SEBA Class 8 Bengali Chapter 4 জাগো, জাগো ভারত সন্তান

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 8 Bengali Chapter 4 জাগো, জাগো ভারত সন্তান Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 8 Bengali Chapter 4 জাগো, জাগো ভারত সন্তান Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 8 Bengali Chapter 4 জাগো, জাগো ভারত সন্তান Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 8 Bengali Chapter 4 জাগো, জাগো ভারত সন্তান Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF Class 8 Bengali textbook Solutions. I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 8 Bengali Chapter 4 জাগো, জাগো ভারত সন্তান

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Bengali Chapter 4 জাগো, জাগো ভারত সন্তান Suggestions with you. SEBA Class 8 Bengali Chapter 4 জাগো, জাগো ভারত সন্তান I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Bengali Chapter 4 জাগো, জাগো ভারত সন্তান Notes. If you liked SEBA Class 8 Bengali Chapter 4 জাগো, জাগো ভারত সন্তান Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

জাগো, জাগো ভারত সন্তান 

ক্রিয়াকলাপ

ক — পাঠভিত্তিক 

প্রশ্ন ১। কবিতাটি শুদ্ধ ও স্পষ্ট উচ্চারণে পড়ো এবং আবৃত্তি করো।

উত্তরঃ নিজেরা পড়ো ও আবৃত্তি করো।

প্রশ্ন ২। উত্তর বলো ও লেখো।

(ক) কবি এখানে কাকে, কেন জেগে উঠতে বলেছেন?

উত্তরঃ এখানে কবি ভারতমাতার সন্তানদের দেশমাতৃকার উদ্ধারের জন্য জেগে উঠতে বলেছেন।

(খ) কালঘুম না ভাঙলে ভারতের কী অবস্থা হবে?

উত্তরঃ কালঘুম না ভাঙলে দেশবাসী দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে। দেশমাতা পরাধীনতার শৃঙ্খলে চিরদিন আবদ্ধ হয়ে থাকবে। দেশের নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই অত্যাচারিত, নিপীড়িত দীনহীন কাঙালিনীর ন্যায় নারীর ছিন্নবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের দ্বারাই উদ্ধার পাওয়া সম্ভব। নাহলে দেশ ও জাতি গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।

(গ) কোটি কণ্ঠের বন্দেমাতরম ধ্বনিতে কী হবে?

উত্তরঃ বন্দেমাতরম ধ্বনির মহিমা ও গুরুত্ব অপরিমেয়। এই বিশেষ সঙ্গীতের মধ্যেই জাতির আত্মপ্রকাশের সর্বজনীন বৈভব। এই একটি ধ্বনির মধ্যে জাতি শুনেছিল মুক্তির শঙ্খধ্বনি। এই ধ্বনিতেই তার রক্তের মধ্যে জেগেছিল সমুদ্র উত্তাল। মৃত্যুর গর্জন সে শুনেছে সঙ্গীতের মতন। এই মাতৃমন্ত্র উচ্চারণ করেই কত মুক্তিযোদ্ধা জীবন উৎসর্গ করতেন। কণ্ঠে কণ্ঠে ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হল ‘বন্দেমাতরম’।

S.L. No.সূচীপত্র
পাঠ -১জোনাকি
পাঠ -২চিরকালের শরাইঘাট
পাঠ -৩অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি
পাঠ -৪জাগো, জাগো ভারত সন্তান
পাঠ -৫হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস
পাঠ -৬পুত্রভিক্ষা
পাঠ -৭মন্ত্ৰের সাধন
পাঠ -৮প্ৰশ্ন
পাঠ -৯আদাব
পাঠ -১০হারানো সভ্যতার খোঁজে
পাঠ -১১উপমন্যু
পাঠ -১২সুখ
পাঠ -১৩হোমি জাহাংগির ভাবা
পাঠ -১৪সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন
পাঠ -১৫শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ

প্রশ্ন ৩। কবিতাটিতে যে সমস্ত শব্দের অর্থ বোঝনি সেই শব্দগুলোর অর্থ শব্দ-সম্ভার বা অভিধান থেকে দেখে জেনে নাও।

উত্তরঃ উদিত- উদয় হয়েছে এমন।

অলস- কর্মহীন।

দীনা- অসহায় গরিব নারী।

লাঞ্ছিতা- অত্যাচারিতা।

প্রতিধ্বনি- শব্দ আঘাত পেয়ে পুনরায় যে শব্দ সৃষ্টি করে।

গগনে- আকাশে।

লোহিত- লাল।

বরষের- বছরের।

বরণে- বর্ণে।

গত- একশো।

জাগিবে- জাগবে ৷

বাসভূমে- বাসভূমি।

পদাঘাতে- পায়ের আঘাতে।

আলোক- আলো।

প্রশ্ন ৪। কবিতাটির মূলভাব লেখো।

উত্তরঃ যেখানে দেশপ্রেম মানুষের এক উন্নত বৃত্তি, যেখানে তা ত্যাগ তিতিক্ষার মহৎ বৈভবে উদ্ভাসিত, সেখানে তা গৌরবের বস্তু, অহংকারের বিষয়। কিন্তু যেখানে দেশপ্রেম অন্ধ ও উগ্র, সেখানে জাতির জীবনে তা এক অনপনেয় কলঙ্ক।

দেশ ও জাতির জীবনে যখন সুখ আর ঐশ্বর্যের প্রাচুর্য তখন মানুষের স্বদেশ প্রেম থাকে গভীর ঘুমঘোরে মগ্ন। দুঃখ নির্যাতনের আঘাতে আঘাতেই হয় সেই সুপ্তি মগ্নতার আবরণ উন্মোচন। দেশের যখন সংকট মুহূর্ত, যখন বহিঃশত্রুর উল্লাস অভিযানে দেশের স্বাধীনতা বিপর্যস্ত, তখন পরাধীনতার বিষজ্বালায় জর্জরিত মানুষ মুক্তি-কামনায় উদ্বেল-অস্থির। যখন রক্তচক্ষু বিদেশী শাসকের নির্যাতন চরমে, তখনই আসে মানুষের স্বদেশ প্রেমের অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষালগ্ন। তখনই দেশের মর্যাদার জন্যে মানুষ অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দেয়। শত শত শহীদের মৃত্যুর মধ্য দিয়েই দেশপ্রীতির প্রাণপ্রতিষ্ঠা। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও জাতীয়তাবোধ হল স্বদেশ প্রেমের প্রধান উৎস। কত বীরের আত্মবলিদানে তখন স্বদেশের মৃত্তিকা হয় রক্তে রাঙা। পরদেশীর কলুষস্পর্শ থেকে আত্মরক্ষার প্রয়োজনে তখন কত বীরাঙ্গনা অনলে আত্মাহুতি দেয়।

প্রশ্ন ৫। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

লোহিত __________, পূরব __________, উদিত __________ তপন রে।

জাগিছে __________, জেগেছে __________, নবীন __________ রে।

উত্তরঃ লোহিত বরনে পূরব গগনে, উদিত তরুণ তপন রে।

জাগিছে চীন, জেগেছে জাপান, নবীন আলোক রে।

প্রশ্ন ৬। প্রসঙ্গের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাখ্যা করো।

কোটি কণ্ঠস্বরে গাও উচ্চৈঃস্বরে বন্দেমাতরম্ রে!

শুনিয়া সে ধ্বনি স্বরগে অমনি হবে প্রতিধ্বনি রে!

শত বরষের অলস পরাণ, জাগিবে জাগিবে রে!

উত্তরঃ গভীর আত্মসম্ভ্রমবোধ থেকেই জন্মগ্রহণ করে অগ্নিশুদ্ধ দেশপ্রেমের মহামন্ত্র। আমরা যতই স্বাধীনতার জন্য ব্যাকুল হইব, ততই আমরা আনন্দের অনুভূতি পাইব; নেতাজী সুভাষচন্দ্র কথিত এই আনন্দের অনুভূতি হল দেশপ্রেম। স্বদেশপ্রীতি মানুষের একধরনের পরিশুদ্ধ ভাবাবেগ। এই ভাবাবেগের সোনার কাঠির স্পর্শেই মানুষের কর্মে, চিন্তায়, জীবনযাত্রায় নবজীবনের আসে জোয়ার। শিল্প সাহিত্য সঙ্গীতে আসে নতুন জাগরণ। নব নব ভাব-বন্যায় চিত্ত হয় সমৃদ্ধ। স্বদেশপ্রীতির মধ্য দিয়েই মানুষ নিজের অস্তিত্বকে, নিজের স্বরূপকে, নিজের মর্যাদাকে নতুন করে উপলব্ধি করে।

দেশপ্রেমই মানুষকে উদার, নির্লোভ, সংস্কারমুক্ত করে। দেশপ্রীতিই সংকীর্ণতা, ভেদবুদ্ধি থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়। বৃহত্তর কল্যাণচেতনাই মানুষের অন্তলোকে প্রজ্বলিত করে দেশপ্রেমের নিষ্কলুষ অনির্বাণ দীপশিখা। দেশসেবার পথে পথে ছড়ানো থাকে মৃত্যুর কত তোরণদ্বার। থাকে কত ঝড়ঝঞ্ঝা-বজ্রপাতের বিস্তর বাধা। বিদেশীর রক্তচক্ষু সীমাহীন নির্যাতন দেশপ্রেমিকের কাছে তুচ্ছ। মৃত্যুর গর্জন শুনেছে সে সঙ্গীতের ন্যায়। ফাঁসির মঞ্চে সেজন্য জীবনেরই জয়গান। পথে পথে রেখে গেছে কত রক্ত স্বাক্ষর। সামাজিক মানুষের গভীর মমত্ববোধই হল দেশপ্রেমের উৎস, স্বজাতি প্রীতির বন্ধন। দেশপ্রীতি সেজন্য মানুষের এক মহৎ উত্তরাধিকার। জননী জন্মভূমি তখন স্বর্গের চেয়েও গরীয়সী মহিমায় দীপ্ত। মানুষের তখন একটাই প্রার্থনা- আমার এই দেশেতেই জন্ম যেন, এই দেশেতেই মরি।

খ- ভাষা অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

প্রশ্ন ৭। তোমরা ইতিমধ্যে ক্রিয়াপদের বিষয়ে জেনেছ। এবার আমরা ক্রিয়ার বিভাগগুলো জানব। নীচের উদাহরণ অনুযায়ী দুটি করে বাক্য লেখো।

(ক) ছেলেগুলো স্বাধীনতার গান গায়।

(খ) _____________________

(গ) _____________________

যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের অর্থ শেষ হয়ে যায় এবং অন্য ক্রিয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে না, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।

উত্তরঃ (ক) ছেলেগুলো স্বাধীনতার গান গায়।

(খ) বালকটি বইটি পড়ছে।

(গ) আমার বাবা বাজারে যাচ্ছে।

যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের অর্থ শেষ হয়ে যায় এবং অন্য ক্রিয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে না, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।

(ক) বন্ধেমাতরম্ ধ্বনি শুনে আমি দৌড়ে গেলাম।

(খ) _____________________

(গ) _____________________

যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের অর্থ শেষ হয় না, অন্য ক্রিয়ার অপেক্ষা করতে হয় অর্থাৎ আরও কিছু বলবার আকাঙ্ক্ষা থাকে তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে।

উত্তরঃ (ক) বন্দেমাতরম্ ধ্বনি শুনে আমি দৌড়ে গেলাম।

(খ) আমি গান শুনতে ছুটে এলাম।

(গ) তোমরা বাড়ি গিয়ে সেখানে যাবে।

যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের অর্থ শেষ হয় না, অন্য ক্রিয়ার অপেক্ষা করতে হয় অর্থাৎ আরও কিছু বলবার আকাঙ্ক্ষা থাকে তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে।

(ক) আমরা গান করি।

(খ) …………………………………………..

(গ) …………………………………………..

যে ক্রিয়ার কর্মপদ থাকে তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। উদাহরণ- গান হচ্ছে কর্মপদ।

উত্তরঃ (ক) আমরা গান করি।

(খ) ছেলেরা ফুটবল খেলে।

(গ) পাচকেরা তরকারি কাটছে।

(ক) ভারত সস্তান জাগো।

(খ) …………………………………………..

(গ) …………………………………………..

যে ক্রিয়ার কর্মপদ নেই তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে।

উত্তরঃ (ক) ভারত সন্তান জাগো।

(খ) শিশুগুলি খেলছে।

(গ) রমা যাচ্ছে।

যে ক্রিয়ার কর্মপদ নেই তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন ৮। বাক্য রচনা করো।

লোহিত, লাঞ্ছিতা, প্রতিধ্বনি, অলস, নবীন।

লোহিত- পূর্ব আকাশে লোহিত বর্ণের সূর্য ওঠে।

লাঞ্ছিতা- লাঞ্ছিতা মহিলাটি মাথা নিচু করে কেঁদে চলেছে।

প্রতিধ্বনি- ফাঁকা মাঠে শব্দ প্রতিধ্বনি হয়।

অলস- অলস সময় কাটানো উচিত নয়।

নবীন- নবীন ছাত্রদেরকে আজ সম্বর্ধনা দেওয়া হবে।

প্রশ্ন ৯। নীচের বাক্যটি ভালো করে পড়ো এবং প্রশ্নের উত্তর দাও।

“তীর্থক্ষেত্রে রাজা নিজহস্তে ভাণ্ডার থেকে দরিদ্রকে ধন দিচ্ছেন।”

(ক) কে দিচ্ছেন? রাজা – (যে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।)

(খ) কি দিচ্ছেন? …………….. (কর্তা যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন করেন তাকে কর্ম কারক বলে।)

(গ) কি দিয়ে দিচ্ছেন? ……………….. (কর্তা যে বস্তুর দ্বারা ক্রিয়া সম্পাদন করেন তাকে করণ কারক বলে।)

(ঘ) কাকে দিচ্ছেন? ……………… (কর্তা যাকে কিছু দান করেন তাকে সম্প্রদান কারক বলে।)

(ঙ) কোথা হতে দিচ্ছেন? ……………… (যা থেকে কোনো কিছু উৎপন্ন হয় তাকে অপাদান কারক বলে।)

(চ) কোথায় দিচ্ছেন? ………………. (যাতে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় ক্রিয়ার সেই আধারকে অধিকরণ কারক বলে।)

উত্তরঃ (ক) কে দিচ্ছেন? রাজা

(খ) কি দিচ্ছেন? ধন

(গ) কি দিয়ে দিচ্ছেন? নিজহস্তে

(ঘ) কাকে দিচ্ছেন? দরিদ্রকে

(ঙ) কোথা হতে দিচ্ছেন? ভাণ্ডার

(চ) কোথায় দিচ্ছেন? তীর্থক্ষেত্রে

জেনে নাও।

বাক্যে ক্রিয়ার সঙ্গে বিশেষ্য বা সর্বনাম তথা নামপদের যে সম্বন্ধ তাকে কারক বলে।

প্রশ্ন ১০। নীচের বাক্যটি থেকে বিভিন্ন কারকের বিভক্তির পরিচয় বের করো।

“তীর্থক্ষেত্রে রাজা নিজহস্তে ভাণ্ডার থেকে দরিদ্রকে ধন দিচ্ছেন।”

যেমন- ‘রাজা’ – কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি।

ধন – কর্মকারকে শূন্য বিভক্তি।

নিজহস্তে – করণ কারকে এ বিভক্তি।

দরিদ্রকে – সম্প্রদান কারকে কে বিভক্তি।

ভাণ্ডার – অপাদান কারকে শূন্য বিভক্তি।

তীর্থক্ষেত্রে – অধিকরণ কারকে এ বিভক্তি।

◾এসো, বিসর্গ সন্ধির কয়েকটি নিয়ম জেনে নিই।

সূত্র-১ চ বা ছ পরে থাকলে বিসর্গ স্থানে শ হয়।

দুঃ + চিন্তা = দুশ্চিন্তা । 

শিরঃ + ছেদ = শিরচ্ছেদ।

নিঃ + ছিদ্র = নিশ্ছিদ্র।

সূত্র-২ ট বা ঠ পরে থাকলে বিসর্গ স্থানে ষ্ হয়।

নিঃ + ঠুর = নিষ্ঠুর।

নিঃ + ঠা = নিষ্ঠা। 

চতুঃ + টয় = চতুষ্টয়।

সূত্র-৩ ত পরে থাকলে বিসর্গ স্থানে স হয়।

অধঃ + তন= অধস্তন। 

নভঃ + তল = নভস্তল। 

তঃ + ততঃ = ইতস্ততঃ ।

সূত্র-৪ ক বা প পরে থাকলে অ-কার বা আ-কারের পরবর্তী বিসর্গ স্থানে স্ হয়।

পুরঃ + কার = পুরস্কার। 

মনঃ + কাম = মনস্কাম। 

ভাঃ + কর = ভাস্কর।

তবে অনেক সময় বিসর্গ অবিকৃত থাকে।

শিরঃ + পীড়া শিরঃপীড়া। 

অধঃ + পাত = অধঃপাত।

প্রাতঃ + কাল = প্রাতঃকাল।

কিন্তু অ বা আ ছাড়া অন্য স্বরবর্ণের পরের বিসর্গের স্থানে ষ হয়।

নিঃ + কর = নিষ্কর। 

ভাতুঃ + পুত্র = ভ্রাতুষ্পুত্র। 

দুঃ + প্রাপ্য = দুষ্প্রাপ্য।

সূত্র-৫ স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণ পরে থাকলে অ, আ, ছাড়া অন্য স্বরের পরবর্তী বিসর্গ স্থানে র্ হয়।

দ্বিঃ + আগমন = দ্বিরাগমন।

আশীঃ + বাদ = আশীর্বাদ।

দুঃ + গতি = দুর্গতি।

সূত্র-৬ ব্যঞ্জনবর্ণ পরে থাকলে অ-কারের পরবর্তী বিসর্গ স্থানে ও হয়।

যশঃ + লাভ = যশোলাভ।

সদ্যঃ + জাত = সদ্যোজাত।

পুরঃ + ভাগ = পুরোভাগ।

সূত্র-৭ অ পরে থাকলে, অ-র আগের বিসর্গ স্থানে ‘ও’ হয় এবং পরের ‘অ’ লোপ পায়।

ততঃ + অধিক = ততোধিক। 

মনঃ + অভিলাষ = মনোভিলাষ।

বয়ঃ + অধিক = বয়োধিক।

সূত্র-৮ র পরে থাকলে বিসর্গ স্থানে যে র হয় তার লোপ ঘটে এবং আগের স্বর দীর্ঘ হয়।

নিঃ + রস = নীরস। 

নিঃ+ রোগ = নীরোগ। 

নিঃ + রব = নীরব।

সূত্র-৯ আ পরে থাকলে বিসর্গ স্থানে র হয়।

পুনঃ + আগত = পুনরাগত। 

অন্তঃ + দাহ = অন্তর্দাহ।

দুঃ + অবস্থা = দুরবস্থা।

প্রশ্ন ১১। সন্ধি করো।

দুঃ + ছেদ্য = ………………

নভঃ + তল = ………………

মনঃ + কাম = ………………

পুনঃ + আদেশ = ……………..

নিঃ + অন্তর = ………………

তেজঃ + ময় = ………………

উত্তরঃ 

দুঃ + ছেদ্য = দুশ্ছেদ্য 

নভঃ + তল = নভস্তল 

মনঃ + কাম = মনস্কাম 

পুনঃ + আদেশ = পুনরাদেশ 

নিঃ + অন্তর = নিরন্তর 

তেজঃ + ময় = তেজোময় 

◾ এসো, অনুস্বার সন্ধির নিয়ম জেনে নিই-

◾ অন্তঃস্থবর্ণ (য্ র্ ল্ ব্) এবং উচ্চবর্ণ (শ্য স্হ) পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থিত ম্-স্থানে অনুস্বার হয়। যেমন-

সম্ + কার = সংস্কার।

কিম্ + বা = কিংবা।

উষ্মবর্ণ পরে থাকলে পদমধ্যস্থিত ন্ স্থানে অনুস্বার হয়। যেমন- হিন্ + স = হিংসা।

প্রশ্ন ১২। সন্ধি করো।

সম্ + বাদ = ……………..

প্রিয়ম্ + বদা = ……………..

প্রশন্ + সা = ……………..

সিন + হ = ……………..

সম্ + সদ = ……………..

সম + লগ্ন = ……………..

দন্ + শন = ……………..

সম + হার = ……………..

উত্তরঃ সম্ + বাদ = সংবাদ 

প্রিয় + বদা = প্রিয়ংবদা 

প্রশন্ + সা = প্রশংসা 

সিন্ + হ = সিংহ 

সম্ + সদ = সংসদ 

সম্ + লগ্ন = সংলগ্ন 

দন্ + শন = দংশন 

সম্ + হার = সংহার

প্রশ্ন ১৩। পাঠ থেকে খুঁজে নীচের শব্দগুলোকে বিপরীত লিঙ্গে পরিবর্তন করো।

দলিত ……………..

দীন ……………..

লাঞ্ছিত ……………..

কাঙ্গাল ……………..

উত্তরঃ 

দলিত – দলিতা

দীন – দীনা 

লাঞ্ছিত – লাঞ্ছিতা 

কাঙ্গাল – কাঙ্গালিনী 

প্রশ্ন ১৪। সমার্থক শব্দ লেখো।

তপন …………………

আকাশ ……………….…

প্ৰভাত ……………………

উত্তরঃ তপন- দিবাকর, সূর্য, প্রভাকর, ভানু, রবি।

আকাশ – ব্যোম, শূন্য, নভঃ, অন্তরীক্ষ।

প্রভাত – সকাল, প্রাতঃ, ভোর।

প্রশ্ন ১৫। এক কথায় প্রকাশ করো।

যে পরের ভূমিতে বাস করে …………….…… যে কাজ করতে চায় না…………………….।

উত্তরঃ যে পরের ভূমিতে বাস করে পরবাসী যে কাজ করতে চায় না অকর্মণ্য

◾ জেনে নাও-

‘‘তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, তোমার কিছু নয় রে’- কবি এখানে তোমার শব্দটি কাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন? সে নিশ্চয় কোনো ব্যক্তি। সেরকম আরও ব্যক্তিবাচক শব্দ আছে। যেমন- আমি, তুমি, আপনি, সে বা তিনি। সেই ব্যক্তিবাচক শব্দগুলোকে পুরুষ বলে। বচন ভেদে আবার পুরুষের পরিবর্তন হয়। এসো, সে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করি-
পুরুষের প্রকার                     একবচন                  বহুবচন
১। উত্তম পুরুষ       আমি, আমার, আমাকে        আমরা, আমাদের
২। মধ্যম পুরুষ       তুমি, তোমরা, তোমাকে      তোমরা, তোমাদের                  তুই, তোর, তোকে              তোরা, তোদের
৩। প্রথম পুরুষ       সে, তাকে, তার, তিনি         তারা, তাদের                           তাঁকে, তাঁর                       তাঁরা, তাঁদের

প্রশ্ন ১৬। এবার এই ব্যক্তিবাচক শব্দ অর্থাৎ পুরুষ দিয়ে বাক্য গঠন করো।

আমি পড়ি, তুমি…….….…….., তিনি…….………….

আমরা খেলি, তোমরা………………, তারা………….……..

উত্তরঃ আমি পড়ি, তুমি পড়, তিনি পড়ছেন

আমরা খেলি, তোমরা খেলছ, তারা খেলছে

জেনে নাও – তোমরা বাক্য গঠন করে বুঝলে যে কর্তা অর্থাৎ পুরুষের রূপ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ক্রিয়ার রূপও পরিবর্তিত হয়। আবার যে কোনো নামবাচক বিশেষ্য পদও প্রথম পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত হয়। যেমন- দিল্লি, হিমালয়, ব্রহ্মপুত্র, আয়েশা, রাম ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৭। নীচের বাক্যগুলোয় ব্যবহৃত বিশেষ্য ও সর্বনামের বচন ভেদে পুরুষ নির্দেশ করো। (প্রয়োজনে শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রী সাহায্য করবেন)

(ক) সূর্য উঠেছে।

(খ) ভারতবর্ষ জেগে উঠেছে।

(গ) তোমাদের খাওয়া হয়ে গেছে?

(ঘ) আমি রোজ স্কুলে যাই।

(ঙ) ওরা খুব ভালো।

(চ) শিক্ষকেরা আমাদের গুরুজন।

উত্তরঃ (ক) সূর্য- একবচন প্রথম পুরুষ।

(খ) ভারতবর্ষ- একবচন প্রথম পুরুষ।

(গ) তোমাদের- বহুবচন মধ্যম পুরুষ।

(ঘ) আমি- একবচন উত্তম পুরুষ।

(ঙ) এরা- বহুবচন প্রথম পুরুষ।

(চ) শিক্ষকেরা- বহুবচন প্রথমপুরুষ।

প্রশ্ন ১৮। বিভিন্ন কারকে শূন্য বিভক্তি প্রয়োগ করে বাক্য রচনা করো। (প্রয়োজনে শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রী সাহায্য করবেন)।

১। কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি- সূর্য উঠছে।

২। কর্মকারকে শূন্য বিভক্তি- অন্ন চাই, প্রাণ চাই।

৩। করণ কারকে শূন্য বিভক্তি- লাঠি মেরে চোরকে জখম করা গেল।

৪। নিমিত্ত কারকে শূন্য বিভক্তি- পথশিশু বিদ্যাদান এই সংস্থার উদ্দেশ্যে।

৫। অপাদান কারকে শূন্য বিভক্তি- স্কুল পালিয়ে চললে কোথায়?

৬। অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তি- এখন সে বাড়ি নেই।

গ – জ্ঞান-সম্প্রসারণ

প্রশ্ন ১৯। এসো, কবি অতুলপ্রসাদ সেনের একটি দেশাত্মবোধক কবিতা সবাই মিলে আবৃত্তি করি এবং সমবেত সংগীত হিসেবে গাই।

হও ধরমেতে বীর         হও করমেতে বীর

           হও উন্নত-শির;নাহি ভয়।

ভুলি ভেদাভেদ-জ্ঞান,         হও সবে আগুয়ান,

           সাথে আছে ভগবান, -হবে জয়।

           নানা ভাষা নানা মত, নানা পরিধান,

           বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান;

দেখিয়া ভারতে মহা-জাতির উত্থান- জগজন মানিবে বিস্ময়!

            তেত্রিশ কোটি মোরা নহি কভু ক্ষীণ,

            হতে পারি দীন, তবু নহি মোরা হীন!

ভারতে জনম, পুনঃ আসিবে সুদিন- ঐ দেখ প্রভাত-উদয়!

ন্যায় বিরাজিত যাদের করে, বিঘ্ন পরাজিত তাদের শরে;

সাম্য কভু নাহি স্বার্থে ডরে- সত্যের নাহি পরাজয়।।

উত্তরঃ সবাই মিলে আবৃত্তি করো এবং সমবেত সংগীত হিসাবে গাওঁ।

প্রশ্ন ২০। ওপরের কবিতাটি ভালো করে বুঝে নীচের পংক্তি দুটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

নানা ভাষা নানা মত, নানা পরিধান,

বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান;

উত্তরঃ সংহতি চেতনা হল ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতির গৌরবোজ্জ্বল মহিমার নেপথ্য উৎস। বৈচিত্র্য মানুষের জন্মভূমিকে ঐশ্বর্যশালিনী ও মহিমময়ী করেছে। কি বিশাল এই দেশ ভারতবর্ষ। সীমাহীনতার বৈচিত্র্য। বৈচিত্র্য তার প্রাকৃতিক পরিবেশে। বৈচিত্র্য মানুষের ভাষায়, আচার-ব্যবহারে, ধর্মে, সম্প্রদায়ে, বিশ্বাসে, ধ্যান-ধারণায়, শিক্ষায়। এই বিভিন্নতা নিয়েও প্রত্যেক ভারতবাসী মিলনের মন্ত্রোচ্চারণে ধন্য হয়েছে। প্রীতির রাখীবন্ধনেই হয়েছে এক জাতি, এক প্রাণ, একতা। বহুর মধ্যে এককে নিঃসংশয়রূপে অন্তরতর রূপে উপলব্ধির মধ্যে ভারতবাসী খুঁজে পেয়েছে তার জাতীয়তাবোধের বীজমন্ত্র। যুগপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতবর্ষের এই অতন্দ্র সাধনা। এই সমন্বয়ের তাগিদেই এখানেবাআর্য-অনার্য শক-হুন-পাঠান-মোগল পরস্পর পরস্পরের আত্মীয়। তবু মাঝে মাঝে সমন্বয়ের এই শান্ত, শুচিশুভ্র প্রাঙ্গণে হিংসার দামাল হাওয়া আছড়ে পড়ে। অভ্যস্ত চিরাচরিত জীবন বদলে যায়। আমাদের, শুদ্ধ চেতনা বিভেদের কলুষ গ্রাসে আচ্ছন্ন হয়। ইতিহাসের পর্বে পর্বে আমরা এই কদাকার বীভৎস চেহারা দেখেছি।

 ঘ- প্রকল্প

প্রশ্ন ২১। তোমরা প্রত্যেকে এক একটি দেশাত্মবোধক কবিতা সংগ্রহ করে শ্রেণিতে পড়ে শোনাবে।

উত্তরঃ নিজেরা সংগ্রহ করে পড়ে শোনাও।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top