ্ঞানিক আগমনের মধ্যে চারটি পার্থক্য হল——

(ক) বৈজ্ঞানিক আগমন দুই ধরণের পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভর করে 

—- সকল পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষণ। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক আগমন কেবল সরল পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভর করে।

(খ) বৈজ্ঞানিক আগমনের ভিত্তি হল প্রকৃতির একরূপতা নীতি এবং কার্যকারণ বিধি, কিন্তু অবৈজ্ঞানিক আগমনের ভিত্তি কেবল অভিজ্ঞতার একরূপতা বা অবাধিত অভিজ্ঞতা।

(গ) বৈজ্ঞানিক আগমনের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত কিন্তু অবৈজ্ঞানিক আগমনের সিদ্ধান্ত সম্ভাবনামূলক।

(ঘ) বৈজ্ঞানিক আগমনের প্রক্রিয়াটি জটিল কিন্তু অবৈজ্ঞানিক আগমনের প্রক্রিয়াটি সরল।

প্রশ্ন ১২। সু- সাদৃশ্যানুমান এবং কু- সাদৃশ্যানুমানের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

উত্তরঃ সু-সাদৃশ্যানুমান —– সু সাদৃশ্যানুমান হল সেই সাদৃশ্যানুমান, যাতে দুটি জিনিসের মধ্যে মৌলিক সাদৃশ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠিত হয়। 

যেমন —- পৃথিবী এবং মঙ্গলগ্ৰহের মধ্যে সাদৃশ্য হল- 

—- দুটিই সৌরজগতের গ্ৰহ, দুটির মধ্যেই একই বায়ুমণ্ডল, মাটি, সমুদ্র, উত্তাপ ইত্যাদি আছে। পৃথিবীতে জনবসতি আছে। সুতরাং মঙ্গলগ্রহেও জনবসতি আছে।

কু- সাদৃশ্যানুমান—- কু- সাদৃশ্যানুমান হল সেই সাদৃশ্যানুমান, যাতে দুটি জিনিসের মধ্যে গৌণ সাদৃশ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ – মানুষের মতই উদ্ভিদের জন্ম, বৃদ্ধি, এবং ক্ষয় আছে। মানুষের বুদ্ধি আছে। অতএব, উদ্ভিদেরও বুদ্ধি আছে।

প্রশ্ন ১৩। আগমনাত্মক  ঝাঁপের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।

উত্তরঃ আগমনাত্মক ঝাঁপ হল প্রকৃত আগমনের প্রধান লক্ষণ। আগমনাত্মক ঝাঁপটি সাধারণ ঝাঁপ নয়। এটি একটি অন্ধকারে ঝাঁপ। আগমনে কয়েকটি বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে একটি যথার্থ সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে দেখা দৃষ্টান্ত থেকে না দেখা- দৃষ্টান্তে, জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে, বিশেষ থেকে সামান্যে পৌঁছানোর ঝাঁপ টিকে আগমনাত্মক ঝাঁপ বলে। এখানে আমরা প্রমাণের বাইরে যাই, ফলে তাতে একটি ঝুঁকি থাকে। এজন্য আগমনাত্মক ঝাঁপকে আগমনের সংকটও বলা হয়। মিল এবং বেইনের মতে এই আগমনাত্মক ঝাঁপটি আগমনের অস্তিত্বের প্রমাণ।

প্রশ্ন ১৪ বৈজ্ঞানিক আগমন কী ? এর তিনটি মূল বৈশিষ্ট্য কী কী ?

উত্তরঃ যে আগমন কোন বস্তু বা ঘটনার বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে, প্রকৃতির একরূপতা বিধি এবং কার্যকারণ বিধির উপর ভিত্তি করে একটি যথার্থ সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করা হয় তাকে বৈজ্ঞানিক আগমন বলে।

 বৈজ্ঞানিক আগমনের মূল বৈশিষ্ট্য তিনটি হল—-

(ক) বৈজ্ঞানিক আগমনের সিদ্ধান্তে একটি যথার্থ সামান্য বচন প্রতিষ্ঠিত হয়।

(খ) বৈজ্ঞানিক আগমনে একটি আগমনাত্মক ঝাঁপ থাকে।

(গ) বৈজ্ঞানিক আগমনের দুটি পূর্বস্বীকৃত নীতি হল– কার্যকারণ নীতি এবং প্রকৃতির একরূপতা নীতি।

(ঘ) বৈজ্ঞানিক আগমনের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত হয়।

প্রশ্ন ১৫। আগমনের সমস্যার বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।

উত্তরঃ আগমন অনুমানে বিশেষ বিশেষ বস্তু বা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে একটি সামান্য সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং তার বাস্তব সত্যতা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই সামান্য সিদ্ধান্ত বচনটি নিগমন অনুমানে আশ্রয়বাক্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কয়েকটি ঘটনার পর্যবেক্ষণ থেকে কী করে একটি সামান্য যথার্থ বচন প্রতিষ্ঠা করা হয় সেটাই হল আগমনের সমস্যা।

অভিজ্ঞতা আমাদের সামান্য সত্যের জ্ঞান দিতে পারে না। অভিজ্ঞতা কেবল বিশেষ বিশেষ বস্তু বা ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞান দেয়। উদাহরণস্বরূপ —- কয়েকজন মানুষের মরণশীলতা দেখে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছুল যে ‘সকল মানুষ হয় মরণশীল।’ এখানে প্রশ্ন উঠে, কয়েকটি দৃষ্টান্ত দেখে আমরা কী করে একটি সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করতে পারি ? অন্যভাবে বলতে গেলে, কী করে আমরা বিশেষ থেকে সামান্যকে অনুমান করতে পারি ? এটাই হল আগমনের সমস্যা।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top