Class 12 Bengali Question Answer Chapter 11 আমার জীবনস্মৃতি

Join Roy Library Telegram Groups

Class 12 Bengali Question Answer Chapter 11 আমার জীবনস্মৃতি Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Class 12 Bengali Question Answer Chapter 11 আমার জীবনস্মৃতি Question Answer is made for AHSEC Board students. Class 12 Bengali Question Answer Chapter 11 আমার জীবনস্মৃতি | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.

Class 12 Bengali Question Answer Chapter 11 আমার জীবনস্মৃতি

Here we will provide you complete Bengali Medium AHSEC Class 12 বাংলা ( MIL ) Suggestion, AHSEC Class 12 Bengali (MIL) Question Answer, AHSEC Class 12 Bengali (MIL) Notes, AHSEC Class 12 Bengali (MIL) Solution, উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন, উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সমাধান, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) প্রশ্ন উত্তর, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) বই প্রশ্ন উত্তর, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) PDF Question Answer absolutely free of cost. If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

আমার জীবনস্মৃতি

গোট – ২ নির্বাচিত গদ্যাংশ

১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) ‘ মোর জীবন সোঁয়রণ ’ গ্রন্থটির অনুবাদক কে ? 

উত্তরঃ ‘ মোর জীবন সোঁয়রণ ’ গ্রন্থটির অনুবাদক আরতি ঠাকুর । 

( খ ) তখন অসমের রাজধানী কোথায় ছিল ? 

উত্তরঃ তখন অসমের রাজধানী রংপুর বা শিবসাগর ছিল । 

২। সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) শিবসাগরকে ‘ মাছধরা জায়গা ’ বলা হত কেন ? 

উত্তরঃ দিচাং এবং দিখৌ নামের উপনদী নদী দুটি অসমের শিবসাগর জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গেছে । দিচাং নদীর উৎস হল অরুণাচলের পাটকাই পাহাড় । এই উপনদীটি টিরাপ ও নাগাল্যাণ্ডের মোন জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এসে ডিব্রুগড় ও শিবসাগর জেলায় প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্রে পড়েছে । দিখৌ উপনদীটি নাগাপাহাড় থেকে বেরিয়ে শিবসাগরের মধ্যে দিয়ে বিশাল ব্রহ্মপুত্রে মিলেছে । ব্রহ্মপুত্র নদ হল মাছ ও কচ্ছপের ভাণ্ডার স্বরূপ । তাই ব্রহ্মপুত্রের মাছ , কচ্ছপ বর্ষাকালের বাড়তি জলের সঙ্গে দিচাং ও দিখৌ নদী দিয়ে প্রবেশ করে শিবসাগরকে যেন মাছের ভাণ্ডারে পরিণত করে তোলে এবং সমগ্র জেলাতে খাল – বিল জলাশয় মাছ ও কচ্ছপ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। সেই জন্য শিবসাগরকে মাছধরা জায়গা বলা হত । 

( খ ) শিবসাগরকে শেষ পর্যন্ত লেখকের পছন্দ হয়েছিল কেন ? 

উত্তরঃ শিবসাগর সম্বন্ধে লেখকের ধারণা প্রথমে ভাল ছিল না । তাই শিবসাগর লেখকের প্রথমে পছন্দ ছিল না । কারণ লেখক শুনেছিলেন অসমকে কেউ কেউ ভারতের অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করে ‘ মাছধরা জায়গা ’ বলে ঠাট্টা করত । আসলে নিম্ন অসম ও উচ্চ বা উজনি অসমের মধ্যে এধরণের ঠাট্টা হত । আর এই কথা শুনে লেখকের মনে শিবসাগর সম্পর্কে একটা বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়েছিল । কিন্তু যখন লেখক নিজে উপলব্ধি করতে পারলেন যে শিবসাগর অতি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ও মহিমামণ্ডিত স্থান তখন লেখকের মনের সেই বিরূপতা ক্রমশঃ হ্রাস পেতে লাগল । প্রাচীন কালের বিশাল বরপুখুরী বা বড় পুকুর পাড়ে অবস্থিত বিষ্ণুদেউল দেবীদেউল এবং মাঝখানে থাকা শিবদেউল লেখকের মন আকৃষ্ট করেছিল অর্থাৎ শিবসাগর সম্পর্কে লেখকের মনের অনুরাগ জন্মালো । আবার দিখৌ নদীর অপর পারে অবস্থিত রংঘর , কারেং , তলাতলি ঘর জয়সাগরের দেউল ও জয়সাগর নামে প্রকাণ্ড পুষ্করিণী লেখকের মন আনন্দাপ্লুত করে তুলেছিল । তার ফলেই লেখকের মনে শিবসাগর অবশেষে পছন্দের স্থান হয়ে উঠল । 

S.L. No.সূচী-পত্ৰ
পাঠ -১অভিসারের পূর্ব প্রস্তুতি – গোবিন্দ দাস
পাঠ -২অন্নদার আত্মপরিচয় – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
পাঠ -৩বঙ্গভাষা – মাইকেল মধুসূদন দত্ত
পাঠ -৪মাতৃহৃদয় – প্রিয়ংবদা দেবী
পাঠ -৫কৃপণ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পাঠ -৬কুলিমজুর – কাজী নজরুল ইসলাম
পাঠ -৭পূব-পশ্চিম – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
পাঠ -৮খরা – শঙ্খ ঘোষ
পাঠ -৯ফুলের বিবাহ – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের
পাঠ -১০স্বাদেশিকতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পাঠ -১১আমার জীবনস্মৃতি – লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া
পাঠ -১২মন্ত্রের সাধন – জগদীশচন্দ্র বসু
পাঠ -১৩মাস্টার মহাশয় – প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
পাঠ -১৪দিবসের শেষে – জগদীশ গুপ্ত
পাঠ -১৫গণেশ জননী – বনফুল
পাঠ -১৬ভাত – মহাশ্বেতা দেবী
পাঠ -১৭মূল্যবোধ শিক্ষা – ড° সুজিত বর্ধন
পাঠ -১৮কৈশোরকাল ও তার উপযোগী শিক্ষা ড° কাবেরী সাহা
পাঠ -১৯ব্যাকরণ
পাঠ -২০রচনা

( গ ) পাঠে উল্লিখিত তিনটি দেউল এর নাম লেখো। 

উত্তরঃ পাঠে উল্লিখিত তিনটি দেউল হল যথাক্রমে – বিষ্ণুদেউল , শিবদেউল ও দেবীদেউল । এই তিনটি দেউল ও বড় পুকুরের সামগ্রিক দৃশ্য অতি মনোরম । বিষ্ণুদেউল ও দেবীদেউলের চুড়ায় ত্রিশূল বিরাজমান । অপরদিকে শিবদেউলের চুড়ায় চকমকে শৃঙ্গ বিরাজমান । 

৩। দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) ‘ আমার জীবনস্মৃতি ’ পাঠ্যাংশের শুরুতে গুয়াহাটীর যে রূপ বর্ণিত হয়েছে তা তোমার নিজের ভাষায় লেখো । 

উত্তরঃ গুয়াহাটির রূপের কথা বললে প্রথমেই তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা উল্লেখ করতে হয় । গুয়াহাটীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ । গুয়াহাটী শহরটি পাহাড় ও পর্বতে ঘেরা । গুয়াহাটীর এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মনোমুগ্ধকার দৃশ্যের মধ্যে বিরাজমান আছে কিছু ঐতিহ্যবাহী দেব দেবীর মন্দিরে দেবী কামাখ্যা , ভুবনেশ্বরী , বশিষ্ঠ ইত্যাদি তীর্থস্থান । আর ব্রহ্মপুত্রের মাঝে অবস্থিত উমানন্দ মন্দিরটি অতুলনীয় সৌন্দর্যের অধিকারী । এই মন্দিরটি গুয়াহাটীর সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলেছে । শহরের মধ্যে বয়ে চলা এই মহাবাহু ব্রহ্মপুত্র নদ গুয়াহাটীর সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান । ব্রহ্মপুত্রের বুকে বয়ে চলা জাহাজ , নৌকা গুয়াহাটীকে নিত্য সৌন্দর্যের রূপ দান করছে । এক কথায় গুয়াহাটীর নদ , চারিদিকে ঘেরা সবুজ পাহাড় , মঠ – মন্দির সমস্ত কিছুই , গুয়াহাটীকে অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী করে তুলেছে । 

( খ ) লেখকের অনুসরণে তাঁর বাল্যবয়সের ‘ কবিতা যুদ্ধ ’ এর বর্ণনা দাও । 

উত্তরঃ শিবসাগরে লেখকের পুরোনো বাড়ি অবস্থিত । লেখক বাল্যকালে গুয়াহাটী থেকে শিবসাগর নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন । সেখানে গিয়ে তিনি তার দুজন ভাই – পোর সঙ্গ পেলেন । দুজন প্রায় লেখকের সমবয়সী । একজন লেখকের থেকে দেড় বছরের বড় আর একজন লেখকের থেকে বয়সে ছোট । লেখক ভাইপো দের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রথমেই বুঝতে পারলেন , যে তাঁর ভাইপো দুজন বাংলা ভাষায় লেখা বই তাঁর থেকে অনেক বেশি পঢ়েছেন । তাদের বিদ্যার দক্ষতা দেখে লেখকের মনে বিস্ময় সঞ্চারিত হয়েছিল। এমনকী ভাইপো দুজনের মুখে বাংলা কবিতার আবৃত্তি শুনে লেখক তো স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন । এমনকী তিনি তাদের একটু সমীহ করেই চলতেন । 

তাদের আবৃত্তি শুনে লেখকের মনের গুয়াহাটি ও শিবসাগরের মধ্যে শিক্ষার পার্থক্যটি স্পষ্ট হয়ে উঠল । এরপর লেখক কবিতা আবৃত্তি যুদ্ধে নিজেকে পরাজিত হতে দেখে মনে মনে স্থির করলেন যে বাংলা ভাষা শিখে তিনি নিজেকে একজন ভালো আবৃত্তিকার হিসাবে গড়ে তুললেন । এরপর ভাইপোদের থেকে বাংলা কবিতা ও অন্যান্য গ্রন্থ এনে তিনি পড়তে শুরু করলেন । এভাবে করে লেখক একদিন ভালো আবৃত্তিকার ও সঙ্গে বাংলা কথা বলাও শিখে ফেললেন । ফলে ভাইপোদের সঙ্গে লেখকের কবিতা যুদ্ধ চলতেই থাকল । এরপর ভাইপোরা যখনই কবিতা আবৃত্তি করত তখনই লেখক ওদের সামনে দাঁড়িয়ে কবিতা আবৃত্তি শুরু করলেন । পরে এভাবে কবিতা যুদ্ধে ক্রমান্বয়ে শান্তি স্থাপিত হল । 

( গ ) লেখকের অনুসরণে তৎকালীন যাত্রাগান সম্বন্ধে একটি আলোচনা কর । 

উত্তরঃ লেখক যখন শিবসাগর গিয়েছিলেন , তার তখন বরপেটার বিখ্যাত তিথিরাম বায়ন ও তাঁর বাংলা যাত্রা – গানের দলের সঙ্গে লেখকের দেখা হল । ঐ সময় এই যাত্রাদলটি শিবসাগরে দ্বিগ্বিজয় করতে বেরিয়েছিলেন । তিথিরাম বায়নের সেই যাত্রাগানের অন্তর্গত রাধার ‘ মানভঞ্জনের পালা ’ শিবসাগরের জনসাধারণকে মুখরিত করে তুলেছিল। সেই গানের কথা ও সুর লেখককে ভারাক্রান্ত করে তুলেছিল অনেকদিন পর্যন্ত – 

‘ ও রাই ! তাকে প্রেম করিলি হেসে হেসে 

এখন কান্দ কেন নির্জনে বসে । 

সত্রের মহত্তগন অশুদ্ধ বাংলা ভাষায় নাটক রচনা করে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করত ও ঐভাবেই দর্শককে খুশি করত । ঐ সময় অসমে বাংলা ভাষায় এই রকমই যাত্রা গান দর্শকদের আনন্দদান করত। আসলে বঙ্গদেশে যাত্রাগান মূলত পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাতেই এসেছে । সেই সময় কলকাতায় পাশ্চাত্য রঙ্গমঞ্চের আদর্শেই রঙ্গশালা , প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ করে পাশ্চাত্য নাটকের অনুসরণে বাংলা ভাষায় নাটক রচনা করে অভিনয় করা হত । আর গ্রামে দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য এই ধরণের যাত্রাগানের দল তৈরি হত । আর এইভাবে ভ্রাম্যমান যাত্রাগানের দল গ্রামে – গঞ্জে গিয়ে গিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করত । 

বাংলাদেশের এই ধরণের যাত্রাগন আসামেও নগর শহরে রঙ্গমঞ্চ ও নাট্য অভিনয় শুরু হয় । ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে । যদিও প্রথমদিকে আসামে অশুদ্ধ বাংলা ভাষায় যাত্রাগান চলত , কিন্তু পরবর্তী কালে অসমীয়া ভাষায়ও নাটক রচনা আরম্ভ হল । 

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। ‘ আমার জীবন স্মৃতি ’ পাঠটির রচয়িতা কে ? 

উত্তরঃ ‘ আমার জীবন স্মৃতি ’ পাঠটির রচয়িতা লক্ষ্মীকান্ত বেজবরুয়া । 

২। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া কবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ? 

উত্তরঃ লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া ১৮৬৪ সালে জন্মগ্রহন করেছিলেন । 

৩। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার পিতার নাম কি ? 

উত্তরঃ লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার পিতার নাম ছিল দীননাথ বেজবরুয়া ।  

৪। ‘ আমার জীবনস্মৃতি ’ পাঠটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ? 

উত্তরঃ পাঠ্য অংশ ‘ আমার জীবনস্মৃতি ’ ‘ মোর জীবন সোঁয়রণ ’ গ্রন্থের থেকে নেওয়া হয়েছে । 

৫। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া রচিত কবিতা পুথির নাম কি ? 

উত্তরঃ লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া রচিত কবিতা পুথির নাম কদমকলি । 

৬। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার একমাত্র উপন্যাসটির নাম কি ? 

উত্তরঃ লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার একমাত্র উপন্যাস পদম কুঁয়রী ।

৭। পূর্বে অসমের রাজধানী কোথায় ছিল ? 

উত্তরঃ পূর্বে অসমের রাজধানী ছিল রংপুর বা শিবসাগর । 

৮। উমানন্দ কোথায় অবস্থিত ? 

উত্তরঃ উমানন্দ মহাবাহু ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝে একটি দ্বীপ রূপে অবস্থিত। 

৯। লেখক গুয়াহাটী থেকে শিবসাগর পর্যন্ত কিসে করে গিয়েছিলেন ? 

উত্তরঃ লেখক গুয়াহাটী থেকে শিবসাগর পর্যন্ত নৌকায় করে গিয়েছিলেন। 

১০। ভারতের অন্যান্য স্থান এর সঙ্গে তুলনা করে অসমকে কি বলা হত ? 

উত্তরঃ ভারতের অন্যান্য স্থান এর সঙ্গে তুলনা করে অসমকে ‘ মাছধরা’ জায়গা বলা হত । 

১১। শিবসাগরে লেখকের খেলার সাথী কে ছিল ? 

উত্তরঃ শিবসাগরে লেখকের খেলার সাথী ছিল তাঁর দুই ভাইপো ।

১২। ‘ কিন্তু যখন রংপুর পৌঁছলাম তখন একটা অনির্বনীয় বীতরাগ আমার মনের সেই আনন্দকে শুকিয়ে দিল , কেন কে জানে ’ – লেখকের কেন আনন্দ হয়েছিল আর সেই আনন্দ কেনই বা রংপুর পৌছানোর সাথে সাথে বীতরাগে পরিণত হল ? – বুজিয়ে লেখো । 

উত্তরঃ লেখকের সময় অসমের রাজধানী ছিল রংপুর বা শিবসাগর । শিবসাগরে লেখকের পুরানো বাড়ি ছিল , লেখকের পিতা অবসর নেওয়ার পর সেখানে থাকবেন বলে স্থির হয়েছিল , তাই লেখক নৌকা করে গুয়াহাটি থেকে শিবসাগর গিয়েছিলেন । আর সেইজন্যই নতুন শহর শিবসাগর সম্বন্ধে লেখকের মনে আগ্রহ ও আনন্দ জন্মেছিল । 

গুয়াহাটি থেকে যখন লেখক ব্রহ্মপুত্রের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দিখৌ নদীর বুকে ঢুকেছেন তখন লেখকের মনে যেভাব হয়েছিল নিম্ন আর মধ্য অসম পার হয়ে যখন উজনি অসমের রংপুর শহরে ঢুকতেও তাঁর সেইরকমই মনে হয়েছিল । কিন্তু শিবসাগর পৌঁছে লেখকের মনে বীতরাগ জন্মালো । কারণ অসমকে অন্যান্য জায়গায় সঙ্গে তুলনা করে ‘ মাঝধরার জায়গা ‘ বলে বিদ্রুপ করা হত । আসলে নিম্ন অসমের সঙ্গে উজনি অসমের তুলনা করে শিবসাগরকে বিদ্রূপ করা হত । সেই জন্যই রংপুর পৌঁছানোর সাথে সাথে লেখকের মনে শিবসাগর সম্পর্কে বীতরাগ জন্মালো ।

১৩। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার সময় আসামের রাজধানী কোথায় ছিল ? পাঠে উল্লিখিত শিবসাগরের তিনটি দেউলের নাম উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার সময় আসামের রাজধানী ছিল রংপুর বা শিবসাগর । শিবসাগরের তিনটি দেউলের নাম হল – বিষ্ণুদেউল , শিব দেউল , দেবীদেউল । 

শব্দার্থ ও টীকা : 

রাজপ্রতিনিধি :- ব্রিটিশ শাসক ।

লুইত :- ব্রহ্মপুত্র ।

দিখৌ :- নাগা পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে এই উপনদী শিবসাগর হয়ে ব্রহ্মপুত্র মিশেছে ।

দিচাং :- অরুণাচল প্রদেশর পাটকাই পাহাড় থেকে এই নদীর উৎপত্তি । টিরাপ ও নাগাল্যাণ্ডের মোন্ জেলা থেকে প্রবাহিত হয়ে ডিব্ৰুগড় ও শিবসাগর হয়ে ব্রহ্মপুত্রে মিশেছে ।

বীতরাগ :- বিরাগ জন্মানো ।

দেউল :- দেব দেবীর মন্দির ।

ভাওনা :- অসমীয়া নাটকের অভিনয় ।

প্রহসন :- হাস্য রসাত্মক নাটক ।

অনির্বচনীয় :- বর্ণনাতীত ।

আপ্লুত :- আনন্দিত ।

সংকল্প :- প্রতিজ্ঞা ।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top