Class 12 History Chapter 2 রাজা, কৃষক ও নগরসমূহ

Join Roy Library Telegram Groups

Class 12 History Chapter 2 রাজা, কৃষক ও নগরসমূহ is a textbook prescribed by the AHSEC Board Class 12 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 12 History Chapter 2 রাজা, কৃষক ও নগরসমূহ The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 12 History Chapter 2 রাজা, কৃষক ও নগরসমূহ Solutions are free to use and easily accessible.

Class 12 History Chapter 2 রাজা, কৃষক ও নগরসমূহ

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. Class 12 History Chapter 2 রাজা, কৃষক ও নগরসমূহ Question Answer in Bengali. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. Hs 2nd year Class 12 History Chapter 2 রাজা, কৃষক ও নগরসমূহ question answer in Bengali gives you a better knowledge of all the chapters. Class 12 History Chapter 2 রাজা, কৃষক ও নগরসমূহ Assam AHSEC Board HS 2nd Year, Class 12 History Chapter 2 রাজা, কৃষক ও নগরসমূহ Answers The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Assam AHSEC Board Class 12 History Bengali Medium Books Solutions will be able to solve all the doubts of the students. Class XII History Solutions Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the AHSEC Board Class 12 History Bengali Medium Textbooks. HS 2nd Year History Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

রাজা, কৃষক ও নগরসমূহ

প্রথম খণ্ড

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। মগধ রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?

উত্তরঃ মগধ রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা মহারাজ বিম্বিসার।

প্রশ্ন ২। কোন্ রাজা সর্বপ্রথম সেনাপতির পদ সৃষ্টি করেছিলেন?

উত্তরঃ কোশলরাজ প্রসেনজিৎ সর্বপ্রথম সেনাপতির পদ সৃষ্টি করেছিলেন।

প্রশ্ন ৩। কোন্ রাজা সর্বপ্রথম নিজস্ব সৈন্যসামন্ত রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন?

উত্তরঃ মগধরাজ বিম্বিসার সর্বপ্রথম নিজস্ব সৈন্যসামন্ত রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন।

প্রশ্ন ৪। কৌটিল্যের অন্য নাম কি ছিল? কৌটিল্যের লেখা গ্রন্থটির নাম কি?

উত্তরঃ কৌটিল্যের অন্য নাম ছিল বিষ্ণুগুপ্ত। কৌটিল্যের লেখা গ্রন্থটির নাম ‘অর্থশাস্ত্র’।

প্রশ্ন ৫। সেলুকাস কোন্ দেশের লোক ছিলেন?

উত্তরঃ সেলুকাস গ্রীসের লোক ছিলেন।

প্রশ্ন ৬। মেগাস্থিনিসের লেখার সংকলনটির নাম কি ছিল?

উত্তরঃ মেগাস্থিনিসের লেখার সংকলনটির নাম ছিল ‘ইন্ডিকা’।

প্রশ্ন ৭। ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীকটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে?

উত্তরঃ ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীকটি সারনাথস্থিত অশোকস্তম্ভ থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন ৮। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কোন্ জনজাতির লোক ছিলেন?

উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ‘মোরিয়া’ জনজাতির লোক ছিলেন।

প্রশ্ন ৯। মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে চন্দ্রগুপ্তকে কে সাহায্য করেছিলেন?

উত্তরঃ মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে চন্দ্রগুপ্তকে চাণক্য সাহায্য করেছিলেন।

প্রশ্ন ১০। চাণক্য তথা কৌটিল্যের অন্য নাম কি ছিল?

উত্তরঃ চাণক্য বা কৌটিল্যের অন্য নাম ছিল ‘বিষ্ণুগুপ্ত’।

প্রশ্ন ১১। ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?

উত্তরঃ ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন চাণক্য।

S.L. No.সূচীপত্র
প্রথম খণ্ড
অধ্যায় -1ইট, মনি ও হাড়
অধ্যায় -2রাজা, কৃষক ও নগরসমূহ
অধ্যায় -3জ্ঞাতিত্ব, বর্ণ ও শ্রেণি (প্রাচীন সমাজ)
অধ্যায় -4দার্শনিক প্রত্যয় ও স্থাপত্য (সাংস্কৃতিক অগ্রগতি)
অধ্যায় -5প্রাগৈতিহাসিক যুগ — ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ
দ্বিতীয় খণ্ড
অধ্যায় -6পর্যটকদের দৃষ্টিতে (দশম থেকে সপ্তদশ শতক)
অধ্যায় -7ভক্তি ও সুফী পরম্পরা
অধ্যায় -8একটি সাম্রাজ্যবাদী রাজধানী – বিজয়নগর
অধ্যায় -9কৃষক, জমিদার ও রাষ্ট্র
অধ্যায় -10কৃষক, জমিদার ও রাষ্ট্র
তৃতীয় খণ্ড
অধ্যায় -11উপনিবেশবাদ ও গ্রামাঞ্চল
অধ্যায় -12বিদ্রোহ ও রাজ (১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ)
অধ্যায় -13উপনিবেশিক নগর
অধ্যায় -14মহাত্মা গান্ধী ও জাতীয় আন্দোলন
অধ্যায় -15দেশ বিভাজনের উপলব্ধি
অধ্যায় -16সংবিধান প্রণয়ন
অধ্যায় -17মানচিত্র অঙ্কনকার্য

প্রশ্ন ১২। অর্থশাস্ত্র গ্রন্থে কোন্ কোন্ বিষয়ে তথ্য জানা যায়?

উত্তরঃ অর্থশাস্ত্র গ্রন্থে মৌর্যযুগের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিষয়ে বহু তথ্য জানা যায়।

প্রশ্ন ১৩। মৌর্য বংশের পর মগধে কোন্ বংশ রাজত্ব করেছিলেন?

উত্তরঃ শুঙ্গ বংশ।

প্রশ্ন ১৪। একজন ইন্দো-গ্রিক রাজার নাম বল।

উত্তরঃ মিনান্দার।

প্রশ্ন ১৫। কণিষ্ক কে ছিলেন?

উত্তরঃ সর্বশ্রেষ্ঠ কুষাণ রাজা।

প্রশ্ন ১৬। শূন্যস্থান পূর্ণ কর:

(ক) মহাজনপদগুলোকে ___________ বলা হত।

উত্তরঃ গণরাজ্য।

(খ) মগধ মহাজনপদের রাজার নাম ছিল ___________।

উত্তরঃ বিম্বিসার।

(গ) ___________ কে বিম্বিসার সেনীয় নামে অভিহিত করা হয়েছে।

উত্তরঃ বিম্বিসার।

(ঘ) কোশল মহাজনপদের নাম ছিল ___________।

উত্তরঃ প্রসেনজিৎ।

(ঙ) রাজা ___________ সর্বপ্রথম সেনাপতি পদের সৃষ্টি করেন।

উত্তরঃ প্রসেনজিৎ।

(চ) মগধ রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ___________।

উত্তরঃ বিম্বিসার।

(ছ) মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ___________।

উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

(জ) চন্দ্রগুপ্তের মাতার নাম ___________ ছিল।

উত্তরঃ মুরা।

(ঝ) চাণক্য ___________ নামে পরিচিত।

উত্তরঃ কৌটিল্য।

(ঞ) চাণক্য বা কৌটিল্যের অন্য নাম হল ___________।

উত্তরঃ বিষ্ণুগুপ্ত।

(ট) সামরিক বিভাগ পরিচালনার জন্য নিয়োজিত অধ্যক্ষকে ___________ বলা হত।

উত্তরঃ বলাধ্যক্ষ।

(ঠ) মেগাস্থিনিস ___________ নামক গ্রন্থ রচনা করেন।

উত্তরঃ ‘ইন্ডিকা’।

(ড) চন্দ্রগুপ্ত ___________ ধর্ম গ্রহণ করেন।

উত্তরঃ জৈন।

(ঢ) বিন্দুসার ___________ বছর মগধে রাজত্ব করেন।

উত্তরঃ ২৭।

(ণ) চন্দ্রগুপ্তের রাজধানীর নাম ছিল ___________।

উত্তরঃ পাটলিপুত্র।

(ত) সুদর্শন হ্রদ ___________ রাজ্যে অবস্থিত।

উত্তরঃ গুজরাত।

(থ) ___________ রাজর্ষি বলে পরিচিত।

উত্তরঃ অশোক।

(দ) নন্দ বংশের শেষ রাজা ছিলেন ___________।

উত্তরঃ ধননন্দ।

(ধ) ___________ মৌর্য বংশের শেষ রাজা ছিলেন।

উত্তরঃ বৃহদ্রথ।

(ন) ___________ ‘অর্থশাস্ত্র’ রচনা করেছিলেন।

উত্তরঃ কৌটিল্য।

প্রশ্ন ১৭। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও:

‘ক’ অংশ‘খ’ অংশ
(অ) তক্ষশিলা(ক) জাতীয় প্রতীক
(আ) পাটলিপুত্র(খ) অশোক
(ই) সারনাথের অশোকস্তম্ভ(গ) বিশ্ববিদ্যালয়
(ঈ) সুদর্শন(ঘ) মৌর্য রাজধানী
(উ) বৌদ্ধ মহাসংগীতি(ঙ) হ্রদ

উত্তরঃ

‘ক’ অংশ‘খ’ অংশ
(অ) তক্ষশিলা(গ) বিশ্ববিদ্যালয়
(আ) পাটলিপুত্র(ঘ) মৌর্য রাজধানী
(ই) সারনাথের অশোকস্তম্ভ(ক) জাতীয় প্রতীক
(ঈ) সুদর্শন(ঙ) হ্রদ
(উ) বৌদ্ধ মহাসংগীতি(খ) অশোক

প্রশ্ন ১৮। ক্রম অনুসারে সাজাও:

(ক) অশোকের কলিঙ্গ বিজয়।

(খ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও সেলুকাসের যুদ্ধ।

(গ) অশোকের বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ।

(ঘ) গ্রিক রাষ্ট্রদূত মেগাস্থিনিসের ভারত আগমন।

উত্তরঃ (খ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও সেলুকাসের যুদ্ধ।

(ঘ) গ্রিক রাষ্ট্রদূত মেগাস্থিনিসের ভারত আগমন।

(ক) অশোকের কলিঙ্গ বিজয়।

(গ) অশোকের বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। গণরাজ্য কাকে বলা হত?

উত্তরঃ মহাজনপদগুলোকে গণরাজ্য বলা হত।

প্রশ্ন ২। মহাজনপদগুলোকে গণরাজ্য বলা হত কেন?

উত্তরঃ জনসাধারণের সহযোগিতায় পরিচালিত হত বলে মহাজনপদগুলোকে গণরাজ্য বলা হত।

প্রশ্ন ৩। মোট কয়টি মহাজনপদ ছিল?

উত্তরঃ মোট ষোলটি মহাজনপদ ছিল।

প্রশ্ন ৪। মহাজনপদগুলো কোন্ অঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছিল?

উত্তরঃ মহাজনপদগুলো হিমালয়ের পাদদেশে ও বর্তমান পাঞ্জাবের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছিল।

প্রশ্ন ৫। মহাজনপদগুলোর নাম কি কি?

উত্তরঃ মহাজনপদগুলোর নাম হল-কম্বোজ, গান্ধার, কুরু, শূরসেন, মাৎস্য, অবস্তী, আচমকা, পাঞ্চাল, কোশল, বৎস, চেদী, কাশী, মল্ল, বৃজি, মগধ ও অঙ্গ।

প্রশ্ন ৬। উত্তর-পূর্ব ভারতে মহাজনপদ আছে কি?

উত্তরঃ উত্তর-পূর্ব ভারতে কোন মহাজনপদ নেই।

প্রশ্ন ৭। কোন্ কোন্ নদীর উপত্যকাতে এই মহাজনপদগুলো গড়ে উঠেছিল?

উত্তরঃ সিন্ধু, শতদ্রু, বিতস্তা, সিন্ধুর উপনদী, গঙ্গা গঙ্গার উপনদীর উপত্যকাতে এই মহাজনপদগুলো গড়ে উঠেছিল।

প্রশ্ন ৮। মহানগরগুলোর নাম কি কি?

উত্তরঃ মহানগরগুলির নাম হল — গান্ধার, হস্তিনাপুর, ইন্দ্রপ্রস্থ, মথুরা, বিরাটনগর, শক্তিমতি, অবস্তী, প্রতিষ্ঠান, কৌশাম্বী, অহিচেত্রা, কাশী, শ্রাবস্তী, পাবা, বৈশালী, পাটলিপুত্র, রাজগৃহ ও চম্পা।

প্রশ্ন ৯। কোন্ কোন্ নদীর উপত্যকায় এই নগরগুলো গড়ে উঠেছিল?

উত্তরঃ সিন্ধু ও গঙ্গা নদীর উপত্যকায় এই নগরগুলো গড়ে উঠেছিল।

প্রশ্ন ১০। মহাজনপদের সময়ে উৎপাদিত সামগ্রীগুলো গ্রাহকের কাছে কে নিয়ে যেত? উৎপাদকেরাই এই সামগ্রীগুলো গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিত বলে তুমি মনে কর কি?

উত্তরঃ উৎপাদিত সামগ্রীগুলো শ্রেষ্ঠী নামে এক শ্রেণীর লোক গ্রাহকের কাছে নিয়ে যেত।

উৎপাদকেরা এই সামগ্রীগুলো গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিত না।

প্রশ্ন ১১। মহাজনপদের সময় কোন্ কোন্ সামগ্রী নিয়ে ব্যবসা – বাণিজ্য চলত?

উত্তরঃ মহাজনপদের সময়ে অলংকার, বাসন-কোসন, জামা – কাপড় ইত্যাদি সামগ্রী নিয়ে ব্যবসা – বাণিজ্য চলত।

প্রশ্ন ১২। লিপি আবিষ্কারের ফলে সমাজে কি ধরনের সুবিধা হয়?

উত্তরঃ মহাজনপদের সময়ে লিপি আবিষ্কারের ফলে ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রয়োজনীয় হিসাব – নিকাশ রাখার জন্য আর দূর-দূরান্তের খবর পাঠানোর জন্য লিপির প্রয়োগ শুরু করেন। লিপির সাহায্যে রাজারাও কর-সম্পর্কীয় হিসাবপত্র রাখতেন।

প্রশ্ন ১৩। মহাজনপদের সময়ে করব্যবস্থা কিরূপ ছিল?

উত্তরঃ মহাজনপদের সময় দুই প্রকার করব্যবস্থা ছিল – 

(ক) বালি। ও 

(খ) ভাগ।

‘বালি’ ছিল চাষ-আবাদের মাটির উপর ধার্য কর। ‘ভাগ’ ছিল উৎপন্ন বস্তুর উপর ধার্য কর।

প্রশ্ন ১৪। কর সংগ্রহের ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর সমাজে কি কি শ্রেণীর সৃষ্টি হয়?

উত্তরঃ কর ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর সমাজে রাজা ও প্রজা, কৃষক ও মাটির মালিক, ধর্মী ও গরিব শ্রেণীর সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ১৫। ষোলটি মহাজনপদের স্থানে পরবর্তীকালে কোনগুলো টিকেছিল?

উত্তরঃ ষোলটি মহাজনপদের মধ্যে পরবর্তীকালে কেবল মগধ, বৎস, কুশল আর অবন্তীই টিকে থাকতে পেরেছিল।

প্রশ্ন ১৬। মৌর্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?

উত্তরঃ মৌর্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

প্রশ্ন ১৭। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কখন মৌর্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য আনুমানিক ৩২৪ খ্রিস্টপূর্বে মৌর্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রশ্ন ১৮। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কোথায় মৌর্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য মগধে মৌর্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রশ্ন ১৯। মৌর্য বংশের উল্লেখ কোথায় পাওয়া যায়?

উত্তরঃ মৌর্য বংশ সম্পর্কে প্রাচীন হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন সাহিত্য ছাড়াও গ্রিক লেখাগুলিতে উল্লেখ আছে।

প্রশ্ন ২০। চন্দ্রগুপ্ত কাকে পরাজিত করে মগধের রাজা হয়েছিলেন?

উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত নন্দবংশের শেষ রাজা ধননন্দকে পরাজিত করে মগধের রাজা হয়েছিলেন।

প্রশ্ন ২১। রাজা হবার পর চন্দ্রগুপ্ত কি করেছিলেন?

উত্তরঃ রাজা হবার পর চন্দ্রগুপ্ত গ্রিক রাজা সেলুকাসকে যুদ্ধে পরাজিত করে তাদের দখলীকৃত কাবুল, কান্দাহার, হীরাট ও বেলুচিস্থান প্রভৃতি অঞ্চল তাঁর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।

প্রশ্ন ২২। চন্দ্রগুপ্ত কাকে যুদ্ধে পরাজিত করেন?

উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত গ্রিক রাজা সেলুকাসকে যুদ্ধে পরাজিত করেন।

প্রশ্ন ২৩। সেলুকাস কাকে চন্দ্রগুপ্তের রাজসভায় দূত হিসাবে পাঠিয়েছিলেন?

উত্তরঃ সেলুকাস মেগাস্থিনিস নামক একজন গ্রিক পণ্ডিতকে চন্দ্রগুপ্তের রাজসভায় দূত হিসাবে পাঠিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ২৪। মৌর্য বংশের অধীন বিখ্যাত স্থানগুলোর একটি তালিকা প্রস্তুত কর।

উত্তরঃ মৌর্য বংশের অধীন বিখ্যাত স্থানগুলো হল –

(ক) ইন্দ্রপ্রস্থ।

(খ) মথুরা।

(গ) কোশল।

(ঘ) প্রয়াগ। 

(ঙ) পাটলিপুত্র।

(চ) মগধ।

(ছ) উজ্জয়িনী।

(জ) সাঁচী।

(ঝ) তক্ষশীলা। ও 

(ঞ) গান্ধার।

প্রশ্ন ২৫। বর্তমান ভারতের অন্তর্গত নয়, অথচ মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল এমন স্থানগুলি উল্লেখ কর।

উত্তরঃ মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীন অথচ বর্তমান ভারতের অন্তর্গত নয় এমন স্থানগুলো হল – 

(ক) গান্ধার। 

(খ) তক্ষশীলা। 

(গ) পুরুষপুর।

(ঘ) কান্দাহার। ও 

(ঙ) আরকোশিয়া।

প্রশ্ন ২৬। মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্গত উত্তরে অবস্থিত তিনটি স্থানের নাম লেখ।

উত্তরঃ মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্গত উত্তরে অবস্থিত তিনটি স্থানের নাম –

(ক) পাটলিপুত্র।

(খ) মগধ। ও 

(গ) প্রয়াগ।

প্রশ্ন ২৭। দক্ষিণ দিকে মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন দুটি স্থানের নাম লেখ।

উত্তরঃ দক্ষিণ দিকে মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন দুটি স্থানের নাম — 

(ক) চোল। ও 

(খ) পাণ্ড্য।

প্রশ্ন ২৮। ধর্মবিজয়ের আদর্শগুলি প্রচার করার জন্য সম্রাট অশোক কি করেছিলেন?

উত্তরঃ ধর্মবিজয়ের আদর্শগুলি প্রচার করার জন্য সম্রাট অশোক তাঁর বিশাল সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে স্তম্ভ ও পর্বতগাত্রে কিছু উপদেশমূলক বাণী খোদাই করিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ২৯। সম্রাট অশোকের উপদেশমূলক বাণী কোন্ ভাষায় খোদাই করা হয়েছিল?

উত্তরঃ পালি ও প্রাকৃত ভাষায় খোদাই করা হয়েছিল।

প্রশ্ন ৩০। প্রাচীন ভারতে দুটি পুরানো লিপি উল্লেখ কর।

উত্তরঃ খরোষ্ঠী ও ব্রাহ্মী হল প্রাচীন ভারতের দুটি পুরানো লিপি।

প্রশ্ন ৩১। ব্রাহ্মী বর্ণমালা থেকে কোন্ কোন্ বর্ণমালার সৃষ্টি হয়েছিল?

উত্তরঃ ব্রাহ্মী বর্ণমালা থেকে বাংলা, অসমিয়া, ওড়িয়া, দেবনাগরী প্রভৃতি বর্ণমালার সৃষ্টি হয়েছিল।

প্রশ্ন ৩২। বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য অশোক কি উদ্যোগ নিয়েছিলেন?

উত্তরঃ অশোক তাঁর সাম্রাজ্য ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য তিনি ‘ধর্মমহামাত্র’ নামের একশ্রেণীর আধিকারিক নিয়োগ করেছিলেন। এই ধর্ম প্রচারের জন্য পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রাকে সিংহল দ্বীপে পাঠিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ৩৩। কুষাণ যুগে গড়ে ওঠা দুটি শিল্পকলার নাম লেখ।

উত্তরঃ কুষাণ যুগে গড়ে ওঠা দুটি শিল্পকলার নাম – 

(ক) মথুরা শিল্পকলা। ও

(খ) গান্ধার শিল্পকলা।

প্রশ্ন ৩৪। হীনযান ও মহাযানপন্থীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যটি কি?

উত্তরঃ গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যটি হল — হীনযানপন্থীরা মূর্তিপূজা করতেন, কিন্তু মহাযানপন্থীরা মূর্তিপূজা করতেন না।

প্রশ্ন ৩৫। কণিষ্কের সমসাময়িক দুজন পণ্ডিতের নাম লেখ।

উত্তরঃ কণিষ্কের সমসাময়িক দুজন পণ্ডিতের নাম –

(ক) কবি অশ্বঘোষ। ও

(খ) দার্শনিক বিজ্ঞানী নাগার্জুন।

প্রশ্ন ৩৬। গান্ধার শিল্প কাকে বলা হয়?

উত্তরঃ কণিষ্কের রাজত্বকালে ভারতের উত্তর – পশ্চিম সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারতীয় ও গ্রিক শিল্পকলার মিশ্রণে এক বিশেষ শিল্পকলার বিকাশ ঘটেছিল। একে গান্ধার শিল্প বলে।

প্রশ্ন ৩৭। মৌর্যদের ইতিহাস পুনর্গঠনের জন্য ইতিহাসবিদদের ব্যবহার করা যে – কোন দুটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ইতিহাসবিদদের ব্যবহার করা দুটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল —

(ক) বৌদ্ধ, জৈন ও ব্রাক্ষ্মণ সাহিত্য। এবং 

(খ) প্রাচীন স্থাপত্য, ভাস্কর্য, স্মৃতিসৌধ ও লিপিসমূহ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। মহাজনপদগুলো কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল?

উত্তরঃ ঋগ্বেদের পরবর্তী সময়ে গাঙ্গেয় উপত্যকার সমভূমি অঞ্চলে কয়েকটি জনপদ গড়ে উঠেছিল। এর কয়েকটি জনপদ কালক্রমে অধিক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তিশালী জনপদগুলো অন্যান্য জনপদের উপর প্রভুত্ব বিস্তার করতে শুরু করে। এর ফলে শক্তিশালী জনপদগুলো ক্রমে মহাজনপদে পরিণত হয়।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top