Class 12 Logic and Philosophy Chapter 3 প্রকল্প

Join Roy Library Telegram Groups

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 3 প্রকল্প Question Answer in Bengali, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class XII Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Assam Board HS 2nd Year Logic and Philosophy Question Answer in Bengali The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 3 প্রকল্প Solutions in Bengali are free to use and easily accessible. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 3 প্রকল্প Notes in Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 3 প্রকল্প The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily.

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 3 প্রকল্প

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 3 প্রকল্প, Gives you a better knowledge of all the chapters. HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Notes. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Assam Board HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Suggestion will be able to solve all the doubts of the students. Class 12 Logic and Philosophy in Bengali Solution, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 12 Logic and Philosophy in Bengali Question Answer PDF. HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

প্রকল্প

প্রথম খণ্ড

অতি সংক্ষিপ্ত  উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। প্রকল্পের স্তর কতটি ?

উত্তরঃ প্রকল্পের স্তর চারটি।

প্রশ্ন ২। বিভিন্ন প্রকারের প্রকল্পগুলি কী কী ?

উত্তরঃ প্রকল্প তিন প্রকারের —

(ক) কর্তা বিষয়ক প্রকল্প। 

(খ) নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প। এবং

(গ) পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প।

প্রশ্ন ৩। প্রকল্পের বিষয়বস্তু প্রকৃত কারণ, বা ——-।

উত্তরঃ অস্তিত্বশীল কারণ।

প্রশ্ন ৪। ষ্টেবিঙের মতে প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকারগুলি কী কী ?

উত্তরঃ ষ্টেবিঙের মতে প্রকল্পে তিন প্রকারের —- 

(ক) ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প।

(খ) বর্ণনামূলক প্রকল্প। এবং 

(গ) সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প।

প্রশ্ন ৫। ‘ প্রকল্প হল এক দক্ষতাপূর্ণ কার্য, আবিষ্কারের প্রথম স্তর ‘—- তুমি একমত কি ?

উত্তরঃ হ্যাঁ।

প্রশ্ন ৬। ‘ বিদ্যুৎ একপ্রকার তরল পদার্থ ‘—- এটি কোন প্রকার প্রকল্পের উদাহরণ ?

উত্তরঃ কার্যকরী প্রকল্পের উদাহরণ।

প্রশ্ন ৭। ‘ প্রকল্প সর্বদা সাময়িক চরিত্রের —- শুদ্ধ কি ?

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ৮। অস্তিত্বশীল কারণের অর্থ কী ?

অথবা, 

বাস্তব কারণের অর্থ কী ?

উত্তরঃ অস্তিত্বশীল কারণ বলতে সত্য কারণ বুঝায়। অস্তিত্বশীল কারণ হল এমন কারণ,  যার অস্তিত্বের স্বীকৃতি আত্মবিরোধী নয়, এবং যা ঘটনাকে সুসংগঠিত সত্তার একটি কারণ বলে আমাদের ভাবতে শেখায়।

প্রশ্ন ৯। ভবিষ্যৎবাণী করার শক্তিটি হল যথার্থ প্রকল্পের একটি ——–।

উত্তরঃ শর্ত।

প্রশ্ন ১০। বর্তমান সময়ে কার মতে, প্রকল্প তিন প্রকার ?

উত্তরঃ এল.এস. ষ্টেবিং এর মতে।

প্রশ্ন ১১। মিলের প্রকল্প সংজ্ঞায় দেখানো প্রকল্পের প্রথম স্তরটি কী ?

উত্তরঃ মিলের মতে প্রকল্পের প্রথম স্তরটি হল প্রাকৃতিক ঘটনাবলির নিরীক্ষণ।

প্রশ্ন ১২। নিচে দেওয়া উক্তিগুলির কোনটি শুদ্ধ ?

(ক) প্রকল্প হল বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের শেষ স্তর।

(খ) প্রকল্পই নিরীক্ষণ এবং পরীক্ষণ অসম্ভব করে তোলে।

(গ) প্রকল্প ঘটনা ব্যাখ্যার সহায়ক।

উত্তরঃ (গ) প্রকল্প ঘটনা ব্যাখ্যার সহায়ক। এই উক্তিটি শুদ্ধ।

প্রশ্ন ১৩। যথার্থ প্রকল্পের একটি শর্ত উল্লেখ করো।

উত্তরঃ একটি প্রকল্প যথার্থ হতে হলে প্রাসঙ্গিক হতে লাগবে।

S.L. No.সূচি-পত্র
অধ্যায় -১আগমন এবং এর প্রকার
অধ্যায় -২আগমনের ভিত্তি
অধ্যায় -৩প্রকল্প
অধ্যায় -৪মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধা
অধ্যায় -৫বাস্তববাদ
অধ্যায় -৬ভাববাদ
অধ্যায় -৭নীতিবিদ্যা
অধ্যায় -৮ধর্ম

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১৪। প্রকল্পের প্রথম স্তরটি কী ?

উত্তরঃ প্রকল্পের প্রথম স্তর হল —– প্রাকৃতিক ঘটনাবলির নিরীক্ষণ।

প্রশ্ন ১৫। প্রত্যেক প্রকল্পে নিগমনের স্তর নিহিত থাকে কি ?

উত্তরঃ হ্যাঁ।

প্রশ্ন ১৬। প্রকল্পের শেষ স্তরটি কী ?

উত্তরঃ প্রমাণীকরণ হল প্রকল্পের শেষ স্তর।

প্রশ্ন ১৭। বর্ণনামূলক প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য কী ?

উত্তরঃ বর্ণনামূলক প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য হল ঘটনাগুলির মধ্যকার সম্পর্ক বিষয়ে সাংকেতিক আভাস দেওয়া।

প্রশ্ন ১৮। ওয়েলটন, কাফে এবং অন্যান্য তর্কবিদসকলের মতে প্রকল্প দুই প্রকার। প্রকল্পের এই দুটি প্রকার কী কী ?

উত্তরঃ ওয়েলটন, কাফে এবং অন্যান্য তর্কবিদেরা মতে দুই প্রকারের হল—- 

(ক) কারণ বিষয়ক প্রকল্প। এবং 

(খ) নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প।

প্রশ্ন ১৯। একটি প্রকল্পকে কখন ‘ বৈধ প্রকল্প’ বলা হয় ?

উত্তরঃ একটি প্রকল্পকে তখনই বৈধ প্রকল্প বলা হয় যখন প্রকল্পটি প্রাসঙ্গিক, প্রমাণযোগ্য , স্পষ্ট, বিশ্বাসযোগ্য, সরল , বাস্তবভিত্তিক এবং সঙ্গতিপূর্ণ হবে।

প্রশ্ন ২০। ‘ প্রকল্প বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রথম স্তর ‘ — এটি সত্য কি ?

উত্তরঃ হ্যাঁ, সত্য।

প্রশ্ন ২১। অস্তিত্বশীল কারণ বলতে —–

(ক) সম্ভাব্য কারণ।

(খ) বাস্তব কারণ।

(গ) (ক) এবং 

(খ) দুটিই।

উত্তরঃ (খ) বাস্তব কারণ।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। প্রকল্পের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ মিলের মতে, প্রকল্প হল বাস্তব তথ্যকে অনুসরণ করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার উদ্দেশ্যে কোন সঠিক প্রথাণ ছাড়াই অথবা অপ্রর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে গঠন করা আনুমানিক ধারণা। যদি দেখা যায় যে সিদ্ধান্তগুলির সঙ্গে জ্ঞাত সত্যের মিল আছে তাহলে ধারণাটি সত্য হবে বা সত্য হবার সম্ভাবনা থাকবে।

প্রশ্ন ২। কর্তা সম্পর্কীয় প্রকল্পের একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ কর্তা সম্পর্কীয় প্রকল্পের উদাহরণ —– কোন একটি ঘরে চুরি ঘটল। চোর কীভাবে চুরির কাজটা সেরেছে বুঝতে পারা গেল কিন্তু কে চুরি করল সেটা জানা গেল না। তখন চুরি করা লোকজন সম্পর্কে যে প্রকল্প গঠন করা হয়, তাকে কর্তা সম্পর্কীয় প্রকল্প বলা হয়।

প্রশ্ন ৩। প্রকল্পের স্তর চারটি কী কী ?

উত্তরঃ প্রকল্পের স্তর চারটি হল—–

(ক) প্রাকৃতিক ঘটনাবলির নিরীক্ষণ।

(খ) প্রকল্প গঠন।

(গ) নিগমনাত্মক পদ্ধতির প্রয়োগ।

(ঘ) প্রমাণীকরণ।

প্রশ্ন ৪। কার্যকরী প্রকল্প বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ অধিক নির্ভরযোগ্য প্রকল্পের অভাবে অসম্পূর্ণ স্বভাবের বা সন্তোষজনক হয় না বলে জেনেও কেবল অনুসন্ধান কার্য চালিয়ে যাবার জন্য যদি কোনো প্রকল্প গঠন করা হয় তাকে কার্যকরী প্রকল্প বলে।

প্রশ্ন ৫। বর্ণনামূলক প্রকল্পের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ যে প্রকল্প অন্বেষণীয় জটিল ঘটনা বা তথ্যগুলির শৃংখলিত সম্বন্ধ নির্ণয় করার জন্য ইঙ্গিত দেবার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাকে বর্ণনামূলক প্রকল্প বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ —- টলেমির ভূ- কেন্দ্রিক প্রকল্প গ্ৰহ নক্ষত্রাদির জ্যামিতিক প্রতীক।

প্রশ্ন ৬। ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প কী ?

উত্তরঃ কোন একটি ঘটনা ঘটলে অন্য ঘটনার অন্তর্বেশন দ্বারা ঘটনাটি ব্যাখ্যা করার যে প্রকল্প গঠন করা হয় তাকে ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ —- নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিষয়ক প্রকল্প।

প্রশ্ন ৭। পর্যবেক্ষণকে প্রকল্পের প্রথম স্তর কেন বলা হয় ?

উত্তরঃ পর্যবেক্ষণকে প্রকল্পের প্রথম স্তর বলা হয়। কারণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই আমরা ঘটনাগুলির সঙ্গে পরিচিত হই যাদের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়। এই পরিচয়ের ফলেই ঘটনাসমূহ সম্পর্কে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে, এবং ঘটনাসমূহ ব্যাখ্যা করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি হয়।

প্রশ্ন ৮। প্রকল্প, প্রতিষ্ঠিত সত্যের বিরোধী হতে লাগে না ——– কেন ?

উত্তরঃ প্রকল্প প্রতিষ্ঠিত সত্যের বিরোধী হতে লাগে না। প্রকল্পকে অতীতে সুপ্রতিষ্ঠিত অন্যান্য প্রকল্পের তত্ত্বের এবং নিয়মের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। কারণ একটি স্ব- বিরোধী প্রকল্পের কোনো বৈজ্ঞানিক মূল্য থাকে না। উদাহরণস্বরূপ, যদি ধারণা করা হয় যে অতিরিক্ত অধ্যয়নেই পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার কারণ তবে এই ধারণাগুলি আত্মবিরোধী বা স্ববিরোধী হবে।

প্রশ্ন ৯। চরম দৃষ্টান্ত বললে কী বোঝ ?

উত্তরঃ চরম দৃষ্টান্ত বা নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত হল এমন দৃষ্টান্ত যার ব্যাখ্যা একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী দৃষ্টান্তের মধ্যে মাত্র একটি দ্বারাই পাওয়া যায়, অন্যদের দ্বারা নয়। জেভনস বলেন, ” নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত শুধুমাত্র যে একটি প্রকল্পকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে তা নয়, অন্যান্য প্রকল্পকেও অসত্য বলে প্রমাণ করে।”

প্রশ্ন ১০। প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকারগুলি কী কী ?

উত্তরঃ প্রকল্পের তিনটি ভিন্ন প্রকার হল—–

(ক) কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প—– কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প ঘটনার কর্তার সঙ্গে সম্পর্কিত।

(খ) নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প —– নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প কাজের নিয়মের বা ধরনের সঙ্গে সম্পর্কিত।

(গ) পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প —- সংস্থিতি হল পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিন্যাস । কোন ঘটনা ঘটবার জন্য কর্তা, নিয়ম এবং পারিপার্শ্বিক সংস্থিতির প্রয়োজন। এই সংস্থিতি বিষয়ে যে প্রকল্প গঠন করা হয় তাকে পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প বলে।

প্রশ্ন ১১। বিষয়বস্তু অনুসারে প্রকল্প কত প্রকারের এবং কী কী ?

উত্তরঃ প্রকল্প ধারণার বিষয়বস্তু অনুযায়ী তিন প্রকারের —–

(ক) কর্তা বিষয়ক প্রকল্প।

(খ) নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প।

(গ) পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প।

L.S. Stebbing র মতে প্রকল্প তিন প্রকারের —–

(ক) ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প।

(খ) বর্ণনামূলক প্রকল্প।

(গ) সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ ১২। অস্তিত্বশীল কারণ বলতে কী বোঝ ?

অথবা,

বাস্তব কারণ ‘ কাকে বলে ?

উত্তরঃ আক্ষরিক অর্থে অস্তিত্বশীল কারণ বলতে ‘ সত্য কারণ ‘ বোঝায়। অস্তিত্বশীল কারণ হল এমন কারণ যার অস্তিত্বের স্বীকৃতি আত্মবিরোধী নয়, এবং যা ঘটনাকে সুসংগঠিত সত্তার একটি অংশ বলে আমাদের ভাবতে শেখায়।

প্রশ্ন ১৩। কর্তা সম্পর্কীয় প্রকল্পের একটি বৈজ্ঞানিক উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ অ্যাডামস্ এবং লেভেরিয়ার , দুজন বৈজ্ঞানিক গণনা করেছিলেন যে অন্যান্য জ্ঞাত গ্ৰহের আকর্ষণের কারণে ইউরেনাস গ্ৰহটি একটি নির্দিষ্ট পরিক্রমা করবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল যে, পূর্বনির্ধারিত পথে তা পরিক্রম করছে না। অ্যাডামস্ এবং লেভেরিয়ার তখন অনুমান করলেন যে, সম্ভবতঃ কোন অজ্ঞাত গ্ৰহ রয়েছে , যার কারণে এই বিচ্যুতি সৃষ্টি হয়েছে। এ জাতীয় প্রকল্পকে  ‘ কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প বলে। পরবর্তীকালে এই অজ্ঞাত গ্ৰহটি আবিষ্কৃত হয়, যার নাম ‘ নেপচুন ‘।

প্রশ্ন ১৪। প্রকল্পের ‘ ভবিষ্যৎবাণী করার ক্ষমতা ‘ বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ কোন প্রকল্পের ভবিষ্যৎবাণী করবার ক্ষমতা হল তার থেকে উৎপন্ন হওয়া প্রত্যক্ষগোচর ঘটনার পরিসর। এই ক্ষমতার বলে ভবিষ্যৎবাণী করা সম্ভব হয় অথবা ঘটনার ব্যাখ্যা সম্ভব, যার থেকে প্রকল্পটির উর্বরতা বা উৎপাদনশীলতা প্রমাণ হয়। যে প্রকল্প থেকে সর্বাপেক্ষা অধিক সংখ্যক প্রত্যক্ষগোচর সিদ্ধান্ত নিষ্কাশিত হয়, তার সর্বাধিক ভবিষ্যৎবাণী করার ক্ষমতা আছে, বলা হয়।

প্রশ্ন ১৫। কারণ সম্পর্কীয় প্রকল্পের একটি বৈজ্ঞানিক উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ জ্যোতির্বিজ্ঞানী টলেমির জানা ছিল যে কর্তা সূর্য, চন্দ্র ইত্যাদি। তাদের ক্রিয়া অর্থাৎ মাধ্যাকর্ষণের নিয়মও জানা ছিল। কিন্তু এসব গ্ৰহ নক্ষত্রের সংস্থিতি সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। সুতরাং টলেমি প্রকল্প গঠন করলেন যে পৃথিবী সৌরমণ্ডলের কেন্দ্রে এবং অন্যান্য গ্ৰহ পৃথিবীকে ঘিরে পরিক্রমা করে। পরবর্তীকালে এই প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়, কারণ জ্যোতির্বিজ্ঞানী কপারনিকাস প্রকল্প গঠন করলেন যে সূর্য সৌরমণ্ডলের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং অন্যান্য গ্ৰহ সূর্যকে কেন্দ্র করে পরিক্রমা করে। কপারনিকাসের এই প্রকল্পটি সত্য বলে প্রমাণিত হয়।

প্রশ্ন ১৬। প্রকল্পের প্রমাণীকরণ কয় প্রকারের এবং কী কী ?

উত্তরঃ প্রকল্পের প্রমাণীকরণ দুই প্রকারের। যথা —- 

(১)প্রত্যক্ষ প্রমাণীকরণ। ও

(২) পরোক্ষ প্রমাণীকরণ।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। নিয়মসম্পর্কীয় প্রকল্পের উদাহরণসহ সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প কাজের নিয়মের বা ধরনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যখন কোনো একটি ঘটনার কর্তা বা কারণ জানা আছে, কিন্তু কীভাবে বা কী নিয়ম অনুযায়ী কর্তা সেই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা জানা নেই, তখন, সেই অজ্ঞাত নিয়ম সম্পর্কে যে প্রকল্প গঠন করা হয়, তাকে নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প বলে। উদাহরণস্বরূপ — একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে এবং আমরা জানি যে চাকর চুরিটা করেছে কিন্তু এটা জানিনা যে কী করে চোর চুরিটা করল। তখন সেই অজ্ঞাত নিয়ম সম্পর্কে যে প্রকল্প গঠন করা হয় তা হল নিয়মবিষয়ক প্রকল্প।

প্রশ্ন ২। সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প কী ?

উত্তরঃ সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প বর্ণনামূলক প্রকল্পের উন্নততর রূপ। সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প হল, এমন প্রকল্প , যাতে অনুমান করা হয় যে, যদি দুটি শ্রেণির ঘটনাগুচ্ছের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট সাধারণ, আকারগত ধর্ম থেকে, তাহলে এদের একটির ক্ষেত্রে যা সত্য হবে,অন্য শ্রেণিটির ক্ষেত্রেও তা সত্য হবে। উদাহরণস্বরূপ, ম্যাক্সওয়েল মাধ্যাকর্ষণ এবং বৈদ্যুতিক আকর্ষণের মধ্যে গঠনগত সাদৃশ্য দেখেই আলোর ক্ষেত্রে তাঁর বিখ্যাত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তত্ত্বটি রচনা করেন।

প্রশ্ন ৩। প্রকল্পের চারটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—–

(ক) প্রকল্প হল ঘটনা ব্যাখ্যা করার একটি প্রচেষ্টা।

(খ) প্রকল্প হল একটি সংগঠিত নীতি।

(গ) প্রকল্প হল অস্থায়ী চরিত্রের। কোন প্রকল্পই চূড়ান্ত ব্যাখ্যা নয়।

(ঘ) প্রকল্প হল একটি যুক্তিসম্পন্ন কার্যের ফল।

প্রশ্ন ৪। অস্তিত্বশীল কারণের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।

উত্তরঃ বৈধ প্রকল্পের একটি অন্যতম শর্ত হল যে যদি প্রকল্পটি কর্তা বা কারণ সম্বন্ধীয় হয় , তবে সেই কর্তা বা কারণকে অস্তিত্বশীল কারণ হতে হবে। আক্ষরিক অর্থে ‘অস্তিত্বশীল কারণ ‘ বলতে ‘ সত্য কারণ ‘ বোঝায়। এটাকে এমন কারণ মনে করলে ভুল হবে, যার অস্তিত্ব আছে, এবং যাকে ইন্দ্রিয়ের মাধ্যম প্রত্যক্ষভাবে জানা যায়। কিছু বিষয় আছে যাদের ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করা যায় না, কিন্তু প্রত্যক্ষ গোচর ফলের মধ্য দিয়ে পরোক্ষভাবে জানা যায়, তাদের অস্তিত্বশীল কারণ বলে স্বীকার করা হয়। তাই অস্তিত্বশীল কারণ বলতে এমন কারণ বোঝায়, যার অস্তিত্বের স্বীকৃতি আত্মবিরোধী নয়, এবং যা ঘটনাকে সুসংগঠিত সত্তার একটি অংশ বলে আমাদের ভাবতে শেখায়।

প্রশ্ন ৫। বৈধ প্রকল্পের চারটি শর্ত লেখো।

উত্তরঃ বৈধ প্রকল্পের চারটি শর্ত হল—

(ক) প্রকল্পকে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।

(খ) প্রকল্পকে প্রমাণযোগ্য বা যাচাইযোগ্য হতে হবে।

(গ) প্রকল্পকে পূর্ব প্রতিষ্ঠিত প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আত্মসঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।

(ঘ) প্রকল্পকে বাস্তবভিত্তিক হতে হবে এবং নির্দেশিত কারণকে অস্তিত্বশীল কারণ হতে হবে।

প্রশ্ন ৬। কর্তা সম্পর্কীয় প্রকল্পের উদাহরণসহ সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ কর্তা সম্পর্কীয় প্রকল্প ঘটনার কর্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। কখনও দেখা যায় যে, কোনো একটি ঘটনা কীভাবে বা কী নিয়মে ঘটেছে তা জানা আছে কিন্তু কে সেভাবে কাজটি করেছে তা জানা নেই। তখন যে প্রকল্প গঠন করা হয়,তা হল কর্তাসম্পর্কীয় প্রকল্প। উদাহরণস্বরূপ—-  একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। আমরা জানতে পারলাম দরজা ভেঙ্গে চোর চুরিটা করেছে কিন্তু চোর কে ? তা জানা নেই। এই চোর সম্বন্ধে প্রকল্পই হল কর্তাসম্পর্কীয় প্রকল্প।

প্রশ্ন ৭। সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প কী ? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প বর্ণনামূলক প্রকল্পের উন্নততর রূপ। সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প হল, এমন প্রকল্প , যাতে অনুমান করা হয় যে, যদি দুটি শ্রেণির ঘটনাগুচ্ছের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট সাধারণ, আকারগত ধর্ম থেকে, তাহলে এদের একটির ক্ষেত্রে যা সত্য হবে,অন্য শ্রেণিটির ক্ষেত্রেও তা সত্য হবে। উদাহরণস্বরূপ, ম্যাক্সওয়েল মাধ্যাকর্ষণ এবং বৈদ্যুতিক আকর্ষণের মধ্যে গঠনগত সাদৃশ্য দেখেই আলোর ক্ষেত্রে তাঁর বিখ্যাত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তত্ত্বটি রচনা করেন।

প্রশ্ন ৮। প্রকল্পের চারটি স্তর কী কী ? সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ প্রকল্পের স্তর চারটি হল—–

(ক) ঘটনার পর্যবেক্ষণ হল প্রকল্পের প্রথম স্তর। পর্যবেক্ষণ থেকে আমরা এমন কতগুলি ঘটনা পাই, যার ব্যাখ্যা প্রয়োজন। পর্যবেক্ষণের দরুনই সেইসব ঘটনা সম্পর্কে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে,যাদের ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে।

(খ) পরবর্তী স্তর হল ‘ প্রকল্প গঠন’। পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া ঘটনার প্রকৃত কারণ ব্যাখ্যার জন্য প্রথমে একটি আনুমানিক ধারণা বা ব্যাখ্যা দিয়ে শুরু করা হয়। সেই আনুমানিক ব্যাখ্যাই হল প্রকল্প গঠন।

(গ) প্রকল্পের তৃতীয় স্তর হল নিগমনাত্মক পদ্ধতির প্রয়োগ। এই স্তরে আনুমানিক সম্ভাব্য ধারণা থেকে কতগুলি সিদ্ধান্তে পৌঁছুনো হয়।

(ঘ) প্রকল্পের শেষ স্তরটি হল প্রমাণীকরণ। এই স্তরে নিষ্কাশিত সিদ্ধান্তকে প্রমান করা হয়। যদি সিদ্ধান্তের সঙ্গে বাস্তবের মিল থাকে তবে তা সত্য প্রমাণ হয় এবং যদি মিল না থাকে তবে আনুমানিক ধারণাটি বর্জন করা হয়।

প্রশ্ন ৯। ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প এবং বর্ণনামূলক প্রকল্পের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

উত্তরঃ ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প হচ্ছে সরলতম প্রকল্প। এই ধরনের প্রকল্প ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়। কোন ঘটনা ঘটলে অন্য ঘটনার অন্তর্বেশন দ্বারা ঘটনাটির ব্যাখ্যার জন্য ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প গঠন করা হয়। পর্যবেক্ষক উপযুক্ত পরিবেশে ঘটনা গুলিকে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিষয়ক প্রকল্পটি এই ধরনের প্রকল্প।

অন্যদিকে, বর্ণনামূলক প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হল, ঘটনাগুলির মধ্যকার সম্পর্ক বিষয়ে সাংকেতিক আভাস দেওয়া। এই ধরনের প্রকল্প সাধারণতঃ অন্বেষণীয় জটিল ঘটনা বা তথ্যগুলির সুশৃঙ্খল সম্বন্ধ নির্ণয় করবার জন্য ইঙ্গিত দেবার কাজে ব্যবহৃত হয়। বর্ণনামূলক প্রকল্প সাধারণতঃ গঠন করা হয় গ্ৰহ , নক্ষত্র ইত্যাদির গতি সম্পর্কে প্রতীকাত্মক জ্যামিতির চিত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে। যেমন — টলেমির ভূ- কেন্দ্রিক প্রকল্প গ্ৰহ নক্ষত্রাদির জ্যামিতির প্রতীক । এটা বর্ণনামূলক প্রকল্প।

প্রশ্ন ১০। কার্যকরী প্রকল্পের বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।

উত্তরঃ অধিক নির্ভরযোগ্য প্রকল্পের অভাবে অসম্পূর্ণ স্বভাবের বা সন্তোষজনক হয় না বলে জেনেও কেবল অনুসন্ধান কার্য চালিয়ে যাবার জন্য যদি কোনো প্রকল্প গঠন করা হয়, তবে তাকে কার্যকরী প্রকল্প বলে। ষ্টেবিঙের মতে, কার্যকরী প্রকল্প গঠন করা হয়, একমাত্র অনুসন্ধান কার্য চালিয়ে যাবার জন্য। কার্যকরী প্রকল্পের সংজ্ঞা মতে এটা একটা আনুমানিক ব্যাখ্যা , যাকে যথেষ্ট নয় জেনেও সাময়িকভাবে সত্য বলে, ধরে নেওয়া হয়, কারণ আরো ভালো কোন প্রকল্পের অভাবে,অনুসন্ধানের প্রয়োজন এর উপযোগিতা আছে। 

যেমন—- বিদ্যুৎ একটি তরল পদার্থ —– এটি কার্যকরী প্রকল্প।

প্রশ্ন ১১। প্রকল্পের চারটি প্রয়োজনীয়তা লেখো।

উত্তরঃ প্রকল্পের চারটি প্রয়োজনীয়তা হল—–

(ক) প্রকল্প বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রথম পদক্ষেপ।

(খ) প্রকল্পই পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষণকে সম্ভব করে তোলে।

(গ) প্রকল্প নিগমনকে সম্ভব করে তোলে।

(ঘ) কোন ঘটনার সত্য কারণ বা সত্য ব্যাখ্যার জন্য প্রকল্প একটি পথনির্দেশক চিহ্ন।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১২। নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প কী বোঝ ? এই প্রকার প্রকল্পের উপযুক্ত উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প কাজের নিয়মের বা ধরনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যখন কোনো একটি ঘটনার কর্তা বা কারণ জানা আছে, কিন্তু কীভাবে বা কী নিয়ম অনুযায়ী কর্তা সেই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা জানা নেই, তখন, সেই অজ্ঞাত নিয়ম সম্পর্কে যে প্রকল্প গঠন করা হয়, তাকে নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প বলে। উদাহরণস্বরূপ — একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে এবং আমরা জানি যে চাকর চুরিটা করেছে কিন্তু এটা জানিনা যে কী করে চোর চুরিটা করল। তখন সেই অজ্ঞাত নিয়ম সম্পর্কে যে প্রকল্প গঠন করা হয় তা হল নিয়মবিষয়ক প্রকল্প।

প্রশ্ন ১৩। মিলের মতে প্রকল্প কী ? দৈনন্দিন জীবনে পাওয়া প্রকল্পের একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ জে.এস.মিলের মতে, প্রকল্প হল ‘ বাস্তব তথ্যকে অনুসরণ করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার উদ্দেশ্যে কোন সঠিক প্রমাণ ছাড়াই অথবা অপর্যাপ্ত  প্রমাণের ভিত্তিতে গঠন করা আনুমানিক ধারণা।যদি দেখা যায় যে, সিদ্ধান্তগুলির সঙ্গে জ্ঞাত সত্যের মিল আছে তাহলে ধারণাটি সত্য হবে বা সত্য হবার সম্ভাবনা থাকবে।”

উদাহরণস্বরূপ —- পাশের বাড়িতে চুরি হয়েছে। কেউ জানে না, কে চুরি করেছে। সমস্ত প্রাসঙ্গিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এই ধারণা করা হল যে, সম্ভবতঃ নবনিযুক্ত চাকরটি চুরি করেছে। অনুসন্ধানের পর চাকরটির কাছেই চুরি যাওয়া জিনিস পাওয়া গেল। তখন এই প্রাথমিক ধারণাটি সত্য বলে প্রমাণিত হল।

প্রশ্ন ১৪। প্রকল্প অনির্দিষ্ট,অস্পষ্ট , উদ্ভট বা কাল্পনিক হতে লাগে না, এটি সুনির্দিষ্ট স্পষ্ট এবং ধারণাযোগ্য হতে লাগে —- প্রকল্পের এই শর্তটি বুঝিয়ে লেখো।

উত্তরঃ প্রকল্প অনির্দিষ্ট, অস্পষ্ট, উদ্ভট বা কাল্পনিক হওয়া উচিত নয়, তাকে সুনির্দিষ্ট, স্পষ্ট বিশ্বাসযোগ্য এবং সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। 

(ক) একটি অনির্দিষ্ট বা অস্পষ্ট প্রকল্প অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে কোন স্পষ্ট দিক নির্দেশ করতে পারে না। যেমন আমরা যদি বলি পৃথিবীর অভ্যন্তরে কোন আলোড়নের ফলে ভূমিকম্প হয়, তাহলে সেই আনুমানিক ব্যাখ্যাটি অস্পষ্ট হবে এবং তার থেকে আমরা কোন অনুসন্ধানের কাজ আরম্ভ করতে পারব না। 

(খ) প্রকল্প উদ্ভট হলে চলবে না। তাকে বিশ্বাসযোগ্য এবং চিন্তাগ্ৰাহ্য হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ — একটি ছেলে বাড়ি থেকে হারিয়ে গেছে। আমাদের এমন ধারণা করা উচিত নয় যে, দেবদূত তাকে নিয়ে চলে গেছেন। অর্থাৎ আমাদের কোন অবাস্তব প্রকল্প গঠন করা উচিত নয়।

প্রশ্ন ১৫। প্রকল্পের সরলতা বলতে কী বোঝ ? উদাহরণসহ বুঝিয়ে লেখো।

উত্তরঃ সরলতা বৈধ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত । কিন্তু সরলতার সঠিক সংজ্ঞা দেওয়া অত্যন্ত কঠিন। তর্কবিজ্ঞানে সরল প্রকল্পের অর্থ এমন প্রকল্প, যা কিছু সংখ্যক পূর্ব ধারণাকে নিয়ে আরম্ভ হয়। কোন কোন সময় এমন হয় যে,অনুসন্ধানযোগ্য ঘটনার ব্যাখ্যার জন্য দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রকল্প গঠন করা হয়। এমন ক্ষেত্রে যে প্রকল্পটি অন্যের চাইতে অধিকতর সরল তাকেই সাধারণতঃ গ্ৰহণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ —- পৃথিবী এবং সৌরজগত নিয়ে টলেমির প্রকল্প এবং কপারনিকাসের প্রকল্প। দুটি প্রকল্পই বৈধ প্রকল্পের সর্তসন্মত । কিন্তু কপারনিকাসের প্রকল্পটি তুলনামূলকভাবে অপেক্ষাকৃত সরল। কারণ কপারনিকাস শুধু দুয়েকটি সহায়ক প্রকল্পের সাহায্য নিয়েছিলেন,যাতে গ্ৰহ- নক্ষত্রের প্রত্যক্ষগোচর অবস্থান ব্যাখ্যা করা যায়।

প্রশ্ন ১৬। উদাহরণ সহ ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প এবং বর্ণনামূলক প্রকল্পের বিষয়ে লেখো।

উত্তরঃ ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প হচ্ছে সরলতম প্রকল্প। এই ধরনের প্রকল্প ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়। কোন ঘটনা ঘটলে অন্য ঘটনার অন্তর্বেশন দ্বারা ঘটনাটির ব্যাখ্যার জন্য ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প গঠন করা হয়। পর্যবেক্ষক উপযুক্ত পরিবেশে ঘটনা গুলিকে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিষয়ক প্রকল্পটি এই ধরনের প্রকল্প।

অন্যদিকে, বর্ণনামূলক প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হল, ঘটনাগুলির মধ্যকার সম্পর্ক বিষয়ে সাংকেতিক আভাস দেওয়া। এই ধরনের প্রকল্প সাধারণতঃ অন্বেষণীয় জটিল ঘটনা বা তথ্যগুলির সুশৃঙ্খল সম্বন্ধ নির্ণয় করবার জন্য ইঙ্গিত দেবার কাজে ব্যবহৃত হয়। বর্ণনামূলক প্রকল্প সাধারণতঃ গঠন করা হয় গ্ৰহ , নক্ষত্র ইত্যাদির গতি সম্পর্কে প্রতীকাত্মক জ্যামিতির চিত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে। যেমন — টলেমির ভূ- কেন্দ্রিক প্রকল্প গ্ৰহ নক্ষত্রাদির জ্যামিতির প্রতীক । এটা বর্ণনামূলক প্রকল্প।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। প্রকল্প কী ? প্রকল্পের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ মিলের মতে, ‘ প্রকল্প হল, বাস্তব তথ্যকে অনুসরণ করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার উদ্দেশ্যে কোন সঠিক প্রমাণ ছাড়াই বা অপর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে গঠন করা আনুমানিক ধারণা। যদি দেখা যায় যে, সিদ্ধান্তগুলির সঙ্গে জ্ঞাত সত্যের মিল আছে, তাহলে ধারণাটি সত্য হবে বা সত্য হবার সম্ভাবনা থাকবে।’

মিলের এই সংজ্ঞাটি বিশ্লেষণ করলে প্রকল্পের প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারি যে—–

(ক) প্রকল্প একটি আনুমানিক ধারণা।

(খ) এই ধারণা করতে শুরুতে তার সমর্থনে কোন সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায় না বা যা পাওয়া যায় তা পর্যাপ্ত নয়।

(গ) তথাপি এই প্রমাণগুলির উপর নির্ভর করে একটি আনুমানিক প্রকল্প গঠন করা হয়,তা থেকে,জ্ঞাত বাস্তব সত্য অনুসরণ করে কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য।

(ঘ) এই সিদ্ধান্তগুলির সাথে যদি বাস্তব ঘটনার মিল থাকে তবে প্রকল্পটি সত্য হয় । নতুবা এই প্রকল্পটি বাদ দিয়ে নতুন প্রকল্প গঠন করা হয়।

প্রশ্ন ২। প্রকল্প কী ? প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তাগুলি কী ?

উত্তরঃ মিলের মতে, ” প্রকল্প হল বাস্তব তথ্যকে অনুসরণ করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার উদ্দেশ্যে কোন সঠিক প্রমাণ ছাড়াই অথবা অপর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে গঠন করা আনুমানিক ধারণা। যদি দেখা যায় যে, সিদ্ধান্তগুলির সঙ্গে জ্ঞাত সত্যের মিল আছে, তাহলে ধারণাটি সত্য হবে বা সত্য হবার সম্ভাবনা থাকবে।”

বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কেবল বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান নয়, সকল প্রকার অনুসন্ধানে প্রকল্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ —-

(ক) প্রকল্প বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রথম পদক্ষেপ।

(খ) প্রকল্প নিরীক্ষণ এবং পরীক্ষণকে সম্ভব করে তোলে।

(গ) প্রকল্প নিগমনকে সহায়তা করে।

(ঘ) কোন ঘটনার সত্য কারণ বা সত্য ব্যাখ্যার জন্য প্রকল্প একটি পথনির্দেশক চিহ্ন।

প্রশ্ন ৩। প্রকল্প কী ? বৈধ প্রকল্পের শর্তগুলি কী কী ?

উত্তরঃ মিলের মতে, ” প্রকল্প হল বাস্তব তথ্যকে অনুসরণ করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার জন্য কোন সঠিক প্রমাণ ছাড়াই অথবা অপর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে গঠন করা আনুমানিক ধারণা। যদি দেখা যায় যে, সিদ্ধান্তগুলির সঙ্গে জ্ঞাত সত্যের মিল আছে, তাহলে ধারণাটি সত্য হবে বা সত্য হবার সম্ভাবনা থাকবে।” 

বৈধ প্রকল্পের শর্তগুলি হল——

(১) প্রকল্পকে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।

(২) প্রকল্পকে প্রমাণযোগ্য বা যাচাইযোগ্য হতে হবে।

(৩) প্রকল্পকে পূর্বপ্রতিষ্ঠিত প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আত্মসঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।

(৪) প্রকল্প অস্পষ্ট, অনির্দিষ্ট,উদ্ভট বা কাল্পনিক হওয়া উচিত নয়, তাকে স্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট, বিশ্বাসযোগ্য এবং সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।

(৫) প্রকল্পের ভবিষ্যৎবাণী করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

(৬) প্রকল্পকে বাস্তবভিত্তিক হতে হবে এবং তার বিষয়কে অস্তিত্বশীল কারণ হতে লাগবে।

প্রশ্ন ৪। ষ্টেবিঙের মতে বিভিন্ন প্রকারের প্রকল্পগুলি কী কী? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ষ্টেবিঙের মতে বিভিন্ন প্রকারের প্রকল্পগুলি হল——

(১) ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প —– কোন একটি ঘটনা ঘটলে অন্য ঘটনার অন্তর্বেশন দ্বারা ঘটনাটি ব্যাখ্যা করার জন্য যে প্রকল্প গঠন করা হয় তাকে ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প বলা হয়।

উদাহরণস্বরূপ —- নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিষয়ক প্রকল্প।

(২) বর্ণনামূলক প্রকল্প —– যে প্রকল্প অন্বেষণীয় জটিল ঘটনা বা তথ্যগুলির সুশৃঙ্খল সম্বন্ধ নির্ণয় করার জন্য ইঙ্গিত দেবার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাকে বর্ণনামূলক প্রকল্প বলে। যেমন — টলেমির ভূ-কেন্দ্রিক প্রকল্প গ্ৰহ-নক্ষত্রাদির জ্যামিতিক প্রতীক।

(৩) সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প —- সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প হচ্ছে এমন প্রকল্প, যাতে অনুমান করা হয় যে, যদি দুটি শ্রেণির ঘটনাগুচ্ছের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট সাধারণ, আকারগত ধর্ম থাকে, তাহলে এদের একটির ক্ষেত্রে যা সত্য হবে, অন্য শ্রেণিটির ক্ষেত্রেও তা সত্য হবে।

উদাহরণস্বরূপ —— ম্যাক্সওয়েল মাধ্যাকর্ষণ এবং বৈদ্যুতিক আকর্ষণের মধ্যে গঠনগত সাদৃশ্য দেখেই আলোর ক্ষেত্রে তাঁর বিখ্যাত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তত্ত্বটি রচনা করেন।

প্রশ্ন ৫। প্রকল্প কী ? এর বিভিন্ন প্রকারগুলি কী কী ? উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ মিলের মতে, ” প্রকল্প হল বাস্তব তথ্যকে অনুসরণ করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার উদ্দেশ্যে কোন সঠিক প্রমাণ ছাড়াই বা অপর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে গঠন করা আনুমানিক ধারণা। যদি দেখা যায় যে সিদ্ধান্তগুলির সঙ্গে জ্ঞাত সত্যের মিল আছে, তাহলে ধারণাটি সত্য হবে বা সত্য হবার সম্ভাবনা থাকবে।”

প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকারগুলি হল—-

(ক) কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প — কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প ঘটনার কর্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। কখনও দেখা যায় যে কোন একটি ঘটনা কীভাবে বা কী নিয়মে ঘটেছে তা জানা আছে কিন্তু কে সেই কাজটি এভাবে করেছে তা জানা নেই। এই অবস্থায় কর্তা সম্বন্ধে যে প্রকল্প গঠন করা হয় তা হল কর্তাসম্বন্ধয়ী প্রকল্প । উদাহরণস্বরূপ —- একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। চোরকে নিয়ে যে প্রকল্প করা হয় তাই কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প।

(খ) নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প —- যখন কোন একটি ঘটনার কর্তা বা কারণ জানা আছে কিন্তু কীভাবে বা কী নিয়ম অনুযায়ী কর্তা সেই কাজটি করেছে তা জানা নেই,এই অজ্ঞাত নিয়ম সম্বন্ধে যে প্রকল্প করা হয়,তা হল নিয়মবিষয়ক প্রকল্প। উদাহরণস্বরূপ — একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। আমরা জানি যে বাড়ির চাকর চুরিটা করেছে। কিন্তু কীভাবে সে চুরিটা করল তা নিয়ে যে প্রকল্প করলাম তাই নিয়মবিষয়ক প্রকল্প।

(গ) পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প — সংস্থিতি হল পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিন্যাস। কোন ঘটনা ঘটবার জন্য কর্তা, নিয়ম এবং পারিপার্শ্বিক সংস্থিতির প্রয়োজন। কোন কোন সময় আমরা জানি কর্তা এবং কীভাবে সে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিন্যাস সম্পর্কে কিছু জানি না। এমন ক্ষেত্রে যে প্রকল্প গঠন করি,তাই পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প। উদাহরণস্বরূপ —- একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। চোর এবং চুরির উপায় জানা আছে। এখানে একটি প্রকল্প করা হল যে বাড়িতে চাকর ছাড়া অন্য কেউ না থাকার পরিস্থিতিতে চুরি ঘটেছে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ৬। বৈধ প্রকল্পের হয়টি শর্ত সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ বৈধ প্রকল্পের হয়টি শর্তগুলি হল——

(১) প্রকল্পকে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।

(২) প্রকল্পকে প্রমাণযোগ্য বা যাচাইযোগ্য হতে হবে।

(৩) প্রকল্পকে পূর্বপ্রতিষ্ঠিত প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আত্মসঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।

(৪) প্রকল্প অস্পষ্ট, অনির্দিষ্ট,উদ্ভট বা কাল্পনিক হওয়া উচিত নয়, তাকে স্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট, বিশ্বাসযোগ্য এবং সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।

(৫) প্রকল্পের ভবিষ্যৎবাণী করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

(৬) প্রকল্পকে বাস্তবভিত্তিক হতে হবে এবং তার বিষয়কে অস্তিত্বশীল কারণ হতে লাগবে।

প্রশ্ন ৭। ঘটনার ভিন্নতা অনুসারে প্রকল্পের ভাগগুলি  কী কী ? উদাহরণ সহ সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ মিলের মতে, ” প্রকল্প হল বাস্তব তথ্যকে অনুসরণ করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার উদ্দেশ্যে কোন সঠিক প্রমাণ ছাড়াই বা অপর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে গঠন করা আনুমানিক ধারণা। যদি দেখা যায় যে সিদ্ধান্তগুলির সঙ্গে জ্ঞাত সত্যের মিল আছে, তাহলে ধারণাটি সত্য হবে বা সত্য হবার সম্ভাবনা থাকবে।”

প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকারগুলি হল—-

(ক) কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প — কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প ঘটনার কর্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। কখনও দেখা যায় যে কোন একটি ঘটনা কীভাবে বা কী নিয়মে ঘটেছে তা জানা আছে কিন্তু কে সেই কাজটি এভাবে করেছে তা জানা নেই। এই অবস্থায় কর্তা সম্বন্ধে যে প্রকল্প গঠন করা হয় তা হল কর্তাসম্বন্ধয়ী প্রকল্প । উদাহরণস্বরূপ —- একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। চোরকে নিয়ে যে প্রকল্প করা হয় তাই কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প।

(খ) নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প —- যখন কোন একটি ঘটনার কর্তা বা কারণ জানা আছে কিন্তু কীভাবে বা কী নিয়ম অনুযায়ী কর্তা সেই কাজটি করেছে তা জানা নেই,এই অজ্ঞাত নিয়ম সম্বন্ধে যে প্রকল্প করা হয়,তা হল নিয়মবিষয়ক প্রকল্প। উদাহরণস্বরূপ — একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। আমরা জানি যে বাড়ির চাকর চুরিটা করেছে। কিন্তু কীভাবে সে চুরিটা করল তা নিয়ে যে প্রকল্প করলাম তাই নিয়মবিষয়ক প্রকল্প।

(গ) পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প — সংস্থিতি হল পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিন্যাস। কোন ঘটনা ঘটবার জন্য কর্তা, নিয়ম এবং পারিপার্শ্বিক সংস্থিতির প্রয়োজন। কোন কোন সময় আমরা জানি কর্তা এবং কীভাবে সে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিন্যাস সম্পর্কে কিছু জানি না। এমন ক্ষেত্রে যে প্রকল্প গঠন করি,তাই পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প। উদাহরণস্বরূপ —- একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। চোর এবং চুরির উপায় জানা আছে। এখানে একটি প্রকল্প করা হল যে বাড়িতে চাকর ছাড়া অন্য কেউ না থাকার পরিস্থিতিতে চুরি ঘটেছে।

পাঠ্যপুস্তকের সম্ভাব্য প্রশ্নাবলির উত্তরঃ

প্রশ্ন ১। প্রকল্প কী ? প্রকল্পের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ মিলের মতে, ‘ প্রকল্প হল, বাস্তব তথ্যকে অনুসরণ করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার উদ্দেশ্যে কোন সঠিক প্রমাণ ছাড়াই বা অপর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে গঠন করা আনুমানিক ধারণা। যদি দেখা যায় যে, সিদ্ধান্তগুলির সঙ্গে জ্ঞাত সত্যের মিল আছে, তাহলে ধারণাটি সত্য হবে বা সত্য হবার সম্ভাবনা থাকবে।’

মিলের এই সংজ্ঞাটি বিশ্লেষণ করলে প্রকল্পের প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারি যে—–

(ক) প্রকল্প একটি আনুমানিক ধারণা।

(খ) এই ধারণা করতে শুরুতে তার সমর্থনে কোন সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায় না বা যা পাওয়া যায় তা পর্যাপ্ত নয়।

(গ) তথাপি এই প্রমাণগুলির উপর নির্ভর করে একটি আনুমানিক প্রকল্প গঠন করা হয়,তা থেকে,জ্ঞাত বাস্তব সত্য অনুসরণ করে কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য।

(ঘ) এই সিদ্ধান্তগুলির সাথে যদি বাস্তব ঘটনার মিল থাকে তবে প্রকল্পটি সত্য হয়। নতুবা এই প্রকল্পটি বাদ দিয়ে নতুন প্রকল্প গঠন করা হয়।

প্রশ্ন ২। প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকারগুলি কী ?‌ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ মিলের এই সংজ্ঞাটি বিশ্লেষণ করলে প্রকল্পের প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারি যে—–

(ক) প্রকল্প একটি আনুমানিক ধারণা।

(খ) এই ধারণা করতে শুরুতে তার সমর্থনে কোন সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায় না বা যা পাওয়া যায় তা পর্যাপ্ত নয়।

(গ) তথাপি এই প্রমাণগুলির উপর নির্ভর করে একটি আনুমানিক প্রকল্প গঠন করা হয়,তা থেকে,জ্ঞাত বাস্তব সত্য অনুসরণ করে কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য।

(ঘ) এই সিদ্ধান্তগুলির সাথে যদি বাস্তব ঘটনার মিল থাকে তবে প্রকল্পটি সত্য হয় । নতুবা এই প্রকল্পটি বাদ দিয়ে নতুন প্রকল্প গঠন করা হয়।

প্রশ্ন ৩। প্রকল্প কী ? বৈধ প্রকল্পের শর্তগুলি কী কী ?

উত্তরঃ মিলের মতে, ” প্রকল্প হল বাস্তব তথ্যকে অনুসরণ করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার জন্য কোন সঠিক প্রমাণ ছাড়াই অথবা অপর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে গঠন করা আনুমানিক ধারণা। যদি দেখা যায় যে, সিদ্ধান্তগুলির সঙ্গে জ্ঞাত সত্যের মিল আছে, তাহলে ধারণাটি সত্য হবে বা সত্য হবার সম্ভাবনা থাকবে।” 

বৈধ প্রকল্পের শর্তগুলি হল——

(১) প্রকল্পকে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।

(২) প্রকল্পকে প্রমাণযোগ্য বা যাচাইযোগ্য হতে হবে।

(৩) প্রকল্পকে পূর্বপ্রতিষ্ঠিত প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আত্মসঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।

(৪) প্রকল্প অস্পষ্ট, অনির্দিষ্ট,উদ্ভট বা কাল্পনিক হওয়া উচিত নয়, তাকে স্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট, বিশ্বাসযোগ্য এবং সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।

(৫) প্রকল্পের ভবিষ্যৎবাণী করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

(৬) প্রকল্পকে বাস্তবভিত্তিক হতে হবে এবং তার বিষয়কে অস্তিত্বশীল কারণ হতে লাগবে।

প্রশ্ন ৪। উদাহরণ দাও:

(ক) কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প।

উত্তরঃ একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। আমরা জানতে পারলাম যে দরজা ভেঙ্গে চোর চুরিটা করেছে, কিন্তু কে চোর তা জানি না। এই চোর সম্বন্ধে প্রকল্পটি হল কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প।

(খ) পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প।

উত্তরঃ একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। এখানে চোর এবং চুরির উপায় জানা ছিল, কিন্তু চুরির পারিপার্শ্বিক অবস্থা বা পরিস্থিতি সম্বন্ধে প্রকল্পটি হল পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প।

(গ) নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প।

উত্তরঃ একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে এবং আমরা জানতে পারলাম যে বাড়ির চাকর চুরিটা করেছে কিন্তু এটা জানিনা যে কী করে চোর চুরিটা করল। তখন সেই অজ্ঞাত নিয়ম সম্পর্কে যে প্রকল্প গঠন করা হয় তা হল নিয়মবিষয়ক প্রকল্প।

প্রশ্ন ৫। সংজ্ঞা দাও:

(ক) প্রকল্প।

উত্তরঃ মিলের মতে, প্রকল্প হল বাস্তব তথ্যকে অনুসরণ করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার উদ্দেশ্যে কোন সঠিক প্রথাণ ছাড়াই অথবা অপ্রর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে গঠন করা আনুমানিক ধারণা। যদি দেখা যায় যে সিদ্ধান্তগুলির সঙ্গে জ্ঞাত সত্যের মিল আছে তাহলে ধারণাটি সত্য হবে বা সত্য হবার সম্ভাবনা থাকবে।

(খ) কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প।

উত্তরঃ কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প ঘটনার কর্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। কখনও কখনও দেখা যায় যে কোন একটি ঘটনা কীভাবে বা কী নিয়মে ঘটেছিল তা জানা আছে কিন্তু কে সেই কাজটি করেছিল তা জানা নেই, এই ক্ষেত্রে যে প্রকল্প গঠন করা হয়, তা হল কর্তাসম্বন্ধয়ী প্রকল্প।

(গ) নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প।

উত্তরঃ কোন কোন সময় এমন হয় যে, কোন ঘটনার কর্তা বা কারণ আমরা জানি, কিন্তু কীভাবে বা কী নিয়মে কর্তা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা আমরা জানি না। এই ক্ষেত্রে আমরা নিয়ম সম্পর্কে যে প্রকল্প গঠন করি তা হল নিয়মবিষয়ক প্রকল্প।

(ঘ) পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প।

উত্তরঃ সংস্থিতি হল পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিন্যাস। কোন কোন সময় আমরা জানি কর্তা কে  , কীভাবে সে ঘটনাটি ঘটিয়েছিল, কিন্তু আমরা পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিন্যাস সম্পর্কে  কিছুই জানি না, এই ক্ষেত্রে আমরা যে প্রকল্প গঠন করি তা হল পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প।

(ঙ) ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প।

উত্তরঃ কোন একটি ঘটনা ঘটলে অন্য ঘটনার অন্তর্বেশন দ্বারা ঘটনাটি ব্যাখ্যা করার যে প্রকল্প গঠন করা হয় তাকে ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ —- নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিষয়ক প্রকল্প।

(চ) বর্ণনামূলক প্রকল্প।

উত্তরঃ  যে প্রকল্প অন্বেষণীয় জটিল ঘটনা বা তথ্যগুলির শৃংখলিত সম্বন্ধ নির্ণয় করার জন্য ইঙ্গিত দেবার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাকে বর্ণনামূলক প্রকল্প বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ —- টলেমির ভূ- কেন্দ্রিক প্রকল্প গ্ৰহ নক্ষত্রাদির জ্যামিতিক প্রতীক।

(ছ) সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প।

উত্তরঃ সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প হল এমন প্রকল্প , যাতে অনুমান করা হয় যে, যদি দুটি শ্রেণির ঘটনাগুচ্ছের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট সাধারণ, আকারগত ধর্ম থাকে, তাহলে এদের একটির ক্ষেত্রে যা সত্য হবে, অন্য শ্রেণিটির ক্ষেত্রেও তা সত্য হবে।

(জ) কার্যকরী প্রকল্প।

উত্তরঃ অধিক নির্ভরযোগ্য প্রকল্পের অভাবে অসম্পূর্ণ স্বভাবের বা সন্তোষজনক হয় না বলে জেনেও কেবল অনুসন্ধান কার্য চালিয়ে যাবার জন্য যদি কোনো প্রকল্প গঠন করা হয় তাকে কার্যকরী প্রকল্প বলে।

(ঝ) অস্তিত্বশীল কারণ।

উত্তরঃ আক্ষরিক অর্থে অস্তিত্বশীল কারণ বলতে ‘ সত্য কারণ ‘ বোঝায়। অস্তিত্বশীল কারণ হল এমন কারণ যার অস্তিত্বের স্বীকৃতি আত্মবিরোধী নয়, এবং যা ঘটনাকে সুসংগঠিত সত্তার একটি অংশ বলে আমাদের ভাবতে শেখায়।

প্রশ্ন ৬। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।

(ক) প্রকল্প।

উত্তরঃ মিলের মতে, ‘ প্রকল্প হল, বাস্তব তথ্যকে অনুসরণ করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার উদ্দেশ্যে কোন সঠিক প্রমাণ ছাড়াই বা অপর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে গঠন করা আনুমানিক ধারণা। যদি দেখা যায় যে, সিদ্ধান্তগুলির সঙ্গে জ্ঞাত সত্যের মিল আছে, তাহলে ধারণাটি সত্য হবে বা সত্য হবার সম্ভাবনা থাকবে।’

মিলের এই সংজ্ঞাটি বিশ্লেষণ করলে প্রকল্পের প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারি যে—–

(ক) প্রকল্প একটি আনুমানিক ধারণা।

(খ) এই ধারণা করতে শুরুতে তার সমর্থনে কোন সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায় না বা যা পাওয়া যায় তা পর্যাপ্ত নয়।

(গ) তথাপি এই প্রমাণগুলির উপর নির্ভর করে একটি আনুমানিক প্রকল্প গঠন করা হয়,তা থেকে,জ্ঞাত বাস্তব সত্য অনুসরণ করে কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য।

(ঘ) এই সিদ্ধান্তগুলির সাথে যদি বাস্তব ঘটনার মিল থাকে তবে প্রকল্পটি সত্য হয় । নতুবা এই প্রকল্পটি বাদ দিয়ে নতুন প্রকল্প গঠন করা হয়।

(খ) ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প।

উত্তরঃ ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প হল সরলতম প্রকল্প। এই ধরনের প্রকল্প ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়। কোন ঘটনা ঘটলে অন্য ঘটনার অন্তর্বেশন দ্বারা ঘটনাটির ব্যাখ্যার জন্য ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প গঠন করা হয়। পর্যবেক্ষক উপযুক্ত পরিবেশে ঘটনা গুলিকে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। যে সব ঘটনা অনুমান করা হয়, সেগুলি এবং ব্যাখ্যাযোগ্য সমস্যার সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলি একই ধরনের হয়। ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প অন্য এক রকমেরও হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত উপাদানগুলি ঘটনাগুলির সঙ্গে অপর্যবেক্ষিতভাবে সম্বন্ধযুক্ত হয়ে থাকে। নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিষয়ক প্রকল্পটি এই ধরনের প্রকল্প।

(গ) বর্ণনামূলক প্রকল্প।

উত্তরঃ বর্ণনামূলক প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হল, ঘটনাগুলির মধ্যকার সম্পর্ক বিষয়ে সাংকেতিক আভাস দেওয়া। এই ধরনের প্রকল্প সাধারণতঃ অন্বেষণীয় জটিল ঘটনা বা তথ্যগুলির সুশৃঙ্খল সম্বন্ধ নির্ণয় করবার জন্য ইঙ্গিত দেবার কাজে ব্যবহৃত হয়। বর্ণনামূলক প্রকল্প সাধারণতঃ গঠন করা হয় গ্ৰহ , নক্ষত্র ইত্যাদির গতি সম্পর্কে প্রতীকাত্মক জ্যামিতির চিত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে। যেমন — টলেমির ভূ- কেন্দ্রিক প্রকল্প গ্ৰহ নক্ষত্রাদির জ্যামিতির প্রতীক । এটা বর্ণনামূলক প্রকল্প।

(ঘ) কার্যকরী প্রকল্প।

উত্তরঃ অধিক নির্ভরযোগ্য প্রকল্পের অভাবে অসম্পূর্ণ স্বভাবের বা সন্তোষজনক হয় না বলে জেনেও কেবল অনুসন্ধান কার্য চালিয়ে যাবার জন্য যদি কোনো প্রকল্প গঠন করা হয়, তবে তাকে কার্যকরী প্রকল্প বলে। ষ্টেবিঙের মতে, কার্যকরী প্রকল্প গঠন করা হয়, একমাত্র অনুসন্ধান কার্য চালিয়ে যাবার জন্য। কার্যকরী প্রকল্পের সংজ্ঞা মতে এটা একটা আনুমানিক ব্যাখ্যা , যাকে যথেষ্ট নয় জেনেও সাময়িকভাবে সত্য বলে, ধরে নেওয়া হয়, কারণ আরো ভালো কোন প্রকল্পের অভাবে,অনুসন্ধানের প্রয়োজন এর উপযোগিতা আছে। 

যেমন—- বিদ্যুৎ একটি তরল পদার্থ —– এটি কার্যকরী প্রকল্প।

(ঙ) নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত।

উত্তরঃ বেকন বলেন, ‘ নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত ‘ শব্দটি পথে অবস্থিত নির্দেশক স্তম্ভ থেকে এসেছে নির্দেশক স্তম্ভ বিভিন্ন পথের সংযোগস্থলে থাকে যা নির্দেশক সূচক বা চিহ্নস্বরূপ এবং যা বিভিন্ন পথের নির্দেশ দেয় । অনুরূপভাবে, একটি নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত, বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রকল্পের মধ্যে কোটি সঠিক তা প্রমাণিত করে।

” নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমন দৃষ্টান্ত যার ব্যাখ্যা একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী দৃষ্টান্তের মধ্যে মাত্র একটি দ্বারাই পাওয়া যায়, অন্যদের দ্বারা নয়।” নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ থেকে বা পরীক্ষণ থেকে যা পাওয়া যায় যদি পরীক্ষণের দ্বারা তা পাওয়া যায়, তাহলে তাকে ‘ নির্ণায়ক পরীক্ষণ ‘ বলে।

জেভনস বলেন, ” নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত শুধুমাত্র যে একটি প্রকল্পকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে তা নয়, অন্যান্য প্রকল্পকেও অসত্য বলে প্রমাণ করে।” 

(চ) অস্তিত্বশীল কারণ।

উত্তরঃ বৈধ প্রকল্পের একটি অন্যতম শর্ত হল যে যদি প্রকল্পটি কর্তা বা কারণ সম্বন্ধীয় হয় , তবে সেই কর্তা বা কারণকে অস্তিত্বশীল কারণ হতে হবে। আক্ষরিক অর্থে ‘অস্তিত্বশীল কারণ ‘ বলতে ‘ সত্য কারণ ‘ বোঝায়। এটাকে এমন কারণ মনে করলে ভুল হবে, যার অস্তিত্ব আছে, এবং যাকে ইন্দ্রিয়ের মাধ্যম প্রত্যক্ষভাবে জানা যায়। কিছু বিষয় আছে যাদের ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করা যায় না, কিন্তু প্রত্যক্ষ গোচর ফলের মধ্য দিয়ে পরোক্ষভাবে জানা যায়, তাদের অস্তিত্বশীল কারণ বলে স্বীকার করা হয়। তাই অস্তিত্বশীল কারণ বলতে এমন কারণ বোঝায়, যার অস্তিত্বের স্বীকৃতি আত্মবিরোধী নয়, এবং যা ঘটনাকে সুসংগঠিত সত্তার একটি অংশ বলে আমাদের ভাবতে শেখায়।

(ছ) কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প।

উত্তরঃ কর্তা সম্পর্কীয় প্রকল্প ঘটনার কর্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। কখনও দেখা যায় যে, কোনো একটি ঘটনা কীভাবে বা কী নিয়মে ঘটেছে তা জানা আছে কিন্তু কে সেভাবে কাজটি করেছে তা জানা নেই। তখন যে প্রকল্প গঠন করা হয়,তা হল কর্তাসম্পর্কীয় প্রকল্প । উদাহরণস্বরূপ—-  একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। আমরা জানতে পারলাম দরজা ভেঙ্গে চোর চুরিটা করেছে কিন্তু চোর কে ? তা জানা নেই। এই চোর সম্বন্ধে প্রকল্পই হল কর্তাসম্পর্কীয় প্রকল্প।

(জ) নিয়মসম্পর্কিত প্রকল্প।

উত্তরঃ নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প কাজের নিয়মের বা ধরনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যখন কোনো একটি ঘটনার কর্তা বা কারণ জানা আছে, কিন্তু কীভাবে বা কী নিয়ম অনুযায়ী কর্তা সেই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা জানা নেই, তখন, সেই অজ্ঞাত নিয়ম সম্পর্কে যে প্রকল্প গঠন করা হয়, তাকে নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প বলে। উদাহরণস্বরূপ — একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে এবং আমরা জানি যে চাকর চুরিটা করেছে কিন্তু এটা জানিনা যে কী করে চোর চুরিটা করল। তখন সেই অজ্ঞাত নিয়ম সম্পর্কে যে প্রকল্প গঠন করা হয় তা হল নিয়মবিষয়ক প্রকল্প।

(ঝ) পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প।

উত্তরঃ পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প — সংস্থিতি হল পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিন্যাস। কোন ঘটনা ঘটবার জন্য কর্তা, নিয়ম এবং পারিপার্শ্বিক সংস্থিতির প্রয়োজন। কোন কোন সময় আমরা জানি কর্তা এবং কীভাবে সে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিন্যাস সম্পর্কে কিছু জানি না। এমন ক্ষেত্রে যে প্রকল্প গঠন করি,তাই পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প। উদাহরণস্বরূপ —- একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। চোর এবং চুরির উপায় জানা আছে। এখানে একটি প্রকল্প করা হল যে বাড়িতে চাকর ছাড়া অন্য কেউ না থাকার পরিস্থিতিতে চুরি ঘটেছে।

(ঞ) পরীক্ষণমূলক নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত।

উত্তরঃ ” নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমন দৃষ্টান্ত যার ব্যাখ্যা একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী দৃষ্টান্তের মধ্যে মাত্র একটি দ্বারাই পাওয়া যায়, অন্যদের দ্বারা নয়।” জেভনস বলেন, ” নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত শুধুমাত্র যে একটি প্রকল্পকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে তা নয়, অন্যান্য প্রকল্পকেও অসত্য বলে প্রমাণিত করে।” 

নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ থেকে বা পরীক্ষণ থেকে যা পাওয়া যায় যদি পরীক্ষণের দ্বারা তা পাওয়া যায়, তাহলে তাকে ‘ নির্ণায়ক পরীক্ষণ ‘ বা পরীক্ষণমূলক নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত বলে। উদাহরণস্বরূপ —- মনে করা গেল একটি কাঁচের পাত্রে কোন একটি গ্যাস আছে। আমরা বুঝতে পারছি না, সেটা হাইড্রোজেন না অক্সিজেন। গ্যাসটি বর্ণহীন, গন্ধহীন এবং স্বাদহীন। কিন্তু এগুলো দুটি গ্যাসেরই সাধারণ গুণ। সুতরাং আমরা একটি পরীক্ষণের সাহায্য নিলাম। আমরা একটি জ্বলন্ত দেশলাই কাঠি পাথটির মুখে ধরলাম আর গ্যাসটি জ্বলে উঠল। এতে বুঝা গেল পাত্রের গ্যাসটি হাইড্রোজেন। কারণ একমাত্র হাইড্রোজেন গ্যাসের দহন ক্ষমতা আছে। ‘ দহনক্ষমতা ‘ গুণটি এখানে নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত,যার দ্বারা প্রমাণিত হল পাত্রে হাইড্রোজেন গ্যাস আছে, অক্সিজেন নয়।

প্রশ্ন ৭। সংক্ষেপে উত্তর দাও:

(ক) প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকারগুলি কী কী ?

উত্তরঃ প্রকল্পের তিনটি ভিন্ন প্রকার হল—–

(ক) কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প—– কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প ঘটনার কর্তার সঙ্গে সম্পর্কিত।

(খ) নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প —– নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প কাজের নিয়মের বা ধরনের সঙ্গে সম্পর্কিত।

(গ) পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প —- সংস্থিতি হল পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিন্যাস । কোন ঘটনা ঘটবার জন্য কর্তা, নিয়ম এবং পারিপার্শ্বিক সংস্থিতির প্রয়োজন। এই সংস্থিতি বিষয়ে যে প্রকল্প গঠন করা হয় তাকে পারিপার্শ্বিক সংস্থিতি বিষয়ক প্রকল্প বলে।

(খ) নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত কী ?

উত্তরঃ চরম দৃষ্টান্ত বা নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত হল এমন দৃষ্টান্ত যার ব্যাখ্যা একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী দৃষ্টান্তের মধ্যে মাত্র একটি দ্বারাই পাওয়া যায়, অন্যদের দ্বারা নয়। জেভনস বলেন, ” নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত শুধুমাত্র যে একটি প্রকল্পকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে তা নয়, অন্যান্য প্রকল্পকেও অসত্য বলে প্রমাণ করে।”

(গ) প্রকল্পের বিভিন্ন স্তরগুলি কী কী ?

উত্তরঃ প্রকল্পের স্তর চারটি হল—–

(ক) প্রাকৃতিক ঘটনাবলির নিরীক্ষণ।

(খ) প্রকল্প গঠন।

(গ) নিগমনাত্মক পদ্ধতির প্রয়োগ।

(ঘ) প্রমাণীকরণ।

(ঘ) বৈধ প্রকল্পের চারটি শর্ত উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বৈধ প্রকল্পের চারটি শর্ত হল—

(ক) প্রকল্পকে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।

(খ) প্রকল্পকে প্রমাণযোগ্য বা যাচাইযোগ্য হতে হবে।

(গ) প্রকল্পকে পূর্ব প্রতিষ্ঠিত প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আত্মসঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।

(ঘ) প্রকল্পকে বাস্তবভিত্তিক হতে হবে এবং নির্দেশিত কারণকে অস্তিত্বশীল কারণ হতে হবে।

(ঙ) পরীক্ষণমূলক চরম দৃষ্টান্ত কী ?

উত্তরঃ  ” নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমন দৃষ্টান্ত যার ব্যাখ্যা একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী দৃষ্টান্তের মধ্যে মাত্র একটি দ্বারাই পাওয়া যায়, অন্যদের দ্বারা নয়।” জেভনস বলেন, ” নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত শুধুমাত্র যে একটি প্রকল্পকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে তা নয়, অন্যান্য প্রকল্পকেও অসত্য বলে প্রমাণিত করে।” 

নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ থেকে বা পরীক্ষণ থেকে যা পাওয়া যায় যদি পরীক্ষণের দ্বারা তা পাওয়া যায়, তাহলে তাকে ‘ নির্ণায়ক পরীক্ষণ ‘ বা পরীক্ষণমূলক নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত বলে। উদাহরণস্বরূপ —- মনে করা গেল একটি কাঁচের পাত্রে কোন একটি গ্যাস আছে। আমরা বুঝতে পারছি না, সেটা হাইড্রোজেন না অক্সিজেন। গ্যাসটি বর্ণহীন, গন্ধহীন এবং স্বাদহীন। কিন্তু এগুলো দুটি গ্যাসেরই সাধারণ গুণ। সুতরাং আমরা একটি পরীক্ষণের সাহায্য নিলাম। আমরা একটি জ্বলন্ত দেশলাই কাঠি পাথটির মুখে ধরলাম আর গ্যাসটি জ্বলে উঠল। এতে বুঝা গেল পাত্রের গ্যাসটি হাইড্রোজেন। কারণ একমাত্র হাইড্রোজেন গ্যাসের দহন ক্ষমতা আছে। ‘ দহনক্ষমতা ‘ গুণটি এখানে নির্ণায়ক দৃষ্টান্ত,যার দ্বারা প্রমাণিত হল পাত্রে হাইড্রোজেন গ্যাস আছে, অক্সিজেন নয়।

(চ) ষ্টেবিং-এর মতে প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকারগুলি কী ?

উত্তরঃ ষ্টেবিঙের মতে বিভিন্ন প্রকারের প্রকল্পগুলি হল——

(১) ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প —– কোন একটি ঘটনা ঘটলে অন্য ঘটনার অন্তর্বেশন দ্বারা ঘটনাটি ব্যাখ্যা করার জন্য যে প্রকল্প গঠন করা হয় তাকে ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প বলা হয়।

উদাহরণস্বরূপ —- নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিষয়ক প্রকল্প।

(২) বর্ণনামূলক প্রকল্প —– যে প্রকল্প অন্বেষণীয় জটিল ঘটনা বা তথ্যগুলির সুশৃঙ্খল সম্বন্ধ নির্ণয় করার জন্য ইঙ্গিত দেবার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাকে বর্ণনামূলক প্রকল্প বলে। যেমন — টলেমির ভূ-কেন্দ্রিক প্রকল্প গ্ৰহ-নক্ষত্রাদির জ্যামিতিক প্রতীক।

(৩) সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প —- সাদৃশ্যমূলক প্রকল্প হচ্ছে এমন প্রকল্প, যাতে অনুমান করা হয় যে, যদি দুটি শ্রেণির ঘটনাগুচ্ছের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট সাধারণ, আকারগত ধর্ম থাকে, তাহলে এদের একটির ক্ষেত্রে যা সত্য হবে, অন্য শ্রেণিটির ক্ষেত্রেও তা সত্য হবে।

উদাহরণস্বরূপ —— ম্যাক্সওয়েল মাধ্যাকর্ষণ এবং বৈদ্যুতিক আকর্ষণের মধ্যে গঠনগত সাদৃশ্য দেখেই আলোর ক্ষেত্রে তাঁর বিখ্যাত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তত্ত্বটি রচনা করেন।

প্রশ্ন ৮। পার্থক্য দেখাও: 

(ক) কর্তাসম্বন্ধীয় প্রকল্প এবং নিয়মসম্পর্কিত প্রকল্প।

উত্তরঃ কর্তা সম্পর্কীয় প্রকল্প ঘটনার কর্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। কখনও দেখা যায় যে, কোনো একটি ঘটনা কীভাবে বা কী নিয়মে ঘটেছে তা জানা আছে কিন্তু কে সেভাবে কাজটি করেছে তা জানা নেই। তখন যে প্রকল্প গঠন করা হয়,তা হল কর্তাসম্পর্কীয় প্রকল্প । উদাহরণস্বরূপ—-  একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। আমরা জানতে পারলাম দরজা ভেঙ্গে চোর চুরিটা করেছে কিন্তু চোর কে ? তা জানা নেই। এই চোর সম্বন্ধে প্রকল্পই হল কর্তাসম্পর্কীয় প্রকল্প।

নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প কাজের নিয়মের বা ধরনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যখন কোনো একটি ঘটনার কর্তা বা কারণ জানা আছে, কিন্তু কীভাবে বা কী নিয়ম অনুযায়ী কর্তা সেই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা জানা নেই, তখন, সেই অজ্ঞাত নিয়ম সম্পর্কে যে প্রকল্প গঠন করা হয়, তাকে নিয়ম বিষয়ক প্রকল্প বলে। উদাহরণস্বরূপ — একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে এবং আমরা জানি যে চাকর চুরিটা করেছে কিন্তু এটা জানিনা যে কী করে চোর চুরিটা করল। তখন সেই অজ্ঞাত নিয়ম সম্পর্কে যে প্রকল্প গঠন করা হয় তা হল নিয়মবিষয়ক প্রকল্প।

(খ) ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প এবং বর্ণনামূলক প্রকল্প।

উত্তরঃ ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প হচ্ছে সরলতম প্রকল্প। এই ধরনের প্রকল্প ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়। কোন ঘটনা ঘটলে অন্য ঘটনার অন্তর্বেশন দ্বারা ঘটনাটির ব্যাখ্যার জন্য ব্যাখ্যামূলক প্রকল্প গঠন করা হয়। পর্যবেক্ষক উপযুক্ত পরিবেশে ঘটনা গুলিকে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিষয়ক প্রকল্পটি এই ধরনের প্রকল্প।

অন্যদিকে, বর্ণনামূলক প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হল, ঘটনাগুলির মধ্যকার সম্পর্ক বিষয়ে সাংকেতিক আভাস দেওয়া। এই ধরনের প্রকল্প সাধারণতঃ অন্বেষণীয় জটিল ঘটনা বা তথ্যগুলির সুশৃঙ্খল সম্বন্ধ নির্ণয় করবার জন্য ইঙ্গিত দেবার কাজে ব্যবহৃত হয়। বর্ণনামূলক প্রকল্প সাধারণতঃ গঠন করা হয় গ্ৰহ , নক্ষত্র ইত্যাদির গতি সম্পর্কে প্রতীকাত্মক জ্যামিতির চিত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে। যেমন — টলেমির ভূ- কেন্দ্রিক প্রকল্প গ্ৰহ নক্ষত্রাদির জ্যামিতির প্রতীক । এটা বর্ণনামূলক প্রকল্প।

প্রশ্ন ৯। উত্তর দাও:

(ক) প্রকল্পের প্রথম স্তরটি কী ?

উত্তরঃ ঘটনার পর্যবেক্ষণ।

(খ) প্রকল্পের কয়টি স্তর আছে ?

উত্তরঃ চারটি।

(গ) ভবিষ্যৎবাণী করার ক্ষমতা প্রকল্পের একটি ——।

উত্তরঃ শর্ত।

(ঘ) প্রকল্পের প্রমাণীকরণ কয় প্রকারের ?

উত্তরঃ দুই প্রকারের।

We Hope the given দ্বাদশ শ্রেণীর তর্কবিজ্ঞান ও দর্শন will help you. If you Have any Regarding AHSEC Board HS 2nd Year Logic and Philosophy Question and Answers in Bengali, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top