Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধা

Join Roy Library Telegram Groups

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি Question Answer in Bengali, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class XII Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Assam Board HS 2nd Year Logic and Philosophy Question Answer in Bengali The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি Solutions in Bengali are free to use and easily accessible. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি Notes in Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily.

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি, Gives you a better knowledge of all the chapters. HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Notes. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Assam Board HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Suggestion will be able to solve all the doubts of the students. Class 12 Logic and Philosophy in Bengali Solution, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 12 Logic and Philosophy in Bengali Question Answer PDF. HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি

প্রথম খণ্ড

অতি সংক্ষিপ্ত  উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। মিল কয়টি পরীক্ষণমূলক পদ্ধতি স্বীকার করেন ?

উত্তরঃ মিল পাঁচটি পরীক্ষণমূলক পদ্ধতি স্বীকার করেন।

প্রশ্ন ২। মিলের মতে আগমনের মৌলিক পদ্ধতিগুলো কী কী ?

উত্তরঃ মিলের মতে আগমনের মৌলিক পদ্ধতিগুলো হলো অন্বয়ী পদ্ধতি ও ব্যতিবেকী পদ্ধতি।

প্রশ্ন ৩। মিলের আগমন পদ্ধতির উদ্দেশ্য কী কী ?

উত্তরঃ মিলের আগমন পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো একটি যথার্থ সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করা। এতে সম্ভব হয় পরীক্ষণ ও নিরীক্ষণের দ্বারা জটিল ঘটনার কার্য- কারণ সম্বন্ধ আবিষ্কার ও প্রমাণ করা।

প্রশ্ন ৪। অপসারণের সূত্র বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ দুটি ঘটনার মধ্য কার্যকারণ আবিষ্কার ও প্রমাণ করতে গেলে তাদের সঙ্গে যুক্ত অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রসাঙ্গিক বিষয় বর্জন করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক বিষয় বিচার করতে হয়, এই নিয়মগুলিকে অপসারণের সূত্রাবলি বলে।

প্রশ্ন ৫। অন্বয়ী প্রণালী প্রয়োগের জন্য কয়টি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন ?

উত্তরঃ দুই বা ততোধিক।

প্রশ্ন ৬। ব্যতিরেকী প্রণালী প্রয়োগের জন্য কয়টি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয় ?

উত্তরঃ দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন।

প্রশ্ন ৭। কাকতালীয় দোষের অর্থ কী ?

উত্তরঃ কাকতালীয় দোষের অর্থ হল যে – কোন অব্যবহৃত পূর্ববর্তী ঘটনাকে কারণ বলে ভুল করা হলে কাকতালীয় ন্যায় দোষটি ঘটে।

প্রশ্ন ৮।‌ অন্বয়ী  পদ্ধতির সিদ্ধান্তটি নিশ্চিত — এটা শুদ্ধ কি ?

অথবা,

অন্বয়ী প্রণালীর সিদ্ধান্ত নিশ্চিত কি ?

উত্তরঃ না,শুদ্ধ নয়।

প্রশ্ন ৯। ব্যতিরেকী পদ্ধতির সিদ্ধান্ত নিশ্চিত — তুমি একথাটি মেনে নিবে কি ?

উত্তরঃ হ্যাঁ, মেনে নিব।

প্রশ্ন ১০। সহ- পরিবর্তন পদ্ধতিটি স্থায়ী না অস্থায়ী কারণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য ?

উত্তরঃ স্থায়ী কারণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

প্রশ্ন ১১। অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতির ক্ষেত্রে —– দৃষ্টান্তের প্রয়োজন। (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)

উত্তরঃ দুই গুচ্ছ।

প্রশ্ন ১২।—— পদ্ধতিতে অসাধারণভাবে কাকতালীয় দোষের সৃষ্টি হয়। (শূন্যস্থান পূর্ণ করো।)

উত্তরঃ ব্যতিরেকী।

প্রশ্ন ১৩। অন্বয়ী পদ্ধতিটি ——— সম্ভাবনা নিষ্ফল করে তুলে ।

উত্তরঃ নানা কারণবাদের সম্ভাবনীয়তা।

প্রশ্ন ১৪। নিরীক্ষণ পদ্ধতি হিসাবে ব্যতিরেকী পদ্ধতির মধ্যে উদ্ভব হওয়া দোষটির নাম কী ?

উত্তরঃ কাকতালীয় দোষ।

প্রশ্ন ১৫।  ‘ অন্বয়ী পদ্ধতিটি হলো নিরীক্ষণ পদ্ধতি’  ———– শুদ্ধ না অশুদ্ধ লেখো।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ১৬। ব্যতিরেকী পদ্ধতি বিশেষভাবে —— এর পদ্ধতি।

উত্তরঃ পরীক্ষণের পদ্ধতি।

প্রশ্ন ১৭। অন্বয়ী পদ্ধতিটি সহাবস্থানের মধ্যে কার্যকারণ সম্বন্ধ পৃথক করে দেখাতে সক্ষম/সক্ষম নয়।

উত্তরঃ সক্ষম নয়।

প্রশ্ন ১৮। উষ্ণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে থার্মোমিটারের পারার পরিমাণ বেড়ে যায়। সেইভাবে পারার বিস্তৃতির কারণ হলো উষ্ণতা। ওপরের সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া পরীক্ষণ পদ্ধতির নাম কী ?

উত্তরঃ সহ- পরিবর্তন প্রণালী।

S.L. No.সূচি-পত্র
অধ্যায় -১আগমন এবং এর প্রকার
অধ্যায় -২আগমনের ভিত্তি
অধ্যায় -৩প্রকল্প
অধ্যায় -৪মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধা
অধ্যায় -৫বাস্তববাদ
অধ্যায় -৬ভাববাদ
অধ্যায় -৭নীতিবিদ্যা
অধ্যায় -৮ধর্ম

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। বেকন এর পরীক্ষণমূলক প্রণালী কত প্রকার ?

উত্তরঃ বেকন এর পরীক্ষণমূলক প্রণালী তিন প্রকার।

প্রশ্ন ২। মিল আগমনের প্রণালীসমূহের মধ্যে কোন প্রণালীকে উৎকৃষ্ট প্রণালী হিসাবে উল্লেখ করেছেন ?

উত্তরঃ ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে।

প্রশ্ন ৩। অন্বয়ী প্রণালী কার্যকারণ সম্বন্ধের ইঙ্গিত দেয়, কিন্তু ——– না করতে পারে।

উত্তরঃ প্রমাণ।

প্রশ্ন ৪। অন্বয়ী প্রণালীর সকল দৃষ্টান্ত সদর্থক/ নঞর্থক।

উত্তরঃ সদর্থক।

প্রশ্ন ৫। সহ- পরিবর্তন প্রণালী নিরীক্ষণ/ পরীক্ষণ উভয় প্রণালী।

উত্তরঃ নিরীক্ষণ।

প্রশ্ন ৬। পরীক্ষণমূলক পদ্ধতিসমূহের প্রকৃত কার্য কী ?

উত্তরঃ পরীক্ষণমূরক পদ্ধতিসমূহের প্রকৃত কার্য হল দুটি ঘটনার মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কার এবং প্রতিষ্ঠা করা।

প্রশ্ন ৭। কোন তর্কবিদ পরিশেষ প্রণালীকে ‘ আবিষ্কারের সংকেতক ‘ বলে অভিহিত করেছেন ?

উত্তরঃ কারভেথ রীড।

প্রশ্ন ৮। পরিমাণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা একমাত্র প্রণালীটি হ’লো —- 

(ক) অন্বয়ী প্রণালী। 

(খ) ব্যতিরেকী প্রণালী।

(গ) সহ- পরিবর্তন প্রণালী। 

(ঘ) পরিশেষ প্রণালী।

উত্তরঃ (গ) সহ- পরিবর্তন প্রণালী।

প্রশ্ন ৯। অপসারণ শব্দটির অর্থ কী ?

উত্তরঃ অপসারণ শব্দটির অর্থ হল বর্জন করা বা ত্যাগ করা।

প্রশ্ন ১০। কে অন্বয়ী প্রণালীকে একান্বয়ী প্রণালী বলেছেন ?

উত্তরঃ মেলোন, কফি।

প্রশ্ন ১১। ” একটি পূর্ববর্তী ঘটনার হ্রাস – বৃদ্ধির সঙ্গে যদি অনুবর্তী ঘটনার হ্রাস – বৃদ্ধি হয় তাহলে ঘটনা দুটি কার্যকারণ সম্বন্ধের দ্বারা আবদ্ধ হয়।” অপসারণের কোনটি সূত্রের ওপর এই প্রণালী প্রতিষ্ঠিত ?

উত্তরঃ সহ- পরিবর্তন পদ্ধতি।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। মিলের মতে বিভিন্ন প্রকার আগমনাত্মক পদ্ধতিগুলি কী কী ? এইগুলির নাম লেখো।

উত্তরঃ মিলের মতে পরীক্ষণমূলক পদ্ধতি পাঁচটি। এইগুলি হল —– অন্বয়ী পদ্ধতি, ব্যতিরেকী পদ্ধতি, মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতি, সহ- পরিবর্তন পদ্ধতি,ও পরিশেষ প্রণালী।

প্রশ্ন ২। অন্বয়ী পদ্ধতির অপসারণের সূত্রটি লেখো।

অথবা, 

অপসারণের কোন সূত্রের ওপরে অন্বয়ী প্রণালী প্রতিষ্ঠিত ?

অথবা, 

অন্বয়ী প্রণালী প্রতিষ্ঠিত হওয়া অপসারণের সূত্রটি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ অন্বয়ী পদ্ধতি বা প্রণালী প্রয়োগের ক্ষেত্রে অপসারণের সূত্রটি হল —- কোন পূর্ববর্তী ঘটনাকে অপসারিত করলে যদি অনুবর্তী কোন ঘটনা বা কার্য অপসারিত না হয়, তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারণের অংশ হতে পারে না।

প্রশ্ন ৩। অপসারণের কোন মৌলিক সূত্র ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ?

অথবা, 

ব্যতিরেকী প্রণালী প্রতিষ্ঠিত হওয়া অপসারণের সূত্রটি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ‘ কার্যের কোন ক্ষতি না করে যদি পূর্ববর্তী ঘটনার কোন অংশ বাদ দেওয়া না হয়,তা হলে সেই অংশ কার্যটির কারণ বা কারণের অংশ হবে।’

প্রশ্ন ৪। ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য কতটি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন ?

উত্তরঃ ব্যতিরেকী প্রণালী প্রয়োগের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়ের প্রয়োজন। এইগুলি হল —

(ক) দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন।

(খ) দুটি দৃষ্টান্তের মধ্যে একটি ভাববাচক ও অন্যটি অভাববাচক হবে।

(গ) ভাববাচক দৃষ্টান্তে ঘটনাটি উপস্থিত থাকে কিন্তু অভাববাচক দৃষ্টান্তে ঘটনাটি অনুপস্থিত থাকে।

(ঘ) আমরা দেখতে পাই দৃষ্টান্ত দুটির মধ্যে একটি বিষয় ছাড়া বাকি সব বিষয়ে মিল থাকবে।

প্রশ্ন ৫। সহ- পরিবর্তন প্রণালীর বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

উত্তরঃ সহ- পরিবর্তন প্রণালীর বৈশিষ্ট্যগুলি হল—–

(ক) এই প্রণালী স্থায়ী কারণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

(খ) মিলের অন্যান্য পদ্ধতিগুলো হলো গুণগত। কিন্তু সহপরিবর্তন প্রণালী হলো পরিমাণগত পদ্ধতি।

এই পদ্ধতির দ্বারা কারণ ও কার্য্যের মধ্যে পরিমাণগত পরিবর্তন বিচার করা সম্ভব হয়।

প্রশ্ন ৬। অন্বয়ী পদ্ধতির সিদ্ধান্ত কেন নিশ্চিত হয় না ?

উত্তরঃ অন্বয়ী পদ্ধতি দ্বারা লব্ধ সিদ্ধান্ত নিশ্চিত হয় না। কারণ, এই প্রণালী মূলতঃ নিরীক্ষণের পদ্ধতি। একমাত্র পরীক্ষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত সিদ্ধান্ত পেতে পারি । কেবল নিরীক্ষণের ভিত্তিতে দৃষ্টান্ত সংগ্ৰহ করবার অসুবিধা আছে। আমরা কখনই নিশ্চিত হতে পারব না যে সবকয়টি প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো আমরা বিবেচনা করতে পারি।

প্রশ্ন ৭। পরিশেষ প্রণালী অপসারণের কোন সূত্রের ওপর নির্ভরশীল ?

উত্তরঃ পরিশেষ প্রণালী প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সূত্রের ওপর নির্ভরশীল —–” যদি কোন একটি ঘটনা অপর একটি ঘটনার কারণ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠিত কারণটি অপর কোন ঘটনার কারণ হতে পারে না।

প্রশ্ন ৮। সহ- পরিবর্তন পদ্ধতির একটি বাস্তব উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ উত্তাপ যতই বৃদ্ধি পায়, থার্মোমিটারের পারা ততই উপরের দিকে উঠে,আর উত্তাপ কমলে থার্মোমিটারের পারা নিচের দিকে নেমে যায়। অতএব, উত্তাপের বাড়া বা কমার সাথে থার্মোমিটারের পারা উঠা বা নামার কার্য কারণ সম্পর্ক আছে।

প্রশ্ন ৯। মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতির সিদ্ধান্ত কেন অধিক সম্ভাবনাময় ?

উত্তরঃ মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতি অন্বয়ী পদ্ধতির মতোই নিরীক্ষণের ওপর নির্ভরশীল। এই পদ্ধতি নিরীক্ষণ নির্ভর হওয়ার সিদ্ধান্তটি সম্ভাবনামূলক হয়। কিন্তু এই প্রণালী প্রয়োগের ক্ষেত্রে দুটি দৃষ্টান্ত গুচ্ছের প্রয়োজন হয়। একটি ভাববাচক ও অপরটি অভাববাচক । কিন্তু আমরা দেখি, এক্ষেত্রে অভাববাচক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য হয়। সুতরাং সম্ভাব্য হলেও এক্ষেত্রে সম্ভাবনার মাত্রা বেশি হয়।

প্রশ্ন ১০। অপসারণের কোনটি নীতির ওপর অন্বয়ী পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত ?

উত্তরঃ  মিলের মতে পরীক্ষণমূলক পদ্ধতি পাঁচটি। এইগুলি হল —– অন্বয়ী পদ্ধতি, ব্যতিরেকী পদ্ধতি, মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতি, সহ- পরিবর্তন পদ্ধতি,ও পরিশেষ প্রণালী।

প্রশ্ন ১১। ‘ অন্বয়ী পদ্ধতি মূলতঃ নিরীক্ষণের পদ্ধতি “— কেন ?

উত্তরঃ সরল পর্যবেক্ষণ বা নিরীক্ষণ হল প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘটা ঘটনাগুলির সুনিয়ন্ত্রিত উদ্দেশ্যমূলক প্রত্যক্ষ। অন্বয়ী পদ্ধতি মূলতঃ নিরীক্ষণের পদ্ধতি। তার অর্থ এই নয় যে, পরিক্ষণের ক্ষেত্রে এই প্রণালী প্রয়োগ করা যাবে না। পরীক্ষণ হল কৃত্রিম পরিবেশে নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরীক্ষণ সম্ভব নয়। যেমন —– বন্যা, ভূমিকম্প,চন্দ্রগ্ৰহণ, সূর্যগ্ৰহণ ইত্যাদি কৃত্রিম পরিবেশে পরীক্ষণ চলে না। এসব ক্ষেত্রে নিরীক্ষণই অনুসন্ধান চালিয়ে যাবার একমাত্র উপায়। অন্বয়ী পদ্ধতি মূলতঃ নিরীক্ষণের প্রণালী। এই কারণে , যে সবক্ষেত্রে পরীক্ষণ সম্ভব নয়,সে সব ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। এই প্রণালীতে নিরীক্ষণের সাহায্যেই দৃষ্টান্তগুলি সংগ্ৰহ করা যায়। সুতরাং অন্বয়ী পদ্ধতিকে নিরীক্ষণের পদ্ধতি বলা হয়।

প্রশ্ন ১২। অপসারণ পদ্ধতির সংজ্ঞা লেখো।

উত্তরঃ কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কার ও প্রমাণ করতে গিয়ে তাদের সঙ্গে সংযোগ আছে এমন অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রসাঙ্গিক বিষয়গুলিকে বর্জন বা অপসারণ করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক বিষয় বিচার করতে হয়। যে পদ্ধতি দ্বারা অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রসাঙ্গিক বিষয় বর্জন করতে হয়, তাকে অপসারণের পদ্ধতি বলে।

প্রশ্ন ১৩। আগমনাত্মক পদ্ধতিকে কেন অপসারণ পদ্ধতি বলা হয় ?

উত্তরঃ মিলের অনুসন্ধান পদ্ধতি আগমনাত্মক পদ্ধতির অন্তর্গত। একটি যথার্থ সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আমাদের কিছু পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হয়।

মিলের পরীক্ষণমূলক পদ্ধতিগুলিকে আগমনাত্মক বলে। কার্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয়ের জন্য মিল এই পদ্ধতিগুলি উদ্ভাবন করেছিলেন। কার্যকারণ বিধি একটি সার্বিক নিয়ম। এই সমস্যার সমাধান কল্পে মিল পাঁচটি পরীক্ষণমূলক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন। এই পদ্ধতিগুলি হল—- অন্বয়ী পদ্ধতি, ব্যতিরেকী পদ্ধতি, মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতি, সহ-পরিবর্তন পদ্ধতি,ও পরিশেষ পদ্ধতি।

মিলের পরীক্ষণমূলক প্রণালীগুলিকে অপসারণ পদ্ধতি নামে অভিহিত করা হয়। অপসারণ হল বর্জন করা বা পরিত্যাগ করা। অতএব, অপসারণের অর্থ আকস্মিক এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি বর্জন, যেগুলি কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই। মিলের অনুসন্ধানের পদ্ধতির লক্ষ্য হল অপসারণের সার্থক দিকটি যেটি কার্যকারণ সম্বন্ধ আবিষ্কার এবং প্রমাণ করা।

প্রশ্ন ১৪। অন্বয়ী পদ্ধতির দুটি সুবিধা লেখো।

উত্তরঃ অন্বয়ী প্রণালীর দুটি সুবিধা বা গুণ হল—–

(ক) অন্বয়ী প্রণালী প্রয়োগের ক্ষেত্র অতি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এই প্রণালী সহজ ও সরল পদ্ধতি। এই পদ্ধতি প্রধানতঃ নিরীক্ষণের পদ্ধতি বলে পরীক্ষণের পদ্ধতির তুলনায় এর প্রয়োগক্ষেত্র অধিক বিস্তৃত। তাই অন্বয়ী পদ্ধতির পরিসর অতি ব্যাপক।

(খ) এই প্রণালী দ্বারা আমরা কারণ থেকে কার্যে এবং কার্য থেকে কারণে যেতে পারি। নিরীক্ষণের পদ্ধতি হওয়ার অন্বয়ী পদ্ধতির সুবিধা আছে।

প্রশ্ন ১৫। ব্যতিরেকী পদ্ধতির দুটি সুবিধা বা গুণ লেখো।

উত্তরঃ ব্যতিরেকী পদ্ধতির দুটি সুবিধা বা গুণ হল—–

(ক) ব্যতিরেকী প্রণালী খুব সহজ ও সরল । কারণ এখানে কার্যকারণ নির্ণয়ের জন্য দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয়।

(খ) ব্যতিরেকী প্রণালী মূলতঃ পরীক্ষণ নির্ভর হওয়ায় সিদ্ধান্ত প্রায় নিশ্চিত হয়। 

প্রশ্ন ১৬। সহ পরিবর্তন প্রণালীর দুটি সুবিধা বা গুণ লেখো।

উত্তরঃ সহ- পরিবর্তন প্রণালীর দুটি সুবিধা বা গুণ হল—–

(ক) স্থায়ী কারণ সমূহের ক্ষেত্রে সহ- পরিবর্তন প্রণালী প্রয়োগ করে কার্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয় করা সম্ভব হয়।

(খ) সহ- পরিবর্তন প্রণালীর সাহায্যেই কার্য এবং কারণের পরিমাণগত স্বভাব বিচার করা হয়। পরিমাণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কেবল সহ- পরিবর্তন প্রণালী প্রযোজ্য ।

প্রশ্ন ১৭। মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালীর দুটি দোষ বা অসুবিধা লেখো।

উত্তরঃ মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালীর দুটি দোষ বা অসুবিধা হল—–

(ক) মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালী মূলতঃ পর্যবেক্ষণ নির্ভর হওয়াতে এর সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য হয়। যদি সম্ভাব্যতার মাত্রা খুব বেশি থাকে।

(খ) অপর্যাপ্ত বিশ্লেষণ এবং নানা কারণবাদের সমস্যা থেকে এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ মুক্ত নয়।

প্রশ্ন ১৮। পরিশেষ পদ্ধতির দুটি দোষ বা অসুবিধা লেখো।

উত্তরঃ পরিশেষ পদ্ধতির দুটি দোষ বা অসুবিধা হল—-

(ক) পরিশেষ পদ্ধতির ব্যবহার অতি সীমিত। এই পদ্ধতি কেবল সমগুণ সম্পন্ন কার্য সংমিশ্রণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

(খ) এই পদ্ধতি থেকে কোন বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের কাজ আরম্ভ করা যায় না।

প্রশ্ন ১৯।‌ ‘ ব্যতিরেকী পদ্ধতি কারণ এবং উপকারণের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না।’ উদাহরণ সহ লেখো।

উত্তরঃ ব্যতিরেকী পদ্ধতি কারণ এবং উপকারণের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না, যেমন—- একটি খাবার প্রথমে স্বাদু মনে হলো না তখন একটু লবণ মিলিয়ে খেয়ে দেখা গেল খাবারটি সুস্বাদু লাগছে। এর অর্থ এই নয় যে ওই একটু লবণ স্বাদের কারণ। সঠিক পরিমাণ লবণ হলো খাবারের স্বাদের নানা উপকারণের মধ্যে একটি। যেমন —‌ মশলাপাতি ও অন্যান্য উপকারণ। ব্যতিরেকী পদ্ধতি দ্বারা কারণ এবং উপকারণের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় সম্ভব নয়।

প্রশ্ন ২০। সহ- পরিবর্তন প্রণালীর মূল্য কীভাবে নির্ধারণ করা হয় সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ সহ- পরিবর্তন প্রণালী আবিষ্কার বা প্রমাণের প্রণালী নয় সত্য, কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষণা কিংবা অনুন্ধানের  ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির মূল্য আছে। অন্যান্য প্রণালী প্রয়োগের জন্য অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয় বর্জন করতে হয়। এখানেও তা করা হয়। কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ের ব্যাপারে অ- কারণকে বর্জন করতে হয়। এই বর্জনের সূত্রটি হলো, ‘ আলোচ্য ঘটনার হ্রাস- বৃদ্ধির সঙ্গে যদি অন্য কোন ঘটনার হ্রাস- বৃদ্ধি না হয়, তাহলে ওইটিকে আলোচ্য ঘটনার কার্য বা কারণ বলা যাবে না।

এই প্রণালী প্রয়োগ করে এভাবে আলোচ্য ঘটনার কার্য বা কারণ নয়, তাকে নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করে বাতিল করা যায়।

প্রশ্ন ২১। পরিশেষ প্রণালীর মূল্য কীভাবে নির্ধারণ করা যায় সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ পরিশেষ প্রণালীর সাহায্যে সুনিশ্চিত ভাবে কার্য বা কারণ আবিষ্কার করা যায় না কিংবা প্রমাণও করা যায় না, তথাপি জটিল কোন ঘটনার অংশবিশেষের কার্য বা কারণ অনুসন্ধানে এই প্রণালী প্রয়োগ করতে হয়। একথা বলা যায় যে জটিল কোন ঘটনার কারণ বা কার্য অনুসন্ধানের কাজে এই প্রণালী আমাদের মনে আগ্ৰহ বা কৌতুহল সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ২২। মিলের পরীক্ষণমূলক নীতির দুটি সমালোচনা লেখো।

উত্তরঃ মিলের পরীক্ষণমূলক নীতির দুটি সমালোচনা হল নিম্নরূপ —–

(ক) প্রতিটি প্রণালী প্রয়োগের পেছনে যে বিশ্বাস কাজ করে, তাহলে প্রকৃতির জটিল ঘটনা গুলিকে সরল নিয়মে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এটা ঠিক নয়।

(খ) নানা কারণ ঘটিত এবং কার্য সংমিশ্রণ জনিত দোষ এই সব প্রণালীকে দুষ্ট করতে পারে।

প্রশ্ন ২৩। আগমন পদ্ধতি বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক আগমনের উদ্দেশ্য হলো, দুটি ঘটনার মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কার ও প্রমাণ করা যাতে একটি যথার্থ সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। তর্কবিজ্ঞানী মিল এই সমস্যা সমাধানের জন্য পাঁচটি পদ্ধতি উল্লেখ করেছেন। মিলের মতে এসব পদ্ধতি অবলম্বন করে নিরীক্ষণ ও পরীক্ষণের ভিত্তিতে জটিল ঘটনার মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কার ও প্রমাণ করা যায়। এই পদ্ধতিগুলিকেই ‘ পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি ‘ বা আরোহী পদ্ধতি বা কার্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয়ের পদ্ধতি বলে। 

এই পদ্ধতিগুলো হল নিম্নরূপ ——

(ক) অন্বয়ী পদ্ধতি বা প্রণালী।

(খ) ব্যতিরেকী পদ্ধতি বা প্রণালী।

(গ) মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতি বা প্রণালী।

(ঘ) সহ- পরিবর্তন পদ্ধতি বা প্রণালী।

(ঙ) পরিশেষ পদ্ধতি বা প্রণালী।

প্রশ্ন ২৪। পরিশেষ প্রণালী এবং ব্যতিরেকী প্রণালীর সাদৃশ লেখো।

উত্তরঃ পরিশেষ প্রণালী এবং ব্যতিরেকী প্রণালীর সাদৃশগুলি হল নিম্নরূপ —-

(ক) পরিশেষ প্রণালী ও ব্যতিরেকী , দুই প্রণালীতে দুটি করে দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয়।

(খ) দুটি প্রণালীতে একটি দৃষ্টান্ত ভাববাচক, অপরটি অভাববাচক।

(গ) দুটি প্রণালীতেই ভাববাচক এবং অভাববাচক দৃষ্টান্তের মধ্যে মাত্র একটি বিষয়ে পার্থক্য আছে।

প্রশ্ন ২৫। পরিশেষ প্রণালীর দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তরঃ পরিশেষ প্রণালীর বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ —-

(ক) পরিশেষ প্রণালীকে বিশুদ্ধ আগমনাত্মক প্রণালী বলা যায় না। এটি একটি আগমন নিগমন প্রণালী। আবার, পরিশেষ প্রণালীতে ব্যাপক আশ্রয় বাক্য থেকে কম ব্যাপক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হয়। তার অর্থ এই যে,এই প্রণালীতে সিদ্ধান্ত কখনও আশ্রয় বাক্য থেকে ব্যাপকতর হয় না।

(খ) পরিশেষ প্রণালীর সিদ্ধান্ত আশ্রয়বাক্য থেকে বৈধভাবে নিঃসৃত হয় না। এমনও হতে পারে যে, আশ্রয়বাক্য সত্য কিন্তু সিদ্ধান্ত মিথ্যা, যা বৈধ অনুমানের নিয়ম নয়।

প্রশ্ন ২৬। ব্যতিরেকী প্রণালীকে প্রমাণের প্রণালী বলার কারণ কী ?

উত্তরঃ মিল ব্যতিরেকী প্রণালীকে পরীক্ষণের পদ্ধতি বলেছেন। কারণ ,এই প্রণালী মূলতঃ পরীক্ষণের ওপর নির্ভরশীল। এই প্রণালী প্রয়োগের জন্য দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয়। একটি সদর্থক অপরটি নঞর্থক। একটিতে অনুসন্ধানের বিষয়টি উপস্থিত থাকে, অন্যটিতে থাকে না। দৃষ্টান্ত দুটির মধ্যে কেবল একটি বিষয় ছাড়া অন্য সকল বিষয়ে মিল থাকতে হবে। অমিল থাকা সদর্থক দৃষ্টান্তে থাকতে হবে এবং নঞর্থক দৃষ্টান্তে অনুপস্থিত থাকতে হবে। সরল পর্যবেক্ষণের দ্বারা এই জাতীয় দৃষ্টান্ত পাওয়া সম্ভব নয়। একমাত্র পরীক্ষণের মাধ্যমেই সেটা সম্ভব। কারণ পরীক্ষণে আমরা কৃত্রিম পরিবেশে ভাববাচক এবং অভাববাচক দৃষ্টান্তগুলি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারি। কাজেই ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে পরীক্ষণের পদ্ধতি বলা হয়।

প্রশ্ন ২৭। ব্যতিরেকী প্রণালীকে ‘ একক ব্যতিরেকী’ বলার কারণ কী ?

উত্তরঃ ব্যতিরেকী প্রণালীকে একক ব্যতিরেকী বলা হয়। কারণ, এখানে দুটি দৃষ্টান্তকে তুলনা করা হয় এবং দেখা যায় যে একটি বিষয়ে পার্থক্য আছে। আমরা আরও দেখতে পাই যে, দৃষ্টান্ত দুটিতেই মাত্র একটি বিষয়ে পার্থক্য থাকা উচিত। সুতরাং তর্কবিদ মেলোন, কফি প্রমুখ এই পদ্ধতিকে ‘ একক ব্যতিরেকী ‘ বলেছেন।

প্রশ্ন ২৮। সহ- পরিবর্তন প্রণালীর একটি উদাহরণ দাও যেটিকে একমুখী সহ পরিবর্তন বলা হয়।

উত্তরঃ উত্তাপ যতই বৃদ্ধি পায়, থার্মোমিটারের পারা ততই উপরের দিকে উঠে আর উত্তাপ কমলে থার্মোমিটারের পারা নিচের দিকে নেমে যায়। অতএব উত্তাপের বাড়া বা কমা থার্মোমিটারের পারার উঠানামার কারণ।

প্রশ্ন ২৯। অন্বয়ী প্রণালীর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তরঃ অন্বয়ী প্রণালীর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল—

 (ক) দুই বা ততোধিক দৃষ্টান্তের মধ্যে একটি বিষয়ে সাদৃশ বা অন্বয় থাকা প্রয়োজন। এই কারণে মিল একে অন্বয়ী পদ্ধতি বলেছেন।

(খ) বিভিন্ন দৃষ্টান্তের মধ্যে মাত্র একটি বিষয়ে মিল থাকে, আর সব বিষয়ে আমি থাকে। এই কারণে মেলন, কফি প্রমুখ তর্ক বিজ্ঞানীরা এই প্রণালীকে  একান্বয়ী প্রণালী নামে অভিহিত করেছেন।

(গ) এই পদ্ধতি মূলতঃ পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভর করে। এর অর্থ এই নয় যে, পরীক্ষণের ক্ষেত্রে এই প্রণালীকে প্রবেশ করা যাবে না।

(ঘ) অন্বয়ী প্রণালীর দ্বারা কারণ থেকে কার্য এবং কার্য থেকে কারণ‌‌‌ অনুসন্ধান করতে হয়।

প্রশ্ন ৩০। ব্যতিরেকী প্রণালীর তিনটি সুবিধা বা গুণ লেখো।

উত্তরঃ ব্যতিরেকী প্রণালীর সুবিধাগুলি হল—–

(ক) ব্যতিরেকী প্রণালী খুব সহজ ও সরল। কারণ এখানে কার্যকারণ নির্ণয়ের জন্য দুটি মাত্র দৃষ্টান্তের প্রয়োজন।

(খ) ব্যতিরেকী প্রণালী মূলতঃ পরীক্ষণ নির্ভর হওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় নিশ্চিত হয়।

(গ) পরীক্ষণের মাধ্যমে এই প্রণালীকে প্রয়োগ করলে,এর কতকগুলি যাচাই করার প্রক্রিয়া পাওয়া যায়, যা দিয়ে অন্বয়ী প্রণালী দ্বারা লব্ধ সিদ্ধান্তকে নির্ভুল বলে প্রমাণ করা সম্ভব হয়।

প্রশ্ন ৩১। অন্বয়ী প্রণালীর একটি সুবিধা উল্লেখ করো। এই প্রণালীকে কেন আবিষ্কারের পদ্ধতি বলা হয় ?

উত্তরঃ অন্বয়ী প্রণালীর একটি সুবিধা হল—– অন্বয়ী পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ ও সরল পদ্ধতি। এই পদ্ধতি প্রধানতঃ নিরীক্ষণের পদ্ধতি বলে, পরীক্ষণের পদ্ধতির তুলনায় এর প্রয়োগক্ষেত্র অধিক বিস্তৃত।

অন্বয়ী প্রণালী নিরীক্ষণের পদ্ধতি হওয়ারতে, এতে আমরা কারণ থেকে কার্যে এবং কার্য থেকে কারণে একই সঙ্গে যেতে পারি। এভাবে কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কারের কাজে সাহায্য করে বলেই প্রণালীকে আবিষ্কারের পদ্ধতি বলা হয়।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। কাকতালীয় ন্যায় দোষ সম্বন্ধে সংক্ষেপে টীকা লেখো।

অথবা, 

ব্যতিরেকী প্রণালী কখন কাকতালীয় ‘দোষযুক্ত’ হয় ?

উত্তরঃ ব্যতিরেকী প্রণালীকে অসতর্কভাবে প্রয়োগ করলে কাকতালীয় ন্যায় দোষ (Fallacy of post hoc ergo propter hoc) ঘটে। ‘ একটি ঘটনার পরে অপর একটি ঘটনা ঘটেছে, অতএব,প্রথম ঘটনাটি দ্বিতীয় ঘটনার কারণ ‘ এমন সিদ্ধান্ত করলে এই দোষ ঘটে। যেমন—- 

আকাশে ধূমকেতু ছিল না এবং রাজাও মারা যাননি।

আকাশে ধূমকেতু দেখা দিল এবং রাজাও মারা গেলেন।

আকাশে ধূমকেতুর আবির্ভাব রাজার মৃত্যুর কারণ এই যুক্তিতে কাকতালীয় দোষ ঘটে।

তবে এই প্রণালী যখন পরীক্ষণ ভিত্তিক হয়, তখন সিদ্ধান্ত নিশ্চিত হয়। অন্যান্য প্রণালীর তুলনায় এই প্রণালীর গুরুত্ব হলো এখানে যে, সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে, আমরা কার্যকারণ সম্বন্ধে সঠিক সিদ্ধান্ত করতে পারি। অন্বয়ী প্রণালী যে কার্যকারণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়, ব্যতিরেকী প্রণালী তাকে প্রমাণ করে। সুতরাং মিলের মতে,সব প্রণালীর মধ্যে ব্যতিরেকী প্রণালী শ্রেষ্ঠতম ।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top